somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’
প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আর শরীয়তের খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়।
কারণ, এ সমস্ত কাজগুলি ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমানগণের জন্য করা নিষিদ্ধ।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’ প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন কুরআন শরীফ খতম, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর শরীয়তের খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়। কারণ, এ সমস্ত কাজগুলি ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমানগণের জন্য করা নিষিদ্ধ।”
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদগণ তাঁদের জন্য মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “আমি সব হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদেরই স্বজাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি। যাতে তাদেরকে স্পষ্ট করে বোঝানো যায়।” (সূরা ইব্রাহীম-৪)। এ আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয়, নিজ নিজ জাতির ভাষায় কথা বলাই আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আল্লাহ পাক উনার নিজস্ব ভাষায় প্রেরণ করেছিলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি উনাকে আরবী ভাষায় প্রেরণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা ইউছূফ-২)। অর্থাৎ নিজস্ব মাতৃভাষায় কথা বলা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “মাতৃভূমিকে মুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ।” এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, মাতৃভাষাকে মুহব্বত করাও ঈমানের অঙ্গ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেওবন্দী ওহাবী খারিজী উলামায়ে ‘ছূ’ গংয়ের প্ররোচনায় যালিম সম্প্রদায় এদেশের মুসলমানদেরকে সে সুন্নত পালন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। কাজেই যাঁরা প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁরা শহীদী দরজা অর্জন করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশবাসীর মুসলমানের উচিত- ভাষার জন্য যাঁরা প্রকৃতপক্ষে প্রাণ দিয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, তাঁদের উপকার করার চেষ্টা করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা মুসলমান। ইসলাম আমাদের দ্বীন। আর দ্বীন ইসলাম মোতাবেক মৃত্যুর পর প্রত্যেক বান্দা- ‘হয় কবরে আযাবে থাকে’ অথবা ‘সুখে থাকে।’ সেক্ষেত্রে জীবিতরা যদি মৃতের জন্য দোয়া করে ও মাগফিরাত কামনা করে তবে সে দোয়ার উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি কবরের আযাব ক্ষমা করে দেন। আর আযাব না থাকলে তার নিয়ামত আরো বাড়িয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত- ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাঁদের উপকারার্থে তাঁদের জন্য ইস্তিগফার পাঠ করে, মাগফিরাত কামনা করে, কুরআন শরীফ খতম করে তাঁদের জন্য মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে দোয়া করা অর্থাৎ তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘বায়হাক্বী শরীফে’ বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন শরীফ খতম, দোয়া-ইস্তিগফার ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে মৃত ব্যক্তির নামে ছওয়াব রেসানী করে বা বখশায়ে দেয় তখন ফেরেশতাগণ উনারা উক্ত নেকীগুলো মখমলের রুমালে জড়িয়ে মৃত ব্যক্তির নিকট পেশ করেন। মৃত ব্যক্তিরা তা দেখে খুশি হয়।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালি পায়ে চলা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, গান-বাজনা করা, বেপর্দা-বেহায়াপনাজনিত অনুষ্ঠান দ্বারা যারা জীবিত তারা কঠিন গুনাহে গুনাহগার হয় অর্থাৎ কবীরা ও কুফরী গুনাহে গুনাহগার হয়। আর যাঁরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে কবরে আছেন তাঁদের কোনই উপকার হয় না। বরং তাঁরা এসব কাজের জন্য ভীষণ লজ্জিত হন ও কষ্ট পান। কারণ, তাঁরা সবই দেখতে পান। কেবলমাত্র তাঁরা নির্বাক বলেই কিছু বলতে পারেন না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের সবারই সেভাবে আমল করা উচিত যেভাবে আমল করলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের উপকার হবে। অর্থাৎ ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য দোয়া-ইস্তিগফার, কুরআন শরীফ খতম ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া। পাশাপাশি গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার হারাম, কুফরী ও শরীয়ত বিরোধী আমল ও বদ রসম থেকে বিরত থাকা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×