একটা ব্যাপার মনে শুধু খচখচ করে বিঁধছে। ঠেলে ফেলতে পারছি না।
কনস্পিরেসি থিওরি শুধু বিদেশীরাই তৈরি করে। আমিই বা বাকি থাকি কেন!!
কাহিনী হল, ইদানিং পশ্চিমা বিশ্বে একের পর এক জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়া নির্দিষ্ট কাউকে কোন নির্দিষ্ট আসনে বসার পথ তৈরি করতে ইচ্ছাকৃত কোন চক্রান্ত কিনা, তা কে বলতে পারে। এইসব হামলার সাথে আই এস এর সম্পৃক্ততা থাকুক আর নাই থাকুক, তারা তড়িঘড়ি করে দায় স্বীকার করে, দোষটা মোটা দাগে মুসলিমদের উপর চাপাচ্ছে।
আর ডোনাল্ড ট্রাম্প নামক এক জারজ একের পর এক ফায়দা নিয়ে মুসলমানদের বিষেদগার করে সাদা দালানের ডিম্বাকার কক্ষের (white house, oval office) পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কি ভাবি, তা তো আর মার্কিন নাগরিকরা ভাববে না। সবাই ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করবে না। ভোগবাদী সমাজ কখনো ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করতে চায় না।
বিশ্ব মিডিয়া আরেক ইহুদী রুপার্ট মারডক এর দখলে। সে যা দেখাবে বিশ্ববাসী, বিশেষ করে পশ্চিমারা তা আপ্তবাক্য মনে করে বুঝে বসে থাকবে। মাঝখান দিয়ে ট্রাম্প যদি গদিতে বসার সুযোগ পায়, তো মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রব্যাবসা রমরমা করবে বহু কোম্পানি, যাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ট্রাম্পের প্রধান কাজের মধ্যে একটা হবে। রথচাইল্ডের টাকার খনি আর কমবে না, সেটা ক্ষমতা দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবে। গোপন সঙ্ঘ আড়ালে বসে কলকাঠি নাড়বে।
ভুলে গেলে চলবে না, ৯/১১ নাটক সাজানো হয়েছিল বুশকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় রাখার জন্য। তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নামে যা শুরু করেছিলেন, তা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা দেখতে পাচ্ছি।
এই আইএস যে আমেরিকা আর ইজরাইলের যৌথ আবিষ্কার এ পাগলেও বোঝে, কিন্তু মুখ ফুটে কেউ বলতে চায় না। অবশ্য ফিদেল ক্যাস্ট্রো আর মাহাথির মোহাম্মদ বলেছে, কিন্তু ৯০ উর্ধ্ব দুই ঝানু রাজনীতিক এর কথায় তো আর পৃথিবি পালটাবে না।
আর যাদের একসাথে এইসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়া উচিৎ, তারা নিজেরা বিভেদের চূড়ান্ত সীমায় অবস্থান করে দিন দিন আরও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা যারা কষ্ট পাই এসব দেখে, তারা কিছু করতে না পেরে হতবিহবল হয়ে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি, এর শেষ কোথায়????
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৩