মিশরের তিন বছর ধরে কারাভোগের পর ৩০বছর বয়সী আমেরিকান নাগরিক আয়া হিজাজি অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিরে আসলেন। হিজাবি, যিনি কায়রোর রাস্তায় শিশুদের সাহায্য করার জন্য তার স্বামীর পাশে বেলেডি ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শিশু নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৪ সালে আয়া হিজাজিকে ও তার স্বামী মোহাম্মাদ হাসানাইনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জানাযায়,আয়া হিজাজি মিশরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে শুক্রবার সাক্ষাত করেন।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন আমরা খুবই আনন্দিত আয়া হিজাজি বাড়িতে ফিরে আসায় এছাড়া ওভাল অফিসে ভাইয়ের সাথে কাজ করাটা একেবারেই অসন্মানের নয় ।আয়া হিজাজি ও তার স্বামী মোহাম্মাদ হাসানাইনকে ২০১৪ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে আয়া হিজাজি ও তার স্বামী মোহাম্মাদ হাসানাইন সাথে আরো অনেকেই লাইসেন্সহীন সংগঠন পরিচালনা,মানব পাচার, শিশুদের যৌন শোষণ, সরকার বিরোধী আন্দোলনে শিশুদের ব্যবহার করারে বিভিন্ন প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা উল্যেখ করে।প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিজান চালায় ও আয়া হিজাজি দম্পতিকে গ্রেফতার করে নিয়ে জায়।হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতামত অনুযায়ী তারা লোকচক্ষুর আড়ালে বিচার বর্হিরভুত বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি মিডল ইস্ট পরিচালক ডঃ জো স্টর্কস গত মার্চ মাসে এক রিপোর্টে বলেন "আয়া হিজাজির মামলা এবং তার সহ-প্রতিবাদীরা ন্যায়বিচারের নিন্দা থেকে কিছুই কম নয়।"প্রতিরক্ষাবিদরা ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবীদের সাথে দেখা করতে পারছেন না, দীর্ঘসময় ধরে শুনানি মুলতবি করা হয়েছে, আদালতের নিয়মিত পরিপন্থী, ব্যাখ্যা ছাড়াই, জামিনে মুক্তির জন্য অসংখ্য অনুরোধ, যা নির্বিচারে অন্যাই ভাবে আটক রাখার জন্য প্রতিবাদ করা হয়।হিজাবি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে গত এপ্রিল মাসে দায়ের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ঘটনাটি মিথ্যা বলে স্বীকার করেন।ওবামা প্রশাসনের সাফল্য ও সফলতার কথা আয়া হিজাজি প্রকাশের চেষ্টা করেছে। তার প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস এবং মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিরের সহায়তায় বৃহস্পতিবার তাকে ওয়াশিংটন ডি.সি.কাছাকাছি যুগ্ম বেস অ্যান্ড্রুয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমেরিকার নাগরিকের মুক্তির জন্য মিশরীয় আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয় এবং যথাযথভাবে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।টেলআবিবে মেটিস শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান,আমরা নির্দোষ শুনে অনেক খুশি হয়েছিলাম।
তথ্য সূত্রঃ বি আই টি
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯