আমাদের সমাজের উচ্চবিত্ত,মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত প্রতিটি পরিবারেরই ঘর সাজানোর শখ থাকে তাও আবার কাঠের আসবাব পত্র বা ফার্নি সার দিয়ে।কেউ কেনেন বড় নামি কোন ব্রান্ডের শোরুম থেকে কেউ কেনেন আশেপাশের মার্কেটের ফার্নিসারে দোকান থেকে কেউ কিনে থাকেন পুরাতন ফার্নিচারের দোকান থেকে ।
যারা পুরাতন ফার্নিচারের দোকান থেকে পরিশ্রমের অর্থ দিয়ে সখের ফার্নিচারটি ক্রয় করছেন ঘর সাজানোর জন্য তাদের জন্য বলছি। পুরাতন ফার্নিচারটি ক্রয়ের সময় সতর্কতার সাথে দেখে শুনে কিনুন নতুবা এই পুরাতন ফার্নিচারটি আপনার ঘরের অন্যান্য ফার্নিচারের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে নষ্ট হবে হাজার হাজার টাকার সম্পদ । ঘরের পুরাতন কাঠের ফার্নিচার গুলি অনেকে বিক্রি করেন নতুন ফার্নিচার ঘরে তোলার জন্য আবার অনেকেই বিক্রি করেন ফার্নিচারে উইপোকা বা ঘুণে ধরার জন্য।আর এগুলি কম টাকায় কিনে নিয়ে যায় পুরোন ফার্নিসার বিক্রেতাগন।
পরবর্তিতে ক্রয় করা ফার্নিসারের ভিতরে ভালো ফার্নিসার গুলি স্থানিয় ফার্নিসারের শোরুমে চড়া দামে বিক্রি করে। বাকি ঘুন বা উইপোকা ধরা ফার্নিসার গুলি বিক্রির জন্য বিক্রেতারা বিভিন্ন ভাবে মেরামতের মাধ্যমে চকচকে ঝকঝকে করে তাদের দোকানে সাজিয়ে রাখে ।যে সব ফার্নিচার উই বা ঘুণে ধরা সেগুলিকে প্রথমে ভালো করে পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নেয় তার পর যে সব যায়গায় উই বা ঘুণে ধরা সেই সব যায়গা কাঠের গুড়া ও সুপারগ্লু দ্বারা পুরন করে কাঠ ঘসা সিরিচ পেপার অথবা কাঠ চাছার যন্ত্র দিয়ে মেরামত করা স্থান টিকে ভালো করে চাঁছা হয় যেন বোঝা না যায় এর পর মোম,গ্লা ইত্যাদি দিয়ে বার্নিশ করে বিক্রয় যোগ্য করে দোকানে উঠানো হয়।ক্রেতাগণ সেগুলির চমকানো রং ও সাঁজ দেখে আকৃষ্ট হয়ে ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে আসেন ।
উই ও ঘুণ পোকার প্রধান খাদ্য হচ্ছে কাঠ । বহির্বিশ্বের একটি জরিপে দেখা গেছে উই পোকার কারণে বছরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন অর্থ নষ্ট হচ্ছে।এছাড়া উই পোকা প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৮০ হাজার ডিম পাড়ে। একটি রানি উইপোকা প্রায় ৫০ বছর বাঁচে।ঘুণ পোকার ডিম প্রতি ৩ সপ্তাহ পরপর ফুটে বাচ্চা বের হয়।তাহলে এবার আপনি চিন্তা করে দেখুন উই বা ঘুণ ধরা ফার্নিচার আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকারক পোকা ।এই জন্য পুরাতন কাঠের ফার্নিচার ক্রয়ের আগে নিশ্চিত হয়ে নিন ফার্নিচারটি উই বা ঘুণ পোকা মুক্ত কি না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩২