somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নে পেয়েও আমি তৃপ্ত

১১ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তরুকে ছেড়ে চারুলতার দূরে চলে যাওয়ার ভয়টি সারাক্ষণ তরুকে তাড়া করে বেড়ায়। চারুলতাকে ছাড়া তরুর থাকতে ভীষণ কষ্ট হয়,চারু ছাড়া তরুর পৃথিবী ধুধু মরুভূমি।চারু ছাড়া তরুর নীল আকাশ যেন নীল নয়,সবুজে ঘেরা প্রকৃতি যেন নাইট্রোজেনে পরিপূর্ণ নিঃশ্বাস নিতেই যেন কষ্ট হয়,পাখির কিসির মিশির ডাক মনে হয় কষ্টের চিৎকার,প্রতিটি ক্ষেত্রের সব কিছুই অর্থ হীন বলে মনে হয়।চারুলতা কোন কাড়নে যদি তরু হতে দূরে থাকে তখন তরুর মন শঙ্কিত থাকে চারুর ফেরা না ফেরা নিয়ে।
আগের দিন তরু ও চারুলতার ঝগড়া পরের দিন দুপুর বেলা চারুলতা এক কাঁথ হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে আর তরু ঠিক চারুর গাঁ ঘেঁসে পাশেই শুয়ে আছে।দুজনের ভিতরে যদি কোন কাড়নে কথা কাটাকাটি হয় তাহলে চারু মোবাইল সুইচ অফ করে বাড়িতেই পড়ে থাকে এমন কি তরুর কোন খোজ খবর নেয়ার প্রয়োজন বোধ আছে বলে চারু কখনই মনে করে না।ফলে তরুর ভিতেরে একটি চাপা কষ্ট থেকে যায় সব সময়।সেদিন ঝগড়া হয়েছে তাই তরু শুয়ে শুয়ে ভাবছে চারু যদি আজ আবারও আমাকে ফেলে চলে যায় তবে আমার নিঃসঙ্গতা ঘোচাব কি করে?পরিশেষে আমার কি হবে ? চারু ছাড়া তরুর জীবনের মূল্য কি ? কিছুই না,বেচে থাকাটাই অর্থহীন।চারুকে নিয়ে ভাবনায় বিভোর যখন তরু ঠিক তখন হঠাৎ চারুর নেশা ভরা কাজল মাখা দুটি চোখ খুলে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলছে এই শুনছো তরু, তোমার ফোনটা একটু দাওত। তরু জিঞ্জেস করল চারুকে এখন ফোন দিয়ে কি হবে?চারু: এত প্রশ্ন করো নাতো ফোন চাইছি ফোনটা দাও।তরু: ওকে বাবা দিচ্ছি।চারুর ফোন চাওয়া মানেই চলে যাবার আগাম বার্তা তরুর প্রতি বুঝে নিতে হবে।চারুর ভাব ভঙ্গীতে তরু স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারছে যে নিশ্চিত বিচ্ছেদ আর বিচ্ছেদের আশংকায় তরুর বুকের ভিতরে হউ হউ করে কেঁদে উঠছে ।তরুর স্বভাবের ভিতরে একটি মন্দ স্বভাব হচ্ছে মনের গহীনে জমানো যতই দুঃখ,কষ্ট থাকুক না কেনও তা কখনই কারো কাছে প্রকাশ করবে না। তাই চারুর জন্য তরুর মনের ভিতরের বয়ে যাওয়া বিচ্ছেদের ঝড়ের কথা কিছুই চারুকে বলছে না।।তরু ঘুরে ফিরে সুধু চারুর মুখের দিকেই তাকিয়ে আছে।এ দিকে চারু ফোন হাতে নিয়েই আবার ঘুমিয়ে গেছে।তরুর অপলক দৃষ্টি দিয়ে বিভোর হয়ে চারুর মায়া ভরা মুখখানির দিকে এখনো তাকিয়ে আছে আর মনে মনে চারুর মনের সাথে হাজারো কথা বলে চলছে এটাও তরুর একটা স্বভাব।কিছু সময় পর হঠাৎ চারু এক পলকের মুচকি হেঁসে চোখ দুটি খুলেই ফোনের ঘড়িতে সময় দেখল। এই দেখে তরুর ভিতরে ৭মাত্রার কম্পন শুরু এই বুঝি চারুলতা চলে গেল।অতঃপর।তরু: এই চারু,তুমি কি আজ আবার চলে জাবে না কি?
চারু: আরে না কোথায় যাব?চারুর যাওয়ার কথা না শুনার সাথে সাথে তরুর মনের ভিতরে সস্থী ফিরে এলো সাথে হৃদয় মন্দিরে তৈরি হল চারুর জন্য আরও একটি ভালোবাসার তাজমহল যেখানে সুধুই তরু আর চারুর বিচরণ থাকবে অন্য কারো নয়।মনের আঙ্গিনায় বইতে থাকে প্রেমের শীতল, ঠাণ্ডা হাওয়া । তরু: মনে মনে বলছে যাক এবার একটু আলোর মুখ দেখলাম নিরাশার অন্ধকার ঘরে।ভাবতে ভাবতে তরু অভিনয়ের ছলে চারুর আরও কাছে ঘেঁসে শুয়ে থাকলো।কিছু সময় অতিবাহিত হবার পর চারুর এদিক ওদিক নড়া চড়া শুরু হয়ত চারুর মনে বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা জমাট বেধে তরুর জন্য তৈরি হয়েছে সীমাহীন ভালোবাসার বসতবাড়ি যার বহি:প্রকাশ চারু এভাবেই করছে শত-হলেও মেয়ে মানুষ বলে কথা বুক ফাটে-তো মুখ ফোটেনি।সে যাই হোক চারুর নাড়া চড়া করার কাড়নে তরুর সরিলে চারুর বিভিন্ন অঙ্গের ছোঁয়া লাগতে থাকে সাথে নাকে ভেসে আসে চারুর সরিলের সুমিষ্ট গন্ধ এক কথায় তরু পাগল প্রায় চারুর প্রেম-লীলায়।।এদিকে তরু মনে মনে কামবাসনার সাগরে সাঁতার কাটছে।যৌবনের নীল সাগরে উপচে পড়া জোয়ারের ঢেউ যেন দ্বিগুণ মাত্রায় সাগর পাড়ে আঁচড়ে পড়ছে।।বড় বেহায়া বাধাহীন বাঁধভাঙা যৌবন যেন কোন বাধা কোন বাড়নই মানছে না।ভালোবাসার জোয়ারে ভাসাতে চায় প্রিয়া চারুলতাকে।তরু নীয়ন্ত্রনহীন হয়ে নিজেকে আর নিজ সীমারেখায় ধরে রাখতে পারলো না।আস্তে আস্তে নির্লজ্জের মত চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকা চারুলতাকে আলতো ভাবে বুকে জড়িয়ে ধরল তরু। চারুলতার নীরব সম্মতি , চোখের ভাষা ও সরিলের প্রতিটি অঙ্গ বলছে চারুলতাও কাম সাগরে ভাসতে চায় তরুর সঙ্গে।তরু লজ্জা,শরম,ভয় এই তিনটি বিষয় দুরে রেখে সুনিপুণ কৌশলে চারুর নীল শাড়ী প্যাঁচানো চিকন কোমরে এক হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে তরুর কোরের সাথে মিশিয়ে নেয়। চারু এবং তরু তখন দুজনে মিলে এক।।তরুর সরিলের উত্তেজনায় এখন চারুলতাও বেশ উত্তেজিত।।তরু যখন বুঝতে পারলো চারুলতাও একই প্রেম সাগরে সাঁতার কাটছে।সময়ের সৎ ব্যাবহার করা প্রতিটি মানুষের উচিত তাই তরু শুভ-ক্ষণে আর দেরি না করে দুই হাত দিয়ে চারুকে বুকের আরও গভীরে টেনে নিয়ে জাপটে ধরল সাথে চারুর গোলাপি ঠোট দুটি তরুর ঠোটের ভিতরে নিয়ে চুষতে লাগল।।তরু তার জীবনের সর্স্বোল উজাড় করে দিয়ে চারুকে চুম্বনে,চুম্বনে ভরিয়ে তুলছে।এক দিকে প্রেম সাগরে চুম্বনের ঢেউ, সাথে দুটি সরিল এক হয়ে কাম সাগরে ডুব দিয়ে হারিয়ে যাবার সে কি স্বর্গীয় সুখ ।সব মিলে দুজন দুজন থেকে তৃপ্তি সহ সুখ নিচ্ছে।তরু ও চারুর চোখে পৃথিবী তখন নিশ্চুপ কোথাও কেউ নেই।নেই কোন দুঃখ,কষ্ট,যন্ত্রণা আছে সুধু সুখ আর সুখ সাথে আছে ভালোবাসা ও ভালোলাগা।তরুর চুম্বনে চারুর মুখমণ্ডল পুরপুরি টকটকে লাল হয়ে গেছে, সাথে ফেলছে চারু ঘন নিশ্বাস। কিছু সময় পর তরুর প্রেমে পাগল চারু তার বুকের মাঝখানে তরুকে সজোরে চেপে ধরল আর সেই সুযোগে কামবাসনা থেকে বঞ্চিত প্রায় তরু কালো ভ্রমরের ন্যায় চারুর বুকের ফুল বাগানের ফুল চুষে মধু খেতে থাকে।অপরদিকে চারুও তরুকে চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে তোলে।। একই সংগে তরু আর চারু হয়ে যায় দুজন দুজনার।দুটি মন এক হয়ে দুটি সরিলের লুটোপুটি।।
চারুর লজ্জা ভরা লাল টুকটুকে গাল আর মুখ দেখে তরু একবার ভাবে চারু অতৃপ্ত আবার ভাবে হয়ত রাগে,ক্ষোভে লাল হয়ে গেছে। আবার এটাও তরুর মনের ভিতর থেকে তরু শুনতে পায় এটাই নাকি ভালোবাসা দুটি মন এক হয়ে কামবাসনা পূরণের মাধ্যমে জীবন যৌবনের জোয়ারে ভাসলে নাকি এমনই হয়।
একি আমি কোথায় ছিলাম আর কোথায়ই বা আছি ? হঠাৎ করে একি হল?আমার চারুলতা আমার কাছে নেই কোনো? কিছু সময় ভাবার পর বুঝতে পারলাম আমার চারুকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।এত প্রেম,এত আবেগ,এত ভালোবাসা,এত হাঁসি, এত খুশি সবই ছিল আমার দুপুর স্বপ্ন।বাস্তবে তো আমার চারুলতা আমাদের সবাইকে ছেড়ে সেই কবেই চলে গেছে ।চারুলতাকে অনেক দিন পরে স্বপ্নে পেয়েও আমি তৃপ্ত ।।চারু তুমি-তো ফিরবে-না জানি,তবে মাঝে মাঝে স্বপ্নে হলেও এসো একটু ছোঁয়া,একটু ভালোবাসা দিয়ো।তুমি ভালো থেকো।

বিঃদ্রঃ-ঘটনার সাথে বর্তমানের কোন সম্পর্ক নাই।ঘটনাটি সম্পূর্ন কাল্পোনিক ।
লেখক: আসাদুজ্জামান লিটন
তারিখঃ ১১ই মে ২০১৭ ইং সাল
সময়ঃ ভোর ৫টা ৩০ মিনিট
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৫৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×