পারভেজ সানজারি সম্পর্কে খুবই কাছের একজন ছোট ভাই । ২০০২ সাল থেকে সাথে পারভেজ সানজারীর সাথে আমার পরিচয়। পারভেজ সানজারির বেশ কিছু গুনা গুন যে কোন মানুষের মনে স্থান করে নেবার মত। তার সুন্দর করে কথা বলা বা বাচনিক দক্ষতা, আচার ব্যবহার, প্রতিক্ষেত্রে স্বচ্ছতা , বিচক্ষনতা, বন্ধু সুলভ আচরন , নম্রতা, পরিমার্জিত ভাষায় সব কিছু বুঝিয়ে বলা , পারস্পারিক স্নেহ , ভালবাসা , সহমর্মিতা,মানবিক দায়ীত্ব বোধ ও ধনী গরীব প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে তার স্রদ্ধা বোধ অনেকের কাছে ইর্শনিয় তবে আমাকে মুগ্ধ করে। বয়সে ছোট হলেও সানজেরিকে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে হয়।
ওলি-আউলিয়াদের পুণ্যভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামে পপ তারকা মিলা ইসলামের স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারি জন্ম গ্রহণ করেন।ছেলে বেলা থেকে বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে।বৈমানিক পারভেজ সানজারি বন্ধু মহলে সানজারি নামেই বেশ পরিচিত। দু’ই ভায়ের মধ্য তিনিই বড়।পারভেজ সমনজারির বাবা ও মা দুজনেই সরকারি চাকিুরিজিবি।তিনি শিক্ষা জীবন শুরু করেন বাংলাদেশের প্রথম ক্যাডেট কলেজ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ,সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রামে।মেধাবী ছাত্র হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করেন তিনি।
পরবর্তীতে তিনি ২০০৩ সালে (৫০জিডিপি) শাখায় কমিশন পদে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে যোগ দেন এবং পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে সেখানে তিনি ক্রীড়ানৈপুণ্য, মেধা, দায়িত্ববোধ, স্থিতপ্রজ্ঞ আচরণ, পরিমিতিবোধ, উদ্ভাবনী শক্তি ও সর্বোত্তম ক্যাডেট হিসেবে বিবেচিত হয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বি এম এ থেকে “সোর্ড অফ অনার” সম্মাননা পদকটি পান।
তাসবিয়া বিনতে শহীদ মিলা তবে দর্শক শ্রোতাদের কাছে মিলা ইসলাম নামটি বেশ পরিচিত একটি নাম। ২৬ মার্চ ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহন করেন মিলা ইসলাম। রাশি চক্রে তিনি মেষ রাশির যাতিকা।পিতা কর্নেল (অব শহিদ । মিলা ইসলাম অতি অল্প সময়ের মধ্যে পপ তারকা হিসেবে দর্শক শ্রোতাদের মন মন্দীরে বেশ ভালো একটি স্থান করে নিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশেই নয় দেশের বাহিরেও মিলা ইসলামের ক্ষাতি কমতি নাই।
অনলাইন সূত্রে জানাযায়, মিলার প্রথম একক এলবাম "ফেলে আসা" বের হয় ২০০৬ সালে। ২০০৮ সালে তার দ্বিতীয় একক এলবাম, ফুয়াদ ফিচারিং "মিলা চাপ্টার-২"বের হয়। ২০০৯ সালে, ফুয়াদ ফিচারিং মিলা "রি-ডিফাইন্ড" বের হয় ।এর পর থেকে মিলা ইসলামকে মিডিয়া অঙ্গনে তেমন একটা দেখা যায় নাই এমনকি এ সম্পর্কে কোন তথ্য সূত্রও নাই। ২০০৯ সালের "রি-ডিফাইন্ড" অ্যালবামটি বের হবার পর দীর্ঘ্ আটটি বছর তিনি কোথা ছিলেন কি করছিলেন?
২০০৬ সালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পপ তারকা মিলা ইসলামের সাথে পরিচয় হয় বৈমানিক পারভেজ সানজারির। সময়ের সাথে সাথে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আরও দৃঢ় ও মজবুত হতে থাকে। ঘনিষ্টতার এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব ওঠে তবে মিলা'কথা ছিল শুধু আংটিবদল হবে। অজানা কোন এক কারনে দুই পরিবার মিলে বিয়ের কাজটি সের ফেলেন কোন প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই। ক্ষতনামা পপ তারকা ও বৈমানিক দুজনের বিয়ে এরকম হওয়ার কারন কি ছিল?
নববধু মিলার হাতে মেহেদী রং থাকা অবস্থায় উত্তরা পশ্চিম থানায় নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যতনের মামলায় স্বামীকে পাঠালেন জেল হাজতে ।
অপরদিকে গত ৭ অক্টোবর রাত ২টা ৭ মিনিটে পপ তারকা মিলা ইসলাম তার ফেসবুক ওয়ালে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ঢালাও ভাবে তাদের ডিভোর্সের বিষয়টি প্রচার করেন এবং বীমান বালার সাথে স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কের খোজ খবর নিবেন বলে জনান।অতপর ঠিকি তিনি স্বামীর পরোকিয়ার খোজ খবর বের করেন এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় সেটা প্রচারও করছেন ।
উল্যেক্ষ যে পারভেজ সানজারিকে উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে জেলহাজতে প্রেরন করার পর থেকেই প্রাই পারভেজ সানজারির ফেসবুকটি যে কেউ অবৈধ ভাবে ব্যবহার করছেন যা আমার জানা মতে সাইবার ক্রাইমের অন্তর্ভু্ক্ত একটি অপরাধ ।
মিলা ইসলামের ১০ বছরের প্রেম এভাবে কয়এক দিনের ব্যাবধানে শেষ হয়ে যাবে? এ কথা কেউ কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারে নাই। মিলা ইসলামের যেসকল ভক্ত বৃন্দ মিলাকে তাদের আইডল ভাবত তারাও দিন দিন মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে মিলার দিক থেকে। মিলার এ ধরনের সিদ্ধান্ত কি আদৌ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলো? না কি অন্যের প্ররচনায় নিজের ও স্বামী পারভেজ সানজারির ক্যরিয়ার নিয়ে না ভেবেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। প্রতিহিংসায় কি সমাধান হয়?
শ্রদ্ধেয় প্রতিটি ব্লগারের নিকট মতামত চাই দুটি মনের কেন এ ভাঙ্গন? এর সমাধান কি?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১৬