somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্যরচনাঃ ব্লগার নীলপরির সাথে আমার পেত্তম ডেটিং ধ্যাত মিটিং আই মিন ফাস্ট মিটিং ;) ;) ;)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সকালে উইঠাই দেহি লুঙ্গি মাথায়। আরে ভাই থামেন। ডরাইয়েন না। শর্টস পরা আছে। রাইতে ঠান্ডা লাগতেছিল তাই লুঙ্গি মাথায় বাইন্ধা নিছিলাম। আপনেরা না এক্কেয়ারে যা-তা।

এদিকে বেটা আকাশ মাইয়া মানষির মতো কান্না শুরু করেছে। ইচ্ছে করছে ঠিক বাম কানের ইঞ্চি দুই নিচে একখান থাবড়া দিয়ে ঘুরায় দেই। কিন্তু অত্তো উঁচুতে হাত পাবো না তাই চিন্তাখান বাদ দিলাম। কিন্তু সকাল সকাল এই কান্নাকাটি আই মিন বৃষ্টি বাদলের কোন দরকার আছে! শুকনা মুখটা পাংশু কইরা রহমত চাচার দোকানে যাওয়ার জন্য বাইর হলাম। রহমত চাচারে আবার নাম দস্তখত শেখাচ্ছি। B-) সে আবার সামুর রেগুলার ভিজিটর। তাই দুইবেলা চা ফ্রি তয় সিগারেট কিনেই টানতি হয়। বেটা হাড় কিপটা। জাতির উন্নতি করতাছি কিন্তু দাম দিল না।

তো বাড়ির গেটের থেইকা বাইর হইয়া দেহি ছাতা আনি নি। ক্যামন লাগে। ইচ্ছা হইলো ছাতার বাট দিয়া মাথায় একখান গুতা দেই। কিন্তু ছাতা আনি নাই। তাই এবার এই চিন্তাটাও বাদ দিলাম। ভিজেটিজে কোনরকম চাচার দোকানে ঢুইকাই কইলাম চাচা চা দাও। চাচা মুখখানা ইন্দুরের মতো কইরা কয় নিজেরে কি প্রামাণিক ভাবো? যহনতহন চা চাইলেই দিয়া দিলাম। বইতে লাগো আবু আইয়া নিক তারপর দিতাছি। আমি তো টাস্কি খাইয়া কই কও কি? শাকিল ভাই মানে আবু শাকিল!! তুমার দোকানে। চায়ের দুধ গরু দেয় নাকি তুমি দাও। মাথা গেছে নাকি? বুইড়া।

গরুও না আর আমিও না। কন্ডেন্স মিল্ক দেই। গারল কুনহানের। আরে আমাগো পিচ্চি আবুইল্যা। বিলকিসের ছুডোপুলা। আমার দুকানে বেগার খাটে।

যাই হোক কিছুডা ধাতস্থ হইয়া আবুইল্যার হাতের থন চা নিয়া একখান নতুন কবিতার প্লট ভাবতাছি। ঠিক সেই চরম মুহূর্তে যেই মুহূর্তে একখান কবিতা প্রসব করার বেদনা আমার ভেত্রে উঁকিঝুঁকি দিতেছিল সেই মুহূর্তে একটা রিক্সা আইসা থামলো। রিক্সার ভেতর থেইকা লাউএর ডগার মতো দুইখান নির্মল সুন্দর হাত প্রসারিত কইরা নীল ছাতাসমেত একটা পেরাণী আমার সামনে আইসা দাঁড়াইলো। তারপর ভেজাচুলে ঝাটা দিয়া ত্থুক্কু ঝারা দিয়া চিপিয়া চিপিয়া পানি বাইর করবার তার মোহনীয় ভঙ্গী আমি চোখ দিয়ে গিলতে লাগিলাম। কিয়ৎকাল পর আমার পানে সে চক্ষু ছুড়িয়া মারিল মানে দৃষ্টি ছুড়িয়া পারিল। আমার পায়ের পন্স স্যান্ডেল জোড়া লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা দেখে সে হাসিয়া গড়াগড়ি খাইলো দুএকবার। তারপর ডান হাতখান আগায় দিয়া বলিল 'আমি নীলপরি'

আমি সাথে সাথে আমার বিদ্যা জাহির করা শুরু করলাম। হুটহাট কবিতা বাইন্ধা তারে চমকায় দিলাম।

পরি তুমি কার আকাশে ওড়ো
তার আকাশ কি আমার থেইকাও বড়ো


আমার এই অতিশীল্প গুণ সমৃদ্ধ কবিতা শুনিয়া নীলপরি লাজুক হাসিয়া ঠোঁট বাকাইয়া বলিল-

তুমি নিশ্চয় রাজপুত্র। দিশেহারা রাজপুত্র। এমন কবিতে সামুর আর কারো পক্ষে সম্ভব না। কি আবেগ! সেই আবেগের বেগে আমি যেন উড়ে যাচ্ছি পড়ে যাচ্ছি মরে যাচ্ছি।

তা শুনে আমি আমার আঠাইশ পাটি দাঁত বাহির করিয়া তার হাত ধইরা ঝুইলা পড়িলাম। তারপর আবুইল্যার হাতের আরেক কাপ চা নীলপরির হাতে ধরায় দিলাম। কিন্তু সে কয়।

আমার তো গ্যাস আছে রাজপুত্র। :(

একথায় আমার বিবেক উঠে দাঁড়ায়। কতো দরিদ্র মা চুলায় কাঠ গুজিয়া চোখ লাল করিয়া রান্না করে আর তুমি সমস্ত গ্যাস তুমার পেটের মধ্যি ভরিয়া রাখিছো। এ কেমন অন্যায়। তুমার কি মন বলে কিছু নেইইই? :)

সে আমার পশ্চাৎদেশে আই মিন মাথার পশ্চাৎদেশে চাটা দিয়া কয় আরে বেকুবের বাইশ ঘর। আমার আলসার। গ্যাস্ট্রিক বুঝো না মুর্খ কুনজাগার।

ঠিক সেই চরম মুহূর্তে যেই মুহূর্তে পরির গ্যাস্ট্রিক আছে জানলাম একরাশ পানি আমার শরীর জুড়ায়ে দিল। ঠান্ডা অনুভব হইতেই চোখ খুইলা দেখি শ্রদ্ধেয় আম্মাজান রুদ্রমূর্তি নিয়ে দাঁড়ায় আছেন। আর আমি বিছানা ভিজায় মানে ভিজা বিছানায় শুইয়া আছি।

কিরে? ঘুমের মধ্যি গুংগাইস ক্যান? হুম।

আমি কলাম ইয়ে মানে আম্মা পরির না গ্যাস্ট্রিক।

শুভ্র

প্রামাণিক ভাই, শাকিল ভাই কিংবা নীলপরি আপনাদের নাম ব্যবহারে যদি কোন আপত্তি থাকে তবে নিজ দায়িত্বে আমায় ভালোবাসবেন। আমার কিছু করার নাই। আমি অপারগ। :)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
১২৭টি মন্তব্য ১২৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×