আমাদের দেশ হাতুড়ে লোকজন দিয়ে ভরে গেছে। তাদের মাথা থেকেও বের হয় যত সব হাতুড়ে চিন্তা ভাবনা। হঁা আমি ভিআইপি লেনের কথা বলছি। যেখানে রাস্তায় গাড়ী দাড়ানোর জায়গা থাকে না সেখানে ভিআইপি লেনের মতো বিলাসিতা আমাদের চিন্তা করতে হয়। কিছুদিন আগে দেখেছিলাম কোন এক চায়ের দোকানি ইউ লুপ আবিষ্কার করেছে। সেটা আবার বিভিন্ন ইন্জিনিয়ার বলছে কিভাবে তার মাথা থেকে এরকম চিন্তা আসলো? এটাতো ইন্জিনিয়ারদের চিন্তা করার কথা। আপনাদের মাথা থেকে এসব বুদ্ধি আসবেনা। কারন আপনারাতো রাস্তা দেখে তারপর ডিজাইন করেন না। এই ইউলুপ হচ্ছে রাউন্ডএবাইটের আরেকটি ভার্সন। আমাদের আমলারাতো বিদেশে ভ্রমনে ওস্তাদ। তো এরকম রাউন্ড এবাউট কি আপনাদের চোখে কখনো পড়েনি?
কয়দিন আগে যশোর রোডের গাছ কাটা নিয়ে অনেক হুলুস্থুল হয়ে গেল। পরে দেখলাম একজন উচ্চপর্যায়ের অফিসার বল্লো তারা ভারতে যাবে দেখতে কিভাবে ভারতে গাছ বাঁচিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। আরে ভাই দেশ ডিজিটাল বানাচ্ছেন, আর রাস্তা দেখতে ভারতে যেতে হয়! গুগল স্ট্রিট ভিউতেই তো দেখা যায়। তার থেকে বড় কথা দেশে এমন কোন ইন্জিনিয়ারকি নেই যে গাছ নাকেটে রাস্তার ডিজাইন করতে পারে। এটাতো একটা সাধারন জ্ঞান। রাস্তার দুই পার্শে গাছ আছে। এক পার্শের গাছকে রাস্তার মাঝখানে রেখে অন্যপার্শে আরেকটি লেন বানালেই গাছ কাটা লাগে না।
এবার আসি প্রশ্নপত্র ফাঁসনিয়ে। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে আর প্রশ্নপত্র এখনো সেন্টারে যাচ্ছে এনালগ উপায়ে। এটাকে ডিজিটাল করে ফেল্লেই হয়ে যায়। প্রত্যেক সেন্টারে একটা অনলাইন প্রিন্টার দিয়ে দিলেই হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ৩০ মিনিট আগে সেন্টারে ঢুকছে। ঠিক ৩০ মিনিট আগে শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে প্রশ্ন সেন্টারে পাঠানো হবে। সেখানে স্বয়ংক্রিংভাবে প্রিন্ট হবে। সেই কক্ষে ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবে। মনে হয় শুনেছিলাম বুয়েটের কিছু ছাত্র ব্লাক বক্স বা এ জাতীয় কিছু বানাচ্ছে যেটা দিয়ে প্রশ্ন পাঠানো যাবে। এতো জটিল না করে সাধারন প্রিন্টার দিয়ে এটা করা সম্ভব। সিম যুক্ত প্রিন্টার হবে এবং সেটা মেইন সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকবে। মেন্যুলগ নামক একটা ফুড ডেলিভারি ওয়েব সাইট আছে। ওখানে যে কেও পছন্দের রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার দিতে পারে। ওয়েবসাইট খাবারের অর্ডার পাবার পরই সেই অর্ডার পছন্দের রেষ্টুরেন্টে রাখা প্রিন্টারে প্রিন্ট হয়। যদি কোন কারনে প্রিন্টারে প্রিন্ট না হয় তবে তা ম্যেনুলগ এডমিন দেখতে পারে এবং রিসেন্ড করতে পারে। এই একই টেকনোলজি ব্যবহার করে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা যায়। প্রশ্নফাঁশ জাতীয় সমস্যা হয়ে গেছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে এখনই এটা বন্ধ করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯