somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খানকির পুত আইজিপির মাদারচোদ পুলিশ

১১ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুধু প্রমোশন, বদলী, দুর্নীতির সুযোগের জন্য মাদারচোদ পুলিশের কর্মকর্তারা অধিনস্ত পুলিশ বাহিনী দিয়ে কি করায় তার একটি নমুনা।

বিএনপি নেত্রী ডলির ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে ডিবি পুলিশ।বিএনপি নেত্রী রেহানা ইয়াসমিন ডলির ওপর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে।ডলিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার করার পর ডিবি হেফাজতে থাকার সময় মেহেদী হাসান নামের এক পুরুষ পুলিশ সদস্য, শাহিনা নামের এক মহিলা পুলিশ সদস্য এবং অন্য আর একজন তাদের উধ্বর্তন কর্মকর্তার নির্দেশে তার শরীরের কাপড় খুলে উলঙ্গ করে।শাহিনা তখন তার গায়ের কাপড় ধরে টানাটানি করে।ডলি পানি চাইলে মেহেদী হাসান তাকে প্রস্রাব দিতে বলে। সে সময় ৪-৫ পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে তাকে পেটাতে থাকে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে শাহিনা তার এক হাতের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে দাঁড়ায় এবং তার মুখমণ্ডলে বুট দিয়ে লাথি মারতে থাকে। ডলিকে যখন পেটানো হচ্ছিল, তখন বার বার তাকে বোমা বিস্ফোরণের কথা আদালতে গিয়ে স্বীকার করতে বলা হয়। ডলি নির্যাতনের কারণে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

ডলি জানান, গত ২৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯.৩০টায় তিনি তার শোয়ার ঘরে এশার নামাজ পড়ছিলেন। তখন ঘরের বাইরে তার মায়ের সঙ্গে অপরিচিত ব্যক্তিদের কথা বলতে শোনেন। হঠাৎ ঘরের মধ্যে ৮-১০ জন প্রবেশ করে তাদের ঘর তল্লাশি করতে থাকে। তিনি জানতে চান তারা কারা, কেন ঘর তল্লাশি করছে? তাদের একজন নিজেদের ওয়ারী থানার পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেয় এবং ডলিকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। ডলি একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ওয়ারী থানায় যান। তাকে থানায় নিয়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন জানিয়ে বসিয়ে রাখা হয়।

এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম তাকে মোবাইল ফোনসেটে ৩টি নম্বর দেখিয়ে সে নম্বরগুলো চেনেন কিনা জানতে চান। তিনি ডলির কাছে আরও জানতে চান যে, তিনি ঢাকা মহানগরীর ৭০, ৭৪ এবং ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য নমিনেশন পেয়েছেন কিনা। কিছুক্ষণ পর মহানগর গোয়েন্দা শাখা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) হায়াতুল ইসলাম ওয়ারী থানায় আসেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।এসি হায়াতুল তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তার কাছে যে প্যাকেটগুলো আছে, তিনি সেগুলো কোথায় রেখেছেন? কিসের প্যাকেটের কথা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে—ডলি তা জানতে চাইলে এসি হায়াতুল ইসলাম তাকে বলেন, ‘তোমাকে পেটানো শুরু করলেই সব বুঝতে পারবে।’ এরপর তাকে ওয়ারী থানা থেকে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে নেয়া হয়। রাত ১১টায় তাকে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিনের কক্ষে নেয়া হয়।

এ সময় এসি মহিউদ্দিন তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে প্রত্যেকটি নম্বরের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন। ৩০ এপ্রিল রাতে ৭-৮ মহিলা ও পুরুষ পুলিশ সদস্য এসে তাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে কক্ষটি তালাবদ্ধ করে রাখে। ৩০ এপ্রিল পুলিশ সদস্য মেহেদী হাসানসহ আরেকজন এসে তাকে অন্য কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তার নাম ও পূর্ণ পরিচয় একটি কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং আদালতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বলতে বলা হয় যে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশেই তিনি ২৯ এপ্রিল সচিবালয় গেটে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।

ডলির ছেলে আরিফুল ইসলাম সৌরভ (১৯) জানায়, ৩০ এপ্রিল বিকালে হারুন-অর-রশিদ নামে তার এক মামা মোবাইল ফোনে জানান তার মাকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম কোর্ট) একটি পুলিশ ভ্যানে করে আনা হয়েছে। এ খবর পেয়ে সৌরভ বিকালে আদালত প্রাঙ্গণে যায় এবং তার মাকে এজলাসের বেঞ্চে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় শোয়ানো দেখতে পায়। এ সময় সৌরভ তার মায়ের দু’হাত, মুখমণ্ডল এবং কোমরে জখমের কালো চিহ্ন দেখতে পায়।

ডলির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ৩০ এপ্রিল তিনি অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেনের মাধ্যমে জানতে পারেন ডলিকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আনা হয়েছে। সে সময় তিনি দ্রুত পুলিশ ভ্যানের কাছে গিয়ে ডলিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভ্যান থেকে নামাতে দেখেন। ডলি এ সময় হাঁটতে পারছিলেন না। দুজন পুলিশ সদস্য ডলিকে ধরে ছিল।

পরে ডলিকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালত নম্বর ৩২-এর এজলাসের বেঞ্চে নিয়ে শুইয়ে রাখা হয়। তখন ডলির মুখমণ্ডল, দু’হাতসহ কোমরের পেছনের অংশে রক্ত জমাট বাঁধা কালো চিহ্ন দেখতে পান। শুনানি চলাকালীন পুলিশ সদস্যরা ক’বার ডলিকে কাঠগড়ায় উঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ডলি ভীষণ অসুস্থ থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি। ডলিকে এজলাসের বেঞ্চে শোয়ানো অবস্থায় শুনানি শুরু হলে শাহবাগ থানার পুলিশ সদস্যরা ডলিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×