সার্কেলের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন তাদের সবান্ধব একাত্মতার জন্য । সর্বাগ্রে আলোচিত বিষয়ের মত করে বেশ কিছু ধারণা সম্পর্কে নিজের চিন্তা-চেতনাকে পরিশুদ্ধ করতে হবে । নচেত আগামীর দিনগুলোতে পথ চলতে হোঁচট খাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকেই যায় প্রকৃতপক্ষে ।
তথ্যসূত্রঃ ফ্রি বাংলাদেশ সার্কেল
দেশের মানুষকে স্বাধীনতার পথ দেখাতে যেই বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ এরপর আওয়ামী লীগের প্লাটফর্মে বাংলার জনগণকে সংগঠিত করেছিল সেই বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই বাকশাল গঠন করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু নিজে বলেছিলেন, "আওয়ামী লীগ কি জিনিস তা তোমাদের থেকে আমি ভালো জানি।এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করতে পারলে হবেনা ... একে অবশ্যই বিলুপ্ত/নিষিদ্ধ করতে হতে ... তাই বাকশাল অপরিহার্য।" তিনি তখন বাকশাল গঠন করেছিলেন অন্য সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে।এবার ভাবুন তখন আওয়ামী লীগ আর কোন সক্রিয় বৃহত দল ছিল যাকে নিষিদ্ধ/বিলুপ্ত করতে বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের প্রয়োজন ছিল ?
বঙ্গবন্ধু'কে হত্যার পেছনে ৫০% হাত ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, ১৫% সিভিল আমলাদের, ১০% রাজাকারের, ২০% বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর, ৫% বিদেশি শক্তির।অসংখ্য প্রমান ও যুক্তি আছে, ছোট্ট একটি - খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রী সভায় বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার ১৯ জন মন্ত্রীর ১৫ জন, ১১ জন প্রতিমন্ত্রী ৯ জন প্রতিমন্ত্রী যোগ দিয়েছিল ।
আওয়ামী লীগ কখনও দেশ প্রেমিক নেতা জীবিত রাখে না, সে বঙ্গবন্ধুই হউক আর নরসিংদীর লোকমান হোসেনই হউক ...
তাছাড়া, ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত ১৯৭২ সালে সংসদ অবৈধ ছিল - সংবিধানও তাই।৭০ এর নির্বাচনে বাংলার জনগণ বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে না।৭১ এর জনগণের যুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু'কে আওয়ামী লীগের উচ্চাভিলাসী নেতারা ও পাকিস্তান শাসনের অবকাঠামোয় থাকা সিভিল মিলিটারি আমলারা পরামর্শ দিয়েছিল একটি বিপ্লবী জাতিয় সরকার না করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে।যেই ব্যর্থতা উপলব্ধি করে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ায়ামী লীগকে বিলুপ্ত করে বাকশাল গঠন করেছিল।এ কাজটি বঙ্গবন্ধুর করা উচিত ছিল ১৯৭২ সালে।তখন যদি বাকশালের গঠন হতো তাহলে বাংলার ইতিহাস হতো অন্যরকম ...
ফ্রি বাংলাদেশ সার্কেল
মুজিব
যদি ধরা না দিয়ে পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ
করতেন, কোন ভাঙা বেতারকেন্দ্র
থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করতেন,
তাহলে কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ
আরো তীব্র, আরো সফল হতো?
তাহলে কি তিনি মুজিব হতেন?
তাহলে তো তিনি হতেন মেজর জিয়া।
মুজিব পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের
ঘোষণা দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না,
তিনি মুজিব হতেন না, হতেন সামান্য
“বিচ্ছিন্নতাবাদ ী”,
এবং আমরা একটি বিশাল রাজনীতিক
ভাবপ্রতিমাকে হারাতাম,
মুক্তিযুদ্ধে আমরা এতো অনুপ্রেরণা বোধ
করতাম না। যোদ্ধা মুজিবের
থেকে বন্ধী মুজিব ছিলেন অনেক
শক্তিশালী ও প্রেরণাদায়ক, তিনি তখন
হয়ে উঠেছিলেন মহানায়ক, ঘোষকের
থেকে অনেক ওপরে যাঁর স্থান।
মুক্তিযুদ্ধের সময়টি ভ’রে তিনিই ছিলেন
নিয়ন্ত্রক ও প্রেরণা, তিনিই ছিলেন,
এক অর্থে, মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের
কারাগারে তিনি হয়তো মুক্তিযুদ্ধের
কথা জানতেনও না,
পাকিস্তানিরা তাঁকে তা জানতে দেয় নি,
মুক্তিযুদ্ধের রূপ
কী তা হয়তো তিনি কল্পনাও
করতে পারেন নি; কিন্তু সমগ্র বাঙালির
রূপ ধ’রে তিনিই ক’রে চলেছিলেন
মুক্তিযুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধে প্রতিটি বাঙালি ও
মুক্তিযোদ্ধাই ছিলো মুজিবের দ্বিতীয়
সত্তা।
মুজিবের বন্দীত্ব মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার
থেকে অনেক বড়ো ঘটনা।
ঘোষণা ক’রে ঘোষক হওয়া যায়, মুজিব
হওয়া যায় না।– হুমায়ন আজাদ
(আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম)
ফ্রি বাংলাদেশ সার্কেল
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৬