তার আশে পাশে কান্নাকাটি করছে তার স্ত্রী ও ৫ সন্তান। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির হঠাৎ মৃতূ্যর পর এই পরিবারের ৫টি সন্তানের ভবিষ্যৎ কী ?
যার আর্থিক অবস্থা এত খারাপ তার কেন এতগুলো সন্তান জন্ম দেয়ার ইচ্ছা হল ? চার দিকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক প্রচারণা তো কম নয়। তাহলে সে কেন তার পরিবারটি ছোট রাখে নি ?
এর পিছনে আরেকটি ভয়াবহ কারণ। শিশুরা যেন তেন একটা কাজ পেলেই মাস গেলে আট নয় শ টাকা আয়। তাদের সন্তানদের পেছনে কোন ব্যয় নাই। কোন রকমে মানুষের কাছে চেয়ে চিন্তে ৭ থেকে ৮ বছর পার করে দিতে পারলেই তারপর আয় শুরু। নির্মম এই আয়ের পদ্ধতি আমাদের কাছে ভয়াবহ মনে হলেও তাদের কাছে মনে হয় না। তারা মনে করে, অধিক সন্তান মানে অধিক আয়।
তাদের শিশুদের কাজে দেয়াটা খারাপ না মনে করার আরেকটা কারণ হল, তারা নিজেরাও শিশুকাল থেকে কাজ করতে করতে বড় হয়েছে। তাদের নিজেদের শৈশব ছিল ভয়াবহ। কোন একটা অন্ধকার কারখানায় কেটেছে তার সোনালি শৈশবের অন্ধকার দিনগুলি। তারপর একটা বয়সে এসে তার আর শারীরিক পরিশ্রম ভালো লাগে না। মন চায় একটু অবসর। একটু স্বচ্ছলতা। তাই এই সন্তানের নামে আয়ের দরজা খোলার চেষ্টা।
আমরা যদি প্রকৃত অর্থে শিশু শ্রম বন্ধ করতে চাই, বন্ধ করতে হবে এই অমানবিক জন্ম। কঠিন আইন করে বন্ধ করে দিতে ২ এর অধিক সন্তানের জন্ম । নচেৎ কর্মজীবী শিশুর অসহায় মুখের সারি কোন দিনও কমবে না।
আর দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
(বিঃদ্রঃ ব্লগার মনজুরুল হক ভাইকে শ্রদ্ধা। তার লেখা পড়েই এই ভাবনাগুলো মাথায় এল। )
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:৫০