- হিমেল ভাই কে আজকে দেখছিলা?
- হুম দেখলাম তো
- কথা বলতে যাওনি যে?
- তুমি কথা বলেছো এতেই তো হবে
- ভদ্রতা টুকু দেখাতে পারতা?
- ও, উনি এখন মস্ত বড় কেউকেট বলে আমাকে দেখা করতেই হবে?
- এইভাবে কথা বলছো কেন সাব্বির?
- একটা দাওয়াতে কারো সাথে দেখা না করার জন্য এত সিরিয়াস হচ্ছো কেন তিশা?
- তুমি কি আমার ব্যাপারটার জন্য তাকে অ্যাভোয়েড করো?
-পুরনো কথা মনে আছে দেখছি? ভালো তো ভালো না?
- সাব্বির, কি বলতে চাও তুমি?
- তুমি যে এক কালে তোমার হিমেল ভাইয়ের প্রতি দুর্বল ছিলা সেটাই...
- তুমি সেটা জেনেই তো আমাকে বলেছিলা ভালোবাসি তাই না?
- ভুল করেছিলাম কোনো?
- আমিও জানতাম তুমি এক কালে সিলভিয়ার সাথে
- জাস্ট সাট আপ তিশা!!!!
সাব্বিরের মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। সামান্য এক বিয়ে বাড়ির ঘটনা নিয়ে এইভাবে কথা কাটাকাটি কি ঠিক হল? আর বিয়ের দেড় বছরের মাথায় পুরনো প্রসঙ্গটাও উঠে ফেলার দরকার বা কি ছিল। রাত একটার আগে ঘুমানো হয় না সাব্বিরের। আমার কি দোষ এই ভাবতে ভাবতে ১১ টায় শুয়ে গেল বিছানায়, একটাও কথা হয়নি তিশার সাথে।
হুট করে ঘুম ভেঙ্গে গেল সাব্বিরের। পাশে তিশা নাই, গেল কোথায়? মোবাইলের ঘড়িতে রাত দুটা বাজে। উঠে বসল সাব্বির। ঘরে পাশে লাগানো বারান্দায় কার যেন ছায়া। যেয়ে দেখল গ্রিলের সাথে মুখ লাগিয়ে আছে অভিমানী মেয়েটি। কাঁদছে নাকি? চাদের সামান্য আলো ওর মুখে এসে পড়ছে।
অভিমানে ভরে আছে তিশার মনটা। সাব্বির এইরকম করল কেন? সে কি আমাকে সন্দেহ করে? আমি তো কিছুই বললাম না তাকে। এইভাবে ব্যাপার টা তুলে আনার কি দরকার ছিল। চোখের পানি গড়িয়ে পরছে তিশার গালে।
চমকে উঠল তিশা, পিছন থেকে ওর কোমর এসে জড়িয়ে ধরেছে সাব্বির। সাব্বিরের মুখ টা নেমে আসল তিশার ঘাড়ে। ফিস ফিস করে বলে উঠল , “ ভুল হয়ে গেছে তিশা, বড্ড ভালোবাসি তোমাকে, সারাজীবন ভালোবেসে যাবো”। দুই বছর আগেকার সেই পরিচিত মমতা মাখানো কণ্ঠ। এক নিমিষেই তিশার সব অভিমান দূর হয়ে গেল। রাতের স্নিগ্ধ চাঁদের আলো দুজনার উপর এসে পরছে এখন।