somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ইটের জবাব পাথর দিয়া ।

২২ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাহেদা ফোনে একটি ফান ম্যাসেজ করল রফিককে । ম্যাসেজ ভুলক্রমে চলেগেল রশিদের ফোনে ।রশিদ মনে মনে ভেবে নিল সাহেদা ম্যাসেজটি ওকেই দিয়ছে । সাহেদা রফিক রশিদ এরা তিনজন কেবল কলেজের ইন্টারে ফাস্ট ইয়ারে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী । ম্যাসেজটি পাওয়ার পর থেকে রশিদের মনে নব প্রেমের জোয়ার বইতে শুরু করছে । সেও বহু দিন থেকে সাহেদাকে ভালবাসার কথা বলবে বলবে বলে, বলে ওঠতে পারেনি তার আগেই ফোন ম্যাসেজ বাহ মেঘ না চাইতে বৃষ্টি । সাহেদা রফিক রশিদ ওদের দুজনকেই বন্ধুর ভাবেন । সাহেদার আর বন্ধু আছে তাদের থেকে একটু অন্য চোখে ওদের দুজনকে দেখে,তবে এ দেখা ভালবাসার দেখা,এদেখা দুজন ভালো বন্ধুর দেখা,এ দেখা প্রেমের দেখা না ।

রফিক আর রশিদ তারা দুজনেই সাহেদাকে মনে প্রাণে ভালবাসে । কেউ কাউকে মুখমুখি বলেনি তাদের ভালবাসার কথা ।
একদিন কলেজের চায়ের স্টরে বসে রশিদ আর সাহেদা বসে চা পাণ করছেন । রফিক এসে তাদের দুজনকে পাশাপাশি এক সাথে বসে চা খেতে দেখে সে ভীষন রাগ করলো । মনে ভাবলো না রশিদকে ছড়াতে হবে সাহেদার পথ থেকে না হলে আমি হারাবো সাহেদাকে ।
এক দুপুরে রশিদের সাথে রফিকের কিছু কথা কাঁটাকাঁটি হয় সাহেদাকে নিয়ে । আর এ কথা কাঁটাকাঁটির ভেতরে রশিদ রফিককে একটি চর মেরে বসে ।সাহেদা দূর থেকে রফিক আর রশিদের তর্ক বিতর্ক দেখে প্রথমে ভেবেছিল তারা হয়ত দুষ্টমি করছে । পরে যখন সাহেদা দেখতে পেল ওখানে হট্রগন্ডগোল হচ্ছে, তখন সে দৌড়ে এসে রশিদ আর রফিক দুজনকে দুই পাশে সরিয়ে দিল ।

ঐ সময়ের মত রফিক রশিদ দুইজন দুইদিকে চলে গেল ।
রাতে রফিক বিছানায় শুয়ে চিন্তা করলো পরদিন রশিদকে বেকায়দায় ফেলে পেটাবে । রফিক সকালে কলেজে গিয়ে রশিদকে দেখে চা ষ্টরে বসে চা খাচ্ছে । রশিদ যে টেবিলে বসে খাচ্ছে রফিক সে টেবিলের সামনে গিয়ে রশিদকে বললো শালা পারলে আজ বিকেলে একবার আমাদের বাড়ির পেছনের মাঠে আসিছ দেখা যাবে তুই কেমন বাপের বেটা ।
রশিদ রফিকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলো । বিকেলে রশিদ তার দুজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেল রফিকদের বাড়ির পেছনের মাঠে ।রফিক ও আর তার জন পাঁচেক বন্ধু মিলে প্রষ্টুত হয়ে রইল । রশিদ আসা মাত্রই তাকে হিট করতে চাইল রফিক ।রফিকের বন্ধু সংখা বেশি দেখে রশিদের সাথে থাকা এক বন্ধু বললো ভাই তোরা একটা মেয়েকে কেন্দ্র করে কেন নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করতেছিছ ? তা ছাড়াও তোরা দুজনই কিন্ত ভাল বন্ধু ছিলি । অনেক বলে বুঝিয়ে রফিক আর রশিদ এ দুজনের মিলমিশ করে দিল । রশিদ রফিকের কাছে ক্ষমা চাইল রফিক রশিদকে সরি বল্ল ।

দুজন দুজনের বাসায় চলে গেল ।

অর্ধেক পথে রফিকের এক বন্ধু রফিককে বললো কিরে রফিক রশিদকে হাতের কাছে পেয়েও ছেড়ে দিলি । এ যাত্রা ও তোকে বোকা বানিয়ে গেল আর তা ছাড়া একটি চর মেরে ক্ষমা চাইলেই সব শেষ হয়ে গেল ।
রফিক বললো কি বলিছ তোরা ?
তা হলে আমি কি করব ? বন্ধুরা বললো প্রতিশোধ নিবি । ও তোকে একটি চর মেরে ইট মেরেছে । আর তুই ওর হাত,পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দিয়ে প্রমান করবি যে তুই ওকে ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিছিছ ।

রফিক রশিদকে ফোন দিল । এই রশিদ আমরা মিলে গেলাম এটার জন্য আজ আমারা উইস করব মাল খাব । আসিছ বিকেলে একবার আমাদের বাড়ির পিছনে খালি মাঠে ।

রশিদ বললো ঠিক আছে বন্ধু আসবো ।

বিকেল পাঁচটার সময় রশিদ একা একা রফিকদের মাঠে চলে গেলেন । রফিক রশিদকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে খুব মারধোর করলেন ।
রফিকেরা চলে যাওয়ার পরে রশিদকে হাসপাতালে নেওয়া হয় ওখানে ডাক্তাররা রশিদকে মৃত ঘোষনা করেন ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সকল কিছু তদন্ত করে রফিকদের নাম তাদের লিস্টে তুলে নেন ।

রফিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে রফিক পুলিশের কাছে সব সত্য কথা বলে । তাদের নামে মামলা হয় । মামালায় জজ সাহেব রফিকদের ভবিষৎ কথা ও তাদের বয়সের কথা বিবেচনায় রেখে তাদের ৭ বছরের বন্দী জীবনে পাঠিয়ে দেন ।

একটি কলেজে একজন টিচারকে তার নিজ দায়ত্বে সব সময় তার ছাত্র ছাত্রী কি করছে কোথায় যাচ্ছে এগুলো খবরা খবর বা খেয়াল রাখা জরুরী । এ গল্পের এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে মারল যারা তাদের পাশে থেকে বিষয়টি দেখেছেন তাদের এগিয়ে এসে তাদের আটকান বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রয়োজন ছিল । আমরা যখন কাউকে ফোন দেই তখন আমাদের ভাল করে লক্ষ করা উচিত আমি কাকে ফোন দিচ্ছি বা সঠিক স্থানে ফোন দিচ্ছি কিনা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৯
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×