সাহেদা ফোনে একটি ফান ম্যাসেজ করল রফিককে । ম্যাসেজ ভুলক্রমে চলেগেল রশিদের ফোনে ।রশিদ মনে মনে ভেবে নিল সাহেদা ম্যাসেজটি ওকেই দিয়ছে । সাহেদা রফিক রশিদ এরা তিনজন কেবল কলেজের ইন্টারে ফাস্ট ইয়ারে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী । ম্যাসেজটি পাওয়ার পর থেকে রশিদের মনে নব প্রেমের জোয়ার বইতে শুরু করছে । সেও বহু দিন থেকে সাহেদাকে ভালবাসার কথা বলবে বলবে বলে, বলে ওঠতে পারেনি তার আগেই ফোন ম্যাসেজ বাহ মেঘ না চাইতে বৃষ্টি । সাহেদা রফিক রশিদ ওদের দুজনকেই বন্ধুর ভাবেন । সাহেদার আর বন্ধু আছে তাদের থেকে একটু অন্য চোখে ওদের দুজনকে দেখে,তবে এ দেখা ভালবাসার দেখা,এদেখা দুজন ভালো বন্ধুর দেখা,এ দেখা প্রেমের দেখা না ।
রফিক আর রশিদ তারা দুজনেই সাহেদাকে মনে প্রাণে ভালবাসে । কেউ কাউকে মুখমুখি বলেনি তাদের ভালবাসার কথা ।
একদিন কলেজের চায়ের স্টরে বসে রশিদ আর সাহেদা বসে চা পাণ করছেন । রফিক এসে তাদের দুজনকে পাশাপাশি এক সাথে বসে চা খেতে দেখে সে ভীষন রাগ করলো । মনে ভাবলো না রশিদকে ছড়াতে হবে সাহেদার পথ থেকে না হলে আমি হারাবো সাহেদাকে ।
এক দুপুরে রশিদের সাথে রফিকের কিছু কথা কাঁটাকাঁটি হয় সাহেদাকে নিয়ে । আর এ কথা কাঁটাকাঁটির ভেতরে রশিদ রফিককে একটি চর মেরে বসে ।সাহেদা দূর থেকে রফিক আর রশিদের তর্ক বিতর্ক দেখে প্রথমে ভেবেছিল তারা হয়ত দুষ্টমি করছে । পরে যখন সাহেদা দেখতে পেল ওখানে হট্রগন্ডগোল হচ্ছে, তখন সে দৌড়ে এসে রশিদ আর রফিক দুজনকে দুই পাশে সরিয়ে দিল ।
ঐ সময়ের মত রফিক রশিদ দুইজন দুইদিকে চলে গেল ।
রাতে রফিক বিছানায় শুয়ে চিন্তা করলো পরদিন রশিদকে বেকায়দায় ফেলে পেটাবে । রফিক সকালে কলেজে গিয়ে রশিদকে দেখে চা ষ্টরে বসে চা খাচ্ছে । রশিদ যে টেবিলে বসে খাচ্ছে রফিক সে টেবিলের সামনে গিয়ে রশিদকে বললো শালা পারলে আজ বিকেলে একবার আমাদের বাড়ির পেছনের মাঠে আসিছ দেখা যাবে তুই কেমন বাপের বেটা ।
রশিদ রফিকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলো । বিকেলে রশিদ তার দুজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেল রফিকদের বাড়ির পেছনের মাঠে ।রফিক ও আর তার জন পাঁচেক বন্ধু মিলে প্রষ্টুত হয়ে রইল । রশিদ আসা মাত্রই তাকে হিট করতে চাইল রফিক ।রফিকের বন্ধু সংখা বেশি দেখে রশিদের সাথে থাকা এক বন্ধু বললো ভাই তোরা একটা মেয়েকে কেন্দ্র করে কেন নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করতেছিছ ? তা ছাড়াও তোরা দুজনই কিন্ত ভাল বন্ধু ছিলি । অনেক বলে বুঝিয়ে রফিক আর রশিদ এ দুজনের মিলমিশ করে দিল । রশিদ রফিকের কাছে ক্ষমা চাইল রফিক রশিদকে সরি বল্ল ।
দুজন দুজনের বাসায় চলে গেল ।
অর্ধেক পথে রফিকের এক বন্ধু রফিককে বললো কিরে রফিক রশিদকে হাতের কাছে পেয়েও ছেড়ে দিলি । এ যাত্রা ও তোকে বোকা বানিয়ে গেল আর তা ছাড়া একটি চর মেরে ক্ষমা চাইলেই সব শেষ হয়ে গেল ।
রফিক বললো কি বলিছ তোরা ?
তা হলে আমি কি করব ? বন্ধুরা বললো প্রতিশোধ নিবি । ও তোকে একটি চর মেরে ইট মেরেছে । আর তুই ওর হাত,পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দিয়ে প্রমান করবি যে তুই ওকে ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিছিছ ।
রফিক রশিদকে ফোন দিল । এই রশিদ আমরা মিলে গেলাম এটার জন্য আজ আমারা উইস করব মাল খাব । আসিছ বিকেলে একবার আমাদের বাড়ির পিছনে খালি মাঠে ।
রশিদ বললো ঠিক আছে বন্ধু আসবো ।
বিকেল পাঁচটার সময় রশিদ একা একা রফিকদের মাঠে চলে গেলেন । রফিক রশিদকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে খুব মারধোর করলেন ।
রফিকেরা চলে যাওয়ার পরে রশিদকে হাসপাতালে নেওয়া হয় ওখানে ডাক্তাররা রশিদকে মৃত ঘোষনা করেন ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সকল কিছু তদন্ত করে রফিকদের নাম তাদের লিস্টে তুলে নেন ।
রফিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে রফিক পুলিশের কাছে সব সত্য কথা বলে । তাদের নামে মামলা হয় । মামালায় জজ সাহেব রফিকদের ভবিষৎ কথা ও তাদের বয়সের কথা বিবেচনায় রেখে তাদের ৭ বছরের বন্দী জীবনে পাঠিয়ে দেন ।
একটি কলেজে একজন টিচারকে তার নিজ দায়ত্বে সব সময় তার ছাত্র ছাত্রী কি করছে কোথায় যাচ্ছে এগুলো খবরা খবর বা খেয়াল রাখা জরুরী । এ গল্পের এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে মারল যারা তাদের পাশে থেকে বিষয়টি দেখেছেন তাদের এগিয়ে এসে তাদের আটকান বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রয়োজন ছিল । আমরা যখন কাউকে ফোন দেই তখন আমাদের ভাল করে লক্ষ করা উচিত আমি কাকে ফোন দিচ্ছি বা সঠিক স্থানে ফোন দিচ্ছি কিনা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৯