somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাণের প্রিয় কবি দুঃখাইরে নিয়ে কিছু কথা

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রথমেই শুরু করি চল চল চল দিয়ে । এটা অবশ্য সম্ভবত কাজী নজরুল ইসলাম মানে
আমাদের প্রাণের প্রিয় দুঃখাই মিয়ার নজরুলগীতি । এখানেই শেষ নয় আরো আছে । ধীরে ধীরে দেখতে থাকুন ।

চল চল চল
চল চল চল ।
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণি তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল রে চল রে চল
চল চল চল ।

ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল ।

নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল
চল রে নও জোয়ান
শোন রে পাতিয়া কান
মৃত্যু তরণ দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহবান ।
ভাঙ রে ভাঙ আগল
চল রে চল রে চল
চল চল চল ।
ঊর্ধ্ব আদেশ হানিছে বাজ
শহীদী ঈদের সেনারা সাজ
দিকে দিকে চলে কুচ কাওয়াজ
খোল রে নিদ মহল ।
কবে সে খেয়ালী বাদশাহী
সেই সে অতীতে আজো চাহি
যাস মুসাফির গান গাহি
ফেলিস অশ্রুজল ।
যাক রে তখত তাউস
জাগ রে জাগ বেহুঁশ ।
ডুবিল রে দেখ কত পারস্য
কত রোম গ্রীক রুশ
জাগিল তারা সকল
জেগে ওঠ হীনবল ।
আমরা গড়িব নতুন করিয়া
ধুলায় তাজমহল ।
চল চল চল ।

নিচে কাজী নজরুল ইসলাম মানে দুঃখাই মিয়ার কিছু নজরুলগীতি সঙ্কলন দিয়ে দিলাম আর এই সঙ্কলনটির নাম হলো গানের মালা
। এটি ৯৫ টি সংগীত সমৃদ্ধ গ্রন্থটি ১৯৩৪ সালের ২৩ অক্টোবর প্রকাশ করেন গুরুদাস চট্রোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স । গ্রন্থটি উৎসর্গপত্রে লেখা ছিল: "পরম স্নেহভাজন শ্রীমান অনিলকুমার দাস কল্যাণবরেষুকে"।


এই গ্রন্থ যে সকল গানে সমৃদ্ধ গ্রন্থটি সেগুলি হলঃ

আমি সুন্দর নহি জানি
আধো আধো বোল
না ই পরিলে নোটন খোঁপায়
অয়ি চঞ্চল লীলায়িত দেহা
ভুল করে যদি ভালোবেসে থাকি
ঝরাফুল- বিছানো পথে এস
প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই
আজ নিশীথে অভিসার তোমার পথে
কার মঞ্জীর রিনিঝিনি বাজে
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যদি যাই
বল রে তোরা বল ওরে ও আকাশ ভার তারা
বল সখি বল ওরে সরে যেতে বল
নিশি না পোহাতে যেয়ো না যেয়ো না
চম্পা পারুল যুথী টগর চামেলি
দুর দ্বীপ বাসিনী চিনি তোমারে চিনি
মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে
বকুল বনের পাখি ডাকিয়া আর
মনের রং লেগেছে বনের পলাশ
আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে
যবে সন্ধ্যাবেলায় প্রিয় তুলসী তলায়
আঁখি তোলো দানো করুণা
মদির স্বপনে মম বন ভবনে
মুঠি মুঠি আবীর ও কে কাননে ছড়ায়
বল্লরী ভুজ বন্ধন খোলো
তব যাবার বেলা বলে যাও মনের কথা
তরুণ অশান্ত কে বিরহী
বরষা ঐ এল বরষ্য ঝরে বারি গগনে ঝুরুঝুরু
আমি ময়নামতীর শাড়ি দেবো
স্নিগ্ধ শ্যাম বেণী বর্ণা এস মালবিকা
মেঘ মেদুর গগন কাঁদে হুতাশ পরন
আমি অলস উদাস আনমনা
কোয়েলা কুহু কুহু ডাকে
তোমার হাতের সোনা রাখি আমার হাতে
বাদলা মেঘের বাদল তালে ময়ূর নাচে
কে দুরন্ত বাজাও ঝড়ের ব্যাকুল বাঁশি
এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী
দূর প্রবাসে প্রাণ কাঁদে আজ
শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির নির্মল
দোলে প্রাণের কোলে প্রভুর নামের মালা
শঙ্কাশূন্য লক্ষকণ্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ
চল্ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন হারা
বীরদল আগে চল
জননী মোর জন্মভূমি
তোমার পায়ে কে পরালো মুন্ডমালা
নাচে রে মোর কালো মেয়ে
মাতলো গগন অঙ্গনে ঐ
দেখে যা রে রুদ্রাণী মা
মহাকালের কোলে এসে গৌরী
শ্মশান কালীর নাম শুনে রে
জাগো জাগো শঙ্খ চক্র গদা পদ্মধারী
লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছে
খর রৌদ্রের হোমানল জ্বালি
শ্যামা তন্বী আমি মেঘ বরণা
মম আগমনে বাজে আগমনীর সানাই
উত্তরীয় লুটায় আমার
ওরে ও রাতের ফুল
বুনো ফুলের করুণ সুবাস ঝুরে
এল শ্যামল কিশোর
এল এল রে বৈশাখী ঝড়
ঘুমাও ঘুমাও দেখিতে এসেছি
কলঙ্ক আর জোৎস্নায় মেশা তুমি সুন্দর চাঁদ
শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয়
তুমি ভোরের শিশির রাতের নয়ন পাতে
রাত্রি শেষের যাত্রী আমি
ফুলের মতন ফুল্ল মুখে
ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি
আঁধার রাতের তিমির দুলে আমার সামনে
দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা
মা এসেছে মা এসেছে
ঐ কাজল কালো চোখ
ও কালো বউ
যেয়ো না আর যেয়ো না
আগের মত আমের ডালে বোল ধরেছে
তোর রূপে সই গাহন করে
ঝড় ঝঞার ওড়ে নিশান
আমার প্রাণের দ্বারে ডাক দিয়ে কে যায়
এল ঐ বনাস্তে পাগল বসন্ত
সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
এস কল্যাণী চির আয়ুষ্মতী
দাও শৌর্য দাও ধৈর্য হে উদার নাথ
চাঁদের দেশের পথ ভোলা ফুল
রঙ্গিলা আপনি রাধা
কুঙ্কুম আবীর ফাগের
এল ফুল দোল ওরে
যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল
জাগো দুস্তর পথের নব যাত্রী
ডেকো না আর দূরের প্রিয়া
ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান
যাহা কিছু মম আছে প্রিয়তম
মোর বুক ভরা ছিল আশা
বনে মোর ফুল ঝরার বেলা
মিলন রাতের মালা হব তোমার অলকে
যায় ঝিল্মিল ঢেউ তুলে
কাজরী গাহিয়া চল গোপ ললনা
এবং তরুণ তমাল বরণ এস শ্যামল আমার ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×