somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক কালের বিচ্ছু পোলাপানদের বর্ণমালা শিখানো :D /:):((

৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি!
পিঠাপিঠি দুই ভাই খুবই বিচ্ছু , ছোটটা আরও দুই ডিগ্রি বেশি। তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ আনার জন্য বাবা-মা সবরকম টেকনিকই প্রয়োগ করেছেন কিন্তু সবই ফেইল। কতরকম শিক্ষকই এলো আর গেলো কিন্তু কেউই তাদের লাইনে আনতে পারলো না।
অবশেষে এলো এক জগৎ বিখ্যাত শিক্ষক। যিনি ব্রিটিশ পোলাপানদের সাইজ করার কায়দা জানতেন।

বাবা-মা প্রথমেই শিক্ষককে বললেন, দেখন স্যার আপনি যদি তিন মাসেও আমাদের ছেলেদের একটি বর্ণও শেখাতে না পারেন তবুও আমরা কিছু মনে করবো না কারন আমরা জানি এটা আপনার ব্যর্থতা নয় এটা আমাদের ছেলেদেরই সমস্যা। আপনি ধৈর্য্য সহকারে যতদিন লাগে আপনার সবরকম টেকনিই প্রয়োগ করে দেখেন যদি কোনোটা কাজে লাগে।
স্যার বললেন তিন মাস নয় তিন দিনেই আপনারা ফল দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

প্রথম দিন: দুই ভাই দেখলো তাদের নতুন স্যার বয়সে বেশ ইয়াং। তারা চিন্তা করছে কিভাবে শুরু করবে। হঠাৎ বড় ভাই বললো স্যার, আজকে প্রথম দিন আজকে আর আমরা পড়বো না। স্যার বললো ঠিক আছ, তো তোমরা এখন কি করতে চাও? ছোট টা বললো, এখন আমরা পিয়ারা বাগানে যাবো পিয়ারা পাড়তে। স্যার বললো, খুবই ভালো কথা পিয়ারা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে, আর গাছে চড়ে পিয়ারা খেতে সেকি মজা। চলো আমিও যাবো তোমাদের সাথে। দুই ভাই দুই ভাইয়ের মুখের দিকে তাকালো।

পিয়ারা বাগানে গিয়ে স্যার বললো তোমরা নিচে থাকো আমি গাছে চড়ছি । (দুই ভাই মনে মনে বললো তবে কি সত্যই এবার ওস্তাদ এর কাছে পড়লাম নাকি)
বড় ভাই বললো না স্যার আপনার দুইজন নিচে থাকেন আমি চড়বো। স্যার বললো ঠিক আছে যেমন তোমরা চাও।

বড়জন গাছে চড়ে দুইটি পাকা পেয়ারা নিচে ফেললো আর একটি নিজে নিয়ে গাছের ডালে বসে খেতে লাগলো। স্যার পিয়ারা মুখে দিয়ে বললো পিয়ারা গুলো তো খুবই মিষ্টি এরকম পিয়ারা আমি একসাথে পাঁচটি খেতে পারবো। ছোটজন বললো স্যার আমার প্রতিদিনই ১০/১২টি করে খাই। স্যার বড়জনকে উদ্দেশ্য করে বললেন আচ্ছা আজকে যদি আমরা প্রত্যেকেই পাঁচটি করে পিয়ারা খাই তাহলে তোমাকে মোট কতটি পিয়ারা পাড়তে হবে? বড়জন হেসে বললো স্যার আমরা লেখাপড়া কম করি কিন্তু আমাদের ব্রেন খারাপ না, পাঁচটি করে পিয়ারা খেলে আমাকে মোট ১৫টি পিয়ার ছিঁড়তে হবে। স্যার বললেন খুবই ভালো খুবই ভালো, কে বলেছে তোমাদের ব্রেন খারাপ। যে এই কথা বলে তারই মাথায় কিছু নেই। বড়জনের মুখে হাসি দেখা গেলো কিন্তু ছোটজনকে খুবই চিন্তিত মনে হচ্ছে।
স্যার বললেন আচ্ছা এবার বলতো ১৫টি পিয়ারার মধ্যে আমাদের দুই জনের জন্য তোমাকে মোট কতগুলো পিয়ারা নিচে ফেলতে হবে। এবারও বড়জন হাসি মুখে উত্তর দিতে যাবে তখনই ছোটজন নিচে থেকে চিৎকার করে বললো "বড় ভাই বলিসনে বলিসনে, স্যার তোকে কথার ছলে অংক শেখাচ্ছে" B-)) :#)


এবার শুনুন আমার বিচ্ছুর কাহিনী। আলিফের বয়স প্রায় পাঁচ হলো। এখনও সে ক,খ ই ভালো করে শিখতে পারে নাই। শিখবে কি করে পড়াশোনার ধরাবাঁধা নিয়মে যে তার মোটেই কোনো আগ্রহ নাই, অন্য বিষয়ে তার আবার খুব আগ্রহ।
একদিন তার মা একটা বুদ্ধি করলো বললো আলিফ, আজকে তোকে আর পড়তে হবে না চল তোকে একটা গল্প শুনাই। গল্পের কথা শুনে আলিফ কাছে চেপে বসলো। আলিফের মা গল্প শুরু করলো...
এক দেশে ছিলো এক কাঁঠাল গাছা। কাঁঠাল গাছেতো কাঁঠাল পেঁকেছে। ঐ যে ক তে কাঁঠাল হয় না সেই কাঁঠাল।
সেই কাঁঠাল গাছটি ছিলো খোকনদের। খোকন তো কাঁঠাল খেতে চায়। ঐ যে খ তে খোকন হয় না সেই খোকন।
খোকন তাদের বাড়ির গরুটাকে নিয়ে এসেছে তার পিঠে কাঁঠাল নিয়ে যাবার জন্য। ঐ যে গ তে গরু হয় না সেই গরু।
গরু তো পিঠে বেশি ভার নিতে পারে না। বেশি ভার তো নিতে পারে ঘোড়া। তাই বাজার থেকে একটা ঘোড়া নিয়ে আসলো । ঐ যে ঘ তো ঘোড়া হয় না সেই ঘোড়া।
তো ঘোড়ার পিঠে কাঁঠাল নিয়ে খোকন বাড়ি যাচ্ছে, রাস্তায় দেখে একটি ব্যাঙ। ঐ যে ঙ তে ....................

আলিফ বলে দাঁড়াও মা দাঁড়াও । তুমি ক, খ দিয়ে গল্প বানিয়ে শুনাচ্ছো কেনো X(। ক, খ দিয়ে গল্প বললে আমি গল্প শুনবো না।

আপনারাই বলে এই বিচ্ছু বাচ্চাদের সাথে কেমনে পারবে? :((
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৪
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×