একশ’ বছর আগে রোয়াল্ড আমুন্ডসেন দক্ষিণ মেরু পৌঁছেছিলেন যেভাবে...
ঠিক একশ’ বছর আগে নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী রোয়াল্ড আমুন্ডসেন দক্ষিণ মেরু পৌঁছে সারাবিশ্বে আলোড়ন তুলেছিলেন। ১৯১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমুন্ডসেনের সঙ্গে আরও চার অভিযাত্রী দক্ষিণ মেরুতে নরওয়ের পতাকা ওড়ান। আমুন্ডসেনের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ নৌ অফিসার রবার্ট স্কট। দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল—কে আগে পৌঁছবে দক্ষিণ মেরুর বরফঢাকা প্রান্তরে। হেরে যান রবার্ট স্কট। তুষার ঝড়ে হারিয়ে যায় রাবর্ট স্কটের দল।
১৯১০ সালের আগস্টে আমুন্ডসেন রওনা দেন দক্ষিণ মেরুর দিকে। আর অক্টোবরে রবার্ট স্কট খবর পান আমুন্ডসেন দক্ষিণ মেরুর দিকে রওনা হয়েছেন। আত্মসম্মানে বাধে স্কটের। একজন ব্রিটিশকেই প্রথম দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে হবে—এ প্রতিজ্ঞায় তিনি নেমে পড়েন প্রতিযোগিতায়।
দুজনই ১৯১১ সালের জানুয়ারিতে অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছেন। প্রথম কয়েক মাস তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছাতে থাকেন। কোন জিনিস প্রয়োজন, কোনটি বেশি জরুরি, খাবারের সাপ্লাই কতটুকু রয়েছে, কোন পথে এগিয়ে যাওয়া নিরাপদ—এগুলো নিয়েই আলোচনা করে সময় কাটান।
আন্টার্কটিকার শীতকাল সবসময়ই অন্ধকারাচ্ছন্ন। শীত কেটে গেলে ২০ অক্টোবর রওয়ানা হন আমুন্ডসেন। দক্ষিণ মেরুতে যাওয়ার পথে তিনি এস্কিমোদের পান। তাদের কাছ থেকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি তার সঙ্গে স্লেজ কুকুর নেন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং আরও নেন কারিবু স্কিন—যা মানবদেহকে উষ্ণ রাখতে সক্ষম। পেছনে ফেলে যান উলের তৈরি পোশাক। স্লেজ গাড়ি অত্যন্ত হালকা রাখা হয়, যাতে কুকুরগুলো খুব সহজেই তা টেনে নিতে পারে।
অন্যদিকে স্কটের দল মোটর লাগানো স্লেজের ব্যবস্থা করেছিল—যা কিছুদূর যাওয়ার পর বিকল হয়ে যায়। সঙ্গে ছিল ঘোড়া। কিন্তু প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ঘোড়াও সহ্য করতে পারছিল না। এছাড়া তাদের সঙ্গে ছিল প্রচুর জিনিসপত্র এবং এসবের ওজন ছিল অত্যন্ত বেশি। ১৯১২ সালের জানুয়ারিতে তারা দক্ষিণ মেরু পৌঁছে দেখেন, তাদের আগেই আমুন্ডসেন সেখানে পৌঁছে গেছেন। দেখেন, তাঁবু টাঙানো, তাঁবুর মাথায় উড়ছে নরওয়ের পতাকা। স্কটকে লেখা একটি চিরকুট ‘আমুন্ডসেনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। আশা করি আপনারা নিরাপদে ফিরে যাবেন।’
দক্ষিণ মেরু প্রসঙ্গে রবার্ট স্কট তার ডায়েরি লিখেছিলেন, ‘হে ঈশ্বর, এ এক ভয়ঙ্কর জায়গা।’ তবে ফিরে আসার পথে স্কটের দল বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৪২-এ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অভিযাত্রীদের একজন মারা যান। আরেকজনের পায়ে গ্যাংরিনের পচন ধরে।
বাকি তিনজন তাদের তাঁবুতে মারা যান। তারা তাঁবু থেকে বের হননি। তাদের সঙ্গে কোনো খাবার ছিল না। অথচ ১৮ কিলোমিটার দূরেই ছিল অভিযাত্রীদের বিশ্রামস্থল। রবার্ট স্কটের ডায়েরিতে শেষ লেখার তারিখ ছিল ২৯ মার্চ। সে বছরের নভেম্বর মাসে রবার্ট স্কট এবং তার দুই অভিযাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তাঁবু থেকে।
আমুন্ডসেন পান জাতীয় বীরের সম্মান। ১৯২৬ সালে তিনি উত্তর মেরুতে পৌঁছেন। এর ঠিক দুই বছর পর ইতালির অভিযাত্রী উম্বেরতো নোবিলকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারা যান রোয়াল্ড আমুন্ডসেন। ইতি ঘটে দক্ষিণ মেরুর প্রথম অভিযাত্রীর।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?
ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দুলে উঠে
দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ
মন খুশিতে দুলে দুলে উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তরে নিয়ে এ ভাবনা
তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না
সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন
তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য
আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই
দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।
সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন