ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি ভাল না । প্রায় দিনই টিএসসি,শাহবাগ, নিলখেতে ককটেল ফুটে । তবু রোজ বিকেলে ক্যাম্পাসে যাই । আজও গেছিলাম । তোমার সাথে এভাবে দেখা হবে ভাবতে পারিনি । বিকাল ৫ টা বেজে ১৭ মিনিট ২২ সেকেন্ড । মধুর ক্যান্টিনের পাশে বসে আছি । তুমি হঠাত হাজির । শাড়ি পড়া তোমাকে সামনা সামনি প্রথম দেখলাম । অদ্ভুত সুন্দর লাগছিল । আগের চেয়ে একটু মোটা হয়েছো । কতদিন পরে তোমার সাথে দেখা । কত কথা মনে পড়ে গেলো । তোমায় যেদিন দ্বিতীয়বার দেখা হয়েছিল । আমি তুমি পাশাপাশি এখানেই বসেছিলাম । জিজ্ঞাসা করলে কেমন আছি । বললাম ভাল । কি যেন তারা তোমার চলে গেলে । এখন তুমি কত বিজি । একটা সময় আমি তোমায় সময় দিতে পারতাম না । আর আজ আমার সময় আছে কিন্তু তুমি অনেক বিজি । আমাকে দেয়ার মত সময় তোমার নেই । সত্যি বলতে তুমি আমাকে আর চাওনা । মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে তোমায় ভুলে যাবো । কিন্তু ভুলতে পারিনা । আমি এখন বুঝতে পারি পৃথিবির মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ মানুষকে ভুলে থাকা । কিন্তু অবাক হই , তুমি কি সুন্দর আমায় ভুলে গেছ। আচ্ছা, তুমি কি সত্যি আমাকে ভুলে গেছো ? নাকি তুমিও আমাকে মিস করো ? হয়তো করো ,অথবা করনা । মাঝে মাঝে ভাবি আমিও আর তোমায় নিয়ে লিখবোনা। তবু লিখে ফেলি ।
কাউকে এভাবে অবহেলা করা ঠিক না । মনে রেখো তুমিও কিন্তু কারো না কারো তুলনায় ছোটো । আর এই যে তুমি অবহেলা করো, একদিন তুমিও ফেরত পাবে এটা ।
আগে যখন চলে যেতে ,যাওয়ার সময় বারবার পিছনে ফিরে তাকাতে । আজ একবারও ফিরে তাকালে না । তাকাবেই বা কেনো ? তোমার তো এখন অনেক নাম হয়ে গেছে । তুমি ডিপার্টমেন্টের সেরা ছাত্রি । পাবলিক ভার্সিটিতে পড় । আর আমি প্রাইভেট এ পড়ি । তবে একটা কথা কি জানো ? প্রাইভেট কিংবা পাবলিক না, ডিপেন্ড করে তুমি কোন সাবজেক্টে পড় আর তোমার কর্মদক্ষতা । আমার কাছে তোমার শেষ যে চিঠিটা আছে তাতে তুমি এগুলোই বলেছিলে । অথচ তুমি আজ বিপরিত করছো । যে তুমি আমাকে নিয়ে গর্ববোধ করতে সিগারেট না খাওয়ার জন্য , সেই তোমার চারপাশে আজ সিগারেটের ধোয়া ।
তোমার বান্ধবীদের কাছে শুনি তুমি নাকি আর আগের মত নেই । আমিও আমার দুর্ভাগ্যকেই মেনে নিয়েছি । তবুও যদি কখনো ফিরে আসো দেখবে তেমনি আছি । সেই গান, সেই সস্তা জামা, সেই ময়লা পড়া জিন্স সেই তোমার ওবায়দুল্লাহ ।
জানি মনে পড়েনা, তবুও যদি মনে পড়ে নীল আকাশ আর সন্ধ্যা তারার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘস্বাস ফেলো । আমার বুকে অনল জ্বেলে আমি ভালো আছি, জান তুমিও ভাল থেকো ।