টক শোতে যারা সরকারের সমালোচনা, মুক্তমনে নিজস্ব মতামত প্রদানের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, তারা নিশ্চয়ই টের পাচ্ছেন অধ্যাপক পিয়াসের ঘটনার পরে নিজেদের মরদেহের পরিণতি?
অতএব, কোনো মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে ঢাবি কর্তৃপক্ষের, ছাত্রমৈত্রী, জাগরণশীল ছাত্রসংগঠনের অনুমতি চাইলে এখনই টকশোতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলুন, গাইডলাইন ফলো করে চলুন। কেননা, জীবন-মরণের সকল শ্রদ্ধার সার্টিফিকেট এ দেশে গরু-ছাগলের হাটের ইজারার মতো দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়।
গত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ২০০৪ সালে প্রখ্যাত অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নেয়া হয় এবং সেখানে কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাযার নামাজ পড়া হয়। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির তখন কোনো প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় নি! আমার কথা হলো, বর্তমান সরকার কি পিয়াস করিমের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য শহীদ মিনার/ঢাবি ব্যবহারে অনুমতি দিতে পারতো না। দিলে তো, সরকারের ইমেজ অন্যরকম হতো।
আমরা এতো সেনসেটিভ হয় গিয়েছি...কি জানি ভাই, রাজাকারের মতো কথা বলে থাকলে মাফ করবেন বন্ধুরা। মাফ করতে না পারলে, এই কুজাত সহনাগরিকের মরদেহ আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে চেতনার(!) ধারকে আরো শানিত কইরেন...! আর কি বলবো!!!