somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রথম বাংলা
((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

ভালোবাসার কোন শিরোনাম নাই। নির্দিষ্ট সজ্ঞা ও নাই।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাইন্স ভালোবাসার একটু অন্যরকম ব্যখ্যার দেয়, যার সাথে আমাদের সাহিত্যিক ব্যখ্যার মিল অমিল দুটোই আছে। রবিন্দনাথ কি বলে সেটা দেখা যাক, লাভ সাইন্স অন্যদিন।

তোমরা যে বলো দিবস রজনী ভালোবাসা ভালোবাসা,
সখি ভালোবাসা কারে কয়, সেকি কেবলি যাতনাময়?

রবীন্দ্রনাথ ভালোবাসার মানে বুঝতেন না (তার ভাষায়) । কিন্তু আমাদের তিনিই সুন্দর করে ভালোবাসতে শিখিযে গেছেন।
তিনিই আবার বলেছেন, ভালোবাসি ভালোবাসি সেইসুরে কাছে দূরে জলেস্থলে বাজায় বাশিঁ।


নজরুল প্রেমকে বলতেন গরল, কিন্তু তিনি ডজন খানেক প্রেম করেছেন। আইনস্টাইনকে একবার তার প্রেমিকাদের একজন প্রথম পরিচয়ের দিন বলেছিলো আপনি কি করেন?
আইন স্টাইন- পদার্থ বিজ্ঞান শিখছি, আপেক্ষিক থিউরি।
আপনি এখনো ওটা পড়ছেন, ওটাতো আমি গত বছর শেষ করলাম, এখন পড়াই, মেয়েটা বলল। আসলে মেয়েটা আইনস্টাইনকে চিন্তনা।

আইনস্টাইননের কথা আসলেই E=MCC সমিকরনের কথা চলে আসে। কিছুটা না বললে মনের ভিতর কচকচি করে, একু খানি বলি।

‘একবার তার এক লোক বলেছিলো, আপনিতো আপনার আবিষ্কারের দ্বারা মানব জাতির চরম উপকার করলেন, আপনার যে E=MCC সমীকরণ এটি আমাদের কোথায় নিয়েযাবে জানেন,-
আইনস্টাই- জি, জানি এটি মানব জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে।”

ছিলাম ভালোবাসার লাইনে চলে এলাম ধ্বংসের পথে। লাইনে ফেরা দরকার, অবশ্যই ফিরবো, তার আগে কেনো সমীকরণটি আমাদের ধ্বংসের পথ তা বলা যেতে পারে।

আধুনিক সাইন্স বিশ্বাস করে যে, পৃথিবীর তাবত পদার্থ মূলত শক্তি এবং নির্দেশমালার সমাহার। কাজেই পদার্থ ভাংলে কিছু পদার্থ শক্তিতে রূপান্তরি হবে এটাই সাভাবিক।
কিন্তু এই শক্তির পরিমান কত? কোন লেভরেটরি ছাড়াই আইনস্টাইন ঘরে বসে কাগজে কলমে দাড় করালো এই মহান সমীকরণ।
এর মানে হরো
পদার্থের শক্তি = পদার্থেরভর . আলোর বেগ এর বর্গ।[ , মানে আলের বেগ এর বর্গ দিয়ে কোন পদার্থের ভর কে গুন করলে যে পরিমান দাড়ায় সেটি ই আসলে একটি পদার্থের শক্তি।

তারপর বোর আইসা পরমানু চিনাইয়া দিয়া গেলো, পিয়ারে কুড়ি চেনালো কিভাবে ইউরেনিয়াম তেজ ছড়ায়। আবার বোর, এবার সে দেখালো পরমানুর নিউক্লিয়অর ভাঙ্গার পদ্ধতি। শুরু হলো সমীকরণের ব্যবহার । আমরা এখন আর পারমানবিক বোমা বানাইনা। এখন পৃথিবীকে প্রেতপুরি করেদিতে আমরা এখন হাইড্রোজের বোমা বানাই। একটি হাইড্রোজের বোমা ফাটাতে এর ভিতরে একটি হিরুশিমা শক্তিদর পারমানবিক বোমা ফাটাতে হয়। সহজ না বোমা ফাটানোটা?

আবার ভালোবাসায় ফিরে আসি, ভালোবাসার অনেক মানেহয়। ধরুণ আপনার ছেলে কলা খেতে পচন্দ করে, আপনি বলতে পারের যে, আমার ছেলে কলাখেতে অনেক ভালোবাসে। যেমন আমি মৌলানা ভাসানী সাহেরবকে অনেক ভালোবাসী। ভাষা শহীদদের কেও। মা বাবাকে ভালোবাসি, বউকে ভালবাসি ছেলেমেয়েকে ভালোবাসি, যারা প্রেম করে তারা পরস্পরকে গভীর ভাবে ভালোবাসে। আবার পোষা প্রাণী= বেড়াল কুকুর ইত্যাদিকেও আমরা ভালোবাসি।
সব কি এক রকম? সব কি এক অর্থ বহন করে? না...

ভালোবাসা এক এক যায়গায় এক এক রুপ লাভ করে, আবার এর প্রকাশ এবং ক্ষমতাও এক এক যায়গায় এক এক রকম।
এটি পারমানবিক বোমার মত। সহজে বিশ্বার করা যায়না। এখনতো এস এম এস ভাইবার হোয়াট্সএ্যাপ এর যুগ। চিঠি ফাস হবার কোন সম্ভাবনা নাই। নিরাপত্তা ভালো।
আমরা যখন ছোট ছিলাম দেখতাম আমাদের হাইস্কুলের বড় ভাই আপারা প্রেম করতো। তখন একে বলাহতো লাইন মারা

বিষয়টা অনেকটা এমন ছিলো=
“ মনে করি নজরুল নামের ছেলে নার্গিস নামের মেয়ে, পরস্পর পরস্পরকে ভালোলেগেছে, সুতরাং একদুবার তাকানো তার পর ইশারা ইঙ্গিত ইত্যাদি। যদি রিপ্লে সুবিধাজনক মনেহতো তাহলে একজন মাধ্যম বের করা হতো যে পিওনের দায়ীত্ব পালক করতো। চরম অবহেলা এবং অপমান জনক আচরণের মাধ্যমে সে এই দ্বায়ীত্বটুকু পালন করতে। মানে সুযুগের সদ ব্যবহার, কখনো যদি এই পিওনের সাতে প্রেমিক অথবা প্রেমিকার কোন ঝামেলা হতো তবেই কিচ্ছা খতম। একটি বা দুটি চিটি আটকিয়ে পিওন গুপন তথ্য ফাস করেদিতো, বাস=== প্রেমের বারোটা বেজে গেলো.... ” ।

স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সারা এলাকায় খবর রটে যেতো অমুক আর তমুক লাইন মারছে। চিঠি ধরা খাইছে দুইটা। ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন খালি প্রেমের বারোটা না অনেক কিছুরই বারোটা বাজতো।

এ যুগের প্রেমিক প্রেমিকারা খুশি হয়ে লাভ নাই, প্রেমের প্রকাশ এখন আরো ভয়াবহ রূপে ঘটে। সুতরাং সাধূ সাবধান!! এমন কিছু না করাই ভালো যা যেকোন সময় নেটে প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।

অবশিষ্ট আরেক দিন-------- ঘুম পেয়েছে।


সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×