(পুরো পড়ার অনুরোধ রইল)
ছাত্রী : আমি আপনার কাছ থেকে এমন ডায়লগই আশা করেছিলাম । সবাই বলে ভালো করে পড়ো , এটা করো, ওটা করো । এই সব কিছুর মানে হলো, ভদ্র ভাবে রিজেক্ট করা।
স্যার : জেরিন , তুমি কি চাও?
ছাত্রী : আমি আপনাকে চাই ।
স্যার : সম্ভব না।
ছাত্রী : আমি কি জানতে পারি কেন?
স্যার : দেখ, আমি খুব সাধারন পরিবারের ছেলে টিউশনি করে নিজের খরচ চালাই । আমি জানি শিক্ষকতা একটা মহান পেশা । আর আমি সেই মহান কাজর সম্মান নষ্ট করেত পারেবা না । আমি তোমার সাথে প্রেম করলে সবাই আমকে না আমার পেশাটাকে অপমান করবে । যা সারা জীবন কষ্টের বোঝা হয়ে থাকবে । আর আমার জন্য সকল শিক্ষক লজ্জিত হউক তা আমি চাই না ।
ছাত্রী : প্লীজ
স্যার : দেখো যখন তোমার মা তোমাকে পড়ানোর দায়িত্ব আমাকে দেয় তখন অনেক বিশ্বাস নিয়ে আমার ওপর ভরসা করেছেন । এখন আমি যদি তার ভরসা নষ্ট করি তবে তিনি সারা জীবন আর কোন শিক্ষক কে ভরসা করতে পারবে না । আমার করা কাজের জন্য অনেক অসহায় ছেলে আর টিউশনি পাবে না । সবাই সন্দেহ আর ঘৃনার চোখে দেখবে । বলো তুমি কি তাই চাও?
ছাত্রী : এখন আমি কি করবো ? আমি আপনাকে সত্যিই ভালোবাসি ।
স্যার : কেন ভালোবাসো বলতে পারো ? আর ধরো প্রেম হলে বা কি করবে?
ছাত্রী : জানি না ।
স্যার : আমি জানি , কয়েক দিন ঘুরা -ফেরা, তারপর হাত ধরাধরি , একসময় তা বিছানা পর্যন্ত যাবে । এরপর সব অন্য রকম হয়ে যাবে। তখন হয় তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না হয় আমি তোমাকে । কেউ সুখে থাকবো না।
ছাত্রী : আপনি ভুল বলতেছেন ( চোখের জল পড়তেছে)
স্যার : হয়ত এখন ভুল মনে হতে পারে । কিন্তু সময় আমাকে শিখিছে অনেক কিছু । আমি আমার নিজের জন্য শিক্ষকের সম্মান নষ্ট করতে পারবো না । সবাই যাই বলুক । আমারা গৃহশিক্ষক বা গৃহপালিত শিক্ষক যা হই না কেন আমাদের সম্মান হলো আমারা জাতির মেরুদন্ড গঠন করি কিন্তু জাতির মেরুদন্ড দূষন করি না । Sorry.
( আমার এই লেখা গৃহশিক্ষকদের জন্য যারা সমান্য টাকার জন্য জীবনের মূল্যবান সময় বিক্রি করে অন্য কারো ভবিৎষত গড়ে দেয় । কিন্তু কিছু শিক্ষক নামের নীতিহীন মানুষের জন্য আজ শিক্ষকরা অবিশ্বাসের মূর্ত প্রতিক হয়ে উঠেছেন)
(কাল্পনিক)
ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬