somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিজড়া ও চাঁদাবাজি

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিজলা বা হিজড়া এই শব্দ বা এই মানুষগুলোর সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত।এরা কারা ? কি করে ? এই দুই টি প্রশ্নের উত্তর হয়ত আমরা সবাই কমবেশি জানি । ঢাকা শহরে কিছু এলাকায় বাসে গেলে আপনাকে এদের এক রকমের চাঁদা দিয়ে তারপর যেতে হবে। যদি উদাহরন চান তবে একদিন মিরপুর ১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত বাসে গিয়ে দেখেন । আপনার অভিজ্ঞতা কি হবে আমি আগে একটু ধারনা দেই।
বাসের মধ্যে ১ বা ২ জন হিজড়া উঠে , তাদের এক অদ্ভুদ ধরনের হাত তালি বাজাবে। তারপর শুরু হবে চাঁদাবাজি । এমনিতে ১০ টাকা, যদি ছাত্র হন তবে হাফ মানে ৫ টাকা। এই টাকা যদি আপনি না দেন তো আপনার সাথে এরা করবে না এমন কোন অসভ্যতা নেই। আর যদি আপনার সাথে আপনার প্রেমিকা বা বউ থাকে তো না কখনো ওদের সাথে কথা বাড়াইতে যাবেন না।

আমার নিজের মধ্যে কিছু প্রশ্ন থেকে আমার এই লেখা ও অনুন্ধান। আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আমরা কেন ওদের টাকা দিবো ? ওদের তো পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করার ক্ষমতা আছে। ওদের কি নাই ? যা নাই তার সাথে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করার কোন সর্ম্পক নেই্।
অনেকে বলবেন যে এদের কেউ কাজ দেয় না । এইটা সম্পূর্ন ভূল । আমার এই সল্প জীবন কালে আমি কমপক্ষে ১০ হিজড়াকে দেখেছি যারা নিজে অন্যেরে বাসায় কাজ করে অর্থ উপার্জন করে । অনেক হিজড়া সেলাই কাজ করে , এমন কি বিউটি পার্লারেও কাজ করে।

আমি গত কয়েক দিন ধরে হিজড়াদের চাঁদাবাজির কারন খুজে বের করার চেষ্ঠা করেছি । নিচে তার কিছু বিবরন দেওয়া হলোঃ
যেসব হিজড়া রাস্তায় চাঁদা বাজি করে তাদের সকলে পরিবার চ্যুত । পরিবার তাদের ঘৃনা বা অবহেলা করে । এক সময় তারা একা হয়ে যায় তখন তাদের সাহায্য করে হিজড়া গুরুমা মানে হিজড়াদের দলের প্রধান। এই গুরুমারা হলো যত নষ্টের গোড়া। তারা এই একটু সহানুভূতি দেখিয়ে হিজড়াদের নিজের দলে নিয়ে নেয় এবং সকল প্রকার অপকর্ম করায়।
বেশির ভাগ হিজড়ারা রাস্তায় নামতে চায় না । তাদের গুরুমারা ভয় ভীতি এমন কি মারধোর করে রাস্তায় নামায়। সকল হিজড়াদের প্রতিদিন নিদিষ্ট পরিমান টাকা জমা দিতে হয় গুরুমার কাছে । তা না হলে তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন।

এই গুরুমারা কত ভংঙ্কর তার একটা নমুনা হলো ঃ তারা ছেলে দেরও পুরুষঙ্গ কেটে হিজড়া বানায় । যেসব ছেলে দের মধ্যে একটু মেয়েলি ভাব থাকে তাদের এই গুরুমারা টার্গেট করে । বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে তাদের অপারেশনের মাধ্যমে নকল হিজড়া বানানো হয় । সবচেয়ে উদ্ববেগের কথা হলো ঢাকা শহরের ৮০ ভাগ হিজড়াই নকল মানে আপারেশন করা ।

আরও মজার তথ্য হলো ঢাকা শহরে মোট গুরুমার সংখ্যা ৪-৫ । যাদের ২ জন হিজড়াই না মানে ছেলে। টাকার জন্য হিজড়া সেজে থাকে।
আপনি আমি কল্পনাও করতে পারি না যে একজন হিজড়া গুরুমা কত টাকার মালিক। ঢাকা শহরে যত গুরুমা আছে সাবার নিজেদের বিলাশবহুল ফ্লাট আছে । কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো আপনি আমি যে টাকা হিজড়াদের দেই তা সাধারন হিজড়াদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজে আসে না । এই টাকা দিয়ে গুরুমারা বিলাসী জীবন যাপন করে ।

গুরুমারা তাদের এলাকা দখলে রাখতে মাঝে মাঝেই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েক দিন আগেও হায়দার হিজড়া নামে এক গুরুমা নিজ বাড়িতে খুন হয়।
শুনলে আবাক হবেন যে রাতের বেলা হিজড়ারা অস্ত্র হাতে ছিনতাই পর্যন্ত করে । আর দেহ ব্যবসা তো মামুলি ব্যাপার ।

এত সব অভিযোগ ও অপরাধ শুধু মাত্র কয়েক জন গুরুমার কারনে । এদের যদি থামানো না যায় তবে না ঢাকা বাসী শান্তিতে থাকবে না সাধারন হিজড়ারা শান্তিতে থাকবে ।

হিজড়া শারিরীক ভাবে কাজ করতে সমর্থ । তাই আমাদের সবার উচিত এদের টাকা দেওয়া বন্ধ করা ।

ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×