বুকশেলফের যে তাকগুলোতে রাতগুলো রাখা ছিলো সেগুলো আজকাল ঘুণপোকাদের আস্তানা।
আধ পড়া কিছু বইয়ের মলাটে ধুলো পড়ে যে বিচিত্র সব অবয়ব ফুটিয়ে তুলছে-
এদের কি আলাদা কোনো ভাষা আছে ?
কে জানে এগুলোও হয়তো অর্থহীন ঠিক আমাদেরই মতন!
শেলফের এক কোণায় খুচরো হিসেবে কিছু খাতা এখনো আছে,
উইপোকাগুলো সেই হিসেব কুড়ে কাটিয়ে দিচ্ছে এক জীবন।
নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় ডুবে পাতা উল্টে দেখা হয়না গতকাল,
প্রতিটা সকাল, প্রতিটা সন্ধ্যা গিলে ফেলে একেকটা আস্ত রাত।
পড়তে পড়তে টিকে যাওয়া আলমারিটার গায়ে এখনো কিছু সম্পর্কের দাগ রয়ে গেছে,
সেগুলো অবশ্য এমনিতে চোখে পড়েনা; কিন্তু আলতো করে ছুঁয়ে দেখলে ঠিক চেনা যায়।
বহুবছরের পুরোনো নকশার ড্রেসিং টেবিলটার তো এতোদিনে ঠিকানা হবার কথা ছিলো কোনো জাদুঘরে,
এটাও কিভাবে যেনো টিকে গেছে অন্য জিনিসগুলোর সাথে সম্পর্কের মায়ায় পড়েই হয়তো।
টেবিলটায় লাগানো আয়নাটায় আর মুখ দেখার অবস্থা নেই,
সামনে দাঁড়ালে সেখানে নিজেকে কেমন যেনো অশরীরী অশুভ কিছু মনে হয়,
নিজের প্রতিবিম্বকে ভয় হওয়াটা কি খুব অদ্ভুত কিছু?
এই পরিত্যক্ত ঘরটার একসময় একটা সুন্দর গল্প ছিলো!
ফেলে আসা গল্পগুলোই সুন্দর হয় কিনা!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২