somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই লেখাটা এক জায়গায় দেখলাম -- এটা কি অপপ্রচার?? খতনা- একটি লেজ কাটা দুর্ত শেয়ালের গল্প

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই লেখাটা এক জায়গায় দেখলাম -- এটা কি অপপ্রচার?? না কি ভুল বোঝানোর চেষ্টা? সকলের কাছে অনুরোধ এর পা্ল্টা উত্তর থাকলে দিন সেটা যাতে আমি নিচের লেখাটার বিরুদ্ধে কাউন্টার লিখতে পারি

খতনা- একটি লেজ কাটা দুর্ত শেয়ালের গল্

কেনো খতনা করতে হবে, প্রয়োজনটা কী ?
আমরা মোটামুটি সবাই সেই লেজ কাটা শেয়ালের গল্পটা জানি, যে অন্যদের লেজ কাটতে গিয়ে বৃদ্ধ শেয়ালের যুক্তির কাছে পরাজিত হয়ে জঙ্গল ছেড়ে পালিয়েছিলো।
কিন্তু গল্পটা এখানেই শেষ নয়, ঐ জঙ্গল থেকে পালিয়ে সে অন্য জঙ্গলে গিয়েছিলো এবং কিছু শেয়ালের লেজ কাটতে সক্ষম হয়েছিলো।
১০ জন অসৎ, মিথ্যাবাদী, অসাধু চোর বাটপারদের মধ্যে আপনি একা যদি পড়েন, তাহলে আপনার সততাই হবে আপনার বিড়ম্বনার কারণ এবং তাদের অনবরত টিটকারির কারণে এক সময় আপনার মনে হবে, না ওরাই ঠিক; এজন্যই বলা হয়, দশচক্রে ভগবান ভূত।
বাংলাদেশের এমন কোনো হিন্দু ছেলে নেই, যাকে, খতনা না করা নিয়ে মুসলমানদের টিটকারির শিকার হতে হয় নি। এই শুনতে শুনতে একসময় আমারও মনে হয়েছিলো, খতনা করাই বোধ হয় ঠিক। কারণ, হিন্দু ডাক্তাররা পর্যন্ত পত্রিকায় আর্টিকেল লিখতো বা এখনও লিখে খতনা করার উপকারিতা সম্পর্কে। তারা নিজেরা খতনা করিয়েছে কি না, তা কিন্তু লিখে না। কিন্তু আর্টিকেলে খতনার উপকারিতা নিয়ে এই কারণে লিখে যে, তাহলে তার লেখাটি পত্রিকার মুসলমান সম্পাদক খুশি হয়ে ছাপবে, আর পত্রিকায় নাম উঠা নামেই একটা সম্মানের ব্যাপার।
কিন্তু হিন্দু সমাজ ও জাতির এমনই দুর্ভাগ্য যে, প্রশ্নের মুখে কোণঠাসা হওয়া হিন্দু ছেলে মেয়েদের মুখে মুসলমানদের প্রশ্নের যোগ্য ও যুতসই জবাব তুলে দেওয়ার মতো কোনো লোক হিন্দু সমাজে জন্ম নেয় নি। তাই সকল প্রশ্নে হিন্দুদের একটাই জবাব, "জানি না, বাপ দাদারা করে আসছে, তাই আমরাও করছি।"
এই কারণেই হিন্দু ছেলেরা, খতনা প্রসঙ্গে, কখনো মুসলমানদের মুখের উপর বলতে পারে নি যে, "তুই ঠিক না, আমিই ঠিক। কারণ, আমি প্রকৃত আর তুই বিকৃত।"
কোনো সম্প্রদায়ের এক নবী যদি কোনো কারণে তার হাতের একটা আঙ্গুল কেটে ফেলতে বাধ্য হয়, আর তার অনুসারীরা সেই সিস্টেম অনুসরণ করে নিজেদের হাতের একটা করে আঙ্গুল কেটে ফেলে, তাহলে আঙ্গুল কাটারা ঠিক ? না, প্রকৃতি আমাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছে, সেটাই ঠিক ?
প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীকে বিশ্ব বিধাতা একদম সঠিক আকৃতি ও ধরণে সৃষ্টি করেছে, এভাবেই তারা প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য বেস্ট। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর লিঙ্গ, তাদের চমড়ার মধ্যে গুটানো থাকে। এই চমড়া ই লিঙ্গের সুরক্ষার কাজ করে। একমাত্র পুরুষ মানুষের লিঙ্গ ই পুরোটা দেহের বাইরে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, কিন্তু লিঙ্গমনি, যেটার ঘর্ষণে পুরুষ যৌন সুখ লাভ করে, প্রাকৃতিক উপায়েই সেটা চামড়া দ্বারা আবৃত থাকে তার সেনসিভিটি বা স্পর্শকাতরতা রক্ষার করার জন্য ও আর্দ্র রাখার জন্য। কিন্তু খতনার নামে যখন সেই চামড়া কেটে ফেলা হয়, তখন বছরের পর বছর সেটা উন্মুক্ত থাকার ফলে এবং কাপড়ের সাথে অনবরত ঘর্ষণের ফলে লিঙ্গমনির সেনসিভিটি নষ্ট হয়, এর ফলে খতনা করা ব্যক্তি যৌনসঙ্গমের সময় কখনোই ১০০% সুখ পেতে পারে না এবং লিঙ্গমনির সেনসিটিভিটির মাধ্যমে স্ত্রী যোনীর ভেতরেও সেনসিভিটি প্রবেশ করিয়ে নারীদের যে সুখ দেওয়া যায়, সেটাও একজন খতনা করা ব্যক্তি ১০০% দিতে পারে না। এর ফলে নারী পুরুষ দুজনেই চরম যৌনসুখ থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ, স্ত্রী যোনির ভেতরে একটি খতনা করা পুরুষাঙ্গের ঘর্ষণ কিছুটা অনুভূতি হীন নকল পুরুষাঙ্গ ডিলডো বা স্পর্শকাতরতা বিহীন আঙ্গুল চালানোর মতোন।
খতনার উপকারিতা সম্পর্কে যেসব মিথ্যা বাজারে প্রচলিত, এবার সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া যাক। খতনা না করলে নাকি যৌন রোগের সংক্রমন ঘটে। পৃথিবীর কোন পুরুষ, যৌন সংগমের পর যৌনাঙ্গ না ধুয়ে ঐ অবস্থায় থাকে এবং তারপর আবার যৌন সঙ্গমে মিলিত হয় ?
খতনা না করালে নাকি চামড়ার নিচে এক ধরণের ময়লা জমে; এখন বলুন, পৃথিবীর কোন ছেলে নিজের লিঙ্গের প্রতি এতটা উদাসীন, যে সে ঐ ময়লা পরিষ্কার করে না বা করবে না ? আর কিশোর বয়সের পর এই ময়লা জমার কি কোনো কারণ আছে ? বিষয়টা বুঝে নেন।
খতনা না করালে নাকি এইডসের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। একমাত্র বহুগামী মুসলমানদের মাথায় এই ধরণের যুক্তি আসা সম্ভব। কারণ, মুসলমানরা তো বহুগামী, ওদের বাড়িতে থাকে ৩/৪ টা স্ত্রী, এরপরেও আবাসিক হোটেলে বা পতিতালয়ে মাঝে মাঝে না গেলে বা কোথাও সুযোগ পেলে, কোপ না মেরে থাকতে পারে না। তাই মুসলমানদেরই এইডস হওয়ার ভয়। হিন্দু ও বৌদ্ধরা খতনা করে না। তাই ভারত ও চীনে কত এইডস রোগী আর আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতে কত এইডস রোগী, তার পরিসংখ্যানটা একটু জেনে নিয়েন।
আফ্রিকার দেশগুলোতে তো আর হিন্দু বৌদ্ধ নেই ,সবাই কাটা মুসলমান। তাহলে ওখানে এত এইডস রোগী এলো কোথা থেকে ? ওই সব দেশে এইডসের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, ঔষধ আবিষ্কার না হলে, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলো জনসংখ্যা শুন্য হয়ে পড়বে।
খতনার পক্ষের আরেকটি ভুয়া সুড়সুড়ি হলো, খতনা করালে নাকি যৌনসঙ্গমের সময় বেশি টাইম পাওয়া যায়। এটা সত্য হলে তো বাংলাদেশের বাজারে, শীঘ্র পতন রোধ করতে বা টাইম বৃদ্ধির কোর্সের এত রমরমা ব্যবসা থাকতো না। কারণ, বাংলাদেশের তো ৯০% ই কাটা মুসলমান। তারা তো কেটেছেই, তাদের আবার টাইম বৃদ্ধির দরকার কী ? আসলে ইসলামের মিথ্যাচারের জবাব দেওয়ার মতো কোনো মিডিয়া বা পরিবেশ তো বাংলাদেশে নেই, তাই এরা এসব বালছাল বলে বার বার পার পেয়ে যায়। আসল ব্যাপার হলো, সেক্সের সময়, যৌন শক্তি এবং স্থায়িত্ব নির্ভর করে কোনো ব্যক্তির শারীরিক গঠন, তার স্ট্যামিনা এবং কতটা নিরাপদে ও নিশ্চিন্তে এবং ফুর্তি নিয়ে যৌনসঙ্গম করছে, তার উপর। এখানে কার কাটা আছে,আর কার কাটা নেই, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। প্রাপ্ত বয়স্ক অনেকেই জানেন যে,যৌন সঙ্গমের সময় কনডম ব্যবহার করলেই বেশ কিছু সময় বেশি পাওয়া যায়। কনডম ব্যবহার করে অনেক সংক্রামক যৌন রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তাহলে খতনা করানোর পক্ষে যেসব যুক্তি দেখানো হয়, দেখা যাচ্ছে, এক কনডম ব্যবহারের ফলেই তো সেগুলো কভার করে যাচ্ছে, তাহলে খতনা করার প্রয়োজনটা কী ?
মোট কথা খতনার কোনো উপকারিতা নেই, কিন্তু খতনা করার ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, এবার সেটা দেখা যাক। লিঙ্গমনির সঙ্গে লিঙ্গ অগ্রের চামড়া জন্মের পর থেকেই যুক্ত থাকে এবং ১০/১২ বছর বয়সে সেটা প্রাকৃতিক ভাবেই আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু ম্যাক্সিম্যাম বাচ্চার খতনা করানো হয় ৫ থেকে ৮/৯ বছরের মধ্যে। এই সময় খতনা করতে গিয়ে অনেক সময়ই চামড়া সাথে সাথে লিঙ্গমনির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এই ক্ষতি নিয়েই একজন মানুষকে সারাজীবন চলতে হয়। আমার এক মুসলিম ক্লাসমেট ঠিক মতো কথা বলতে পারতো না, জোরে কথা বলতে গেলেই তার কথা আটকে যেতো। এর কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলেছিলো, "৪ বছর বয়সে তার খতনা করানো হয়, ঐ সময় লিঙ্গের চামড়া কাটতে গিয়ে লিঙ্গমনিতে আঘাত লাগে এবং সে অজ্ঞান হয়ে যায়।" দেহের মধ্যে সবচেয়ে সেনসিটিভ অঙ্গ হচ্ছে লিঙ্গমনি, সেখানে কোনো প্রকারের আঘাত লাগলে সেটা সাংঘাতিকভাবে আঘাত করে ব্রেইনে এবং ব্রেইন কোনো না কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমার ঐ ক্লাসমেটেরও ব্রেইন ঐ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। পরে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তারা এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে পারে।
তাছাড়া খতনা করা লিঙ্গও দেখতে চামড়া ছিলা মুরগীর মতো বিশ্রী।
এছাড়াও এমন কোনো শিশু নেই যে, সে স্বেচ্ছায় খতনা করাতে চায়, সব সময়ই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাকে খতনা করানো হয়। আমার আরও এক মুসলিম ক্লাসমেট, তার খতনা করানোর দিনের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলো, যেদিন খতনা করানো হবে, সেদিন সে কাঁদতে কাঁদতে তার বাপের কাছে গিয়ে অভিযোগের সুরে বলেছিলো, "আব্বা, ওরা নাকি আমার নুনু কেটে নিবে ? আমি কাটতে দিমু না।" এই অবস্থা সকল বাচ্চারই। ভালো কি মন্দ, তা বুঝে উঠার আগেই কারো কোনো অঙ্গের ক্ষতি করা নিশ্চিতভাবেই মানবাধিকারের লংঘন।

এটা কি একটা চক্রান্ত??

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
১৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×