somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অফলাইন ব্লগিং

২৬ শে জুন, ২০০৬ সকাল ৭:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত 23 জুন ব্লাগারবৃন্দ জড়ো হয়েছিলেন কালপুরুষের বাসায়। 23 জুনের আশায় ছিলাম সেই কৌশিক ভাইয়ের পোস্ট পড়ার পর থেকেই। দিন যেতে না যেতেই 23 জুন এসে গেল। কিন্তু ব্লগার বন্ধু অ্যালন কে অনেক টানাটানি করার পরেও গেল না। গেল না সামহোয়র ইন . . . ব্লগের একজন খাঁটি পাঠক রাজু ভাই যিনি ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেননি কিন্তু পড়েননি এমন লেখা খুব কমই আছে। কারণ তার কাছে ইন্টারনেট লাইন আছে। সে যাগগে।
বলছিলাম কালপুরুষের বাসার কথা। যেখানে অনেক ব্লগারদেরই আসার কথা। শুক্রবার আমার অফিস খোলা, কিন্তু তাই বলে কালপুরুষের বাসায় যাওয়ার কথা কিন্তু ভোলার নয়। শত হলেও অনেক ঘটা করে এই জড়ো হওয়া। যেখানে ঝড়ো হাওয়ারও জড়ো হওয়ার কথা।
যা হোক, দুলদুল গাড়িতে করে দাড়িয়ে দাড়িয়ে হেলতে দুলতে গিয়ে নামলাম বনানী। সেখানে গিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেখি কালপুরুষের বাসার ঠিকানাতো আনিনি। কি আর করা মোবাইলে কউকে ধরার চেষ্টা করতে লাগলাম। ধানসিঁড়ির মোবাইলে কল দিলে কি এক মহিলা কথা বলে, একবার বাংলায় একবার ইংরেজি তে। ছোট বেলায় আমি আবার ইংরেজি তো 02 পেয়েছিলাম কাস ফোরে থাকতে (পরের পরীায় অবশ্য 88 পেয়েছিলাম)। পুরো ফোনবুক খুঁজে কালপুরুষের মোবাইল নম্বর পেলাম না। মনে মনে ভাবলাম থাক আজ নাহয় গেলাম না। যাব না কেন? এতদূর এলাম তারপরে যদি না যাই তাহলে কেমন হয়। সাইবার ক্যাফে খুঁজতে শুরু করলাম। বনানী মসজিদের কাছে গিয়ে তিন তলায় একটা সাইবার ক্যাফে পাওয়া গেল। কিন্তু সামহোয়ার ইন . . . ব্লগে ঢোকা গেল না সহজে। কম্পিউটার পরিবর্তন করে তার পরে অনেক কষ্টে ঢুকলাম। পকেটে হাত দিয়ে দেখি কলম নেই। ক্যাফের লোকটার কাছে চাইলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় কলমটাতে কালি নেই। অতপর কলম পরিবর্তন। অতপর কালপুরুষের বাসায় পদর্াপন। লিফট অতপর সিঁড়ি বেয়ে উঠেতেই ধানসিঁড়ি লাফ দিয়ে উঠলেন। "আরাফাত....." ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেকি এক কঠিন পরীার মধ্যে পড়া গেল। কিন্তু কউকেই ধরা গেল না কোনটা কে। ধানসিঁড়ি ছাড়া আমি আর কোন সিঁড়ি চিনি না। তবে পরীায় পাশই করেছি বলতে হবে। দু একটা ভুলের পর কৌশিক ভাই, ঝড়ো হাওয়া, অন্যমনষ্ক শরৎ কালপুরুষদেরকে চিনতে পেরেছিলাম। তবে সুনীল সমুদ্র'র কুল চিনতে পারিনি।
কিছুণ পরে ইমন ভাই আসলেন। তাকে নিয়ে কি একটা হট্টোগোল বাধলো। আমার মনে হয় তার পোশাক নিয়ে সমস্যা ছিল। কি একটা লম্বা পোশাক পড়ে এসেছিলেন ইমন ভাই তাই নিয়ে সবার যত মন্তব্য।
গান গাওয়া হলো, কবিতা পাঠ হলো, ব্লগে পোস্ট করা লেখাও পাঠ করলেন সুনীল ভাই। কারো মুখে তখন কোন কথা নাই। সবার চোখে পানি। আসলেই প্রাপ্তিকে নিয়ে লেখা সেই লেখাটি চোখে জল প্রাপ্তির মতই।
সাদিক মোহাম্মদ আলম, জিন্নাতুল হাসান (হাসান ভাই) উনারা অনলাইনে ছিলেন। ওয়েব ক্যামে তাদের সাথে চ্যাট করলাম। প্রাপ্তিকে নিয়ে শরৎ ভাইয়ের করা ভিডিও চিত্রটি দেখলাম।
অতপর খাওয়া দাওয়া হলো। কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো। আতাউর ভায়ের জীবন কাহিনী শুনলাম। অতপর যাবার পালা।
বাড়ি যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি রাস্তায় নেই। সস্তায় যাওয়া যাবে বলে মনে হলো না। কি আর করা। ট্যাঙ্ িক্যাব একটা নিলাম। ভাড়াও দিলাম। অবশেষে বাসায় গিয়ে গফুর ভায়ের তাড়া খেলাম। "এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?" প্রাপ্তির কথা বলে পাড় পেয়ে গেলাম।
যারা সেদিন আসতে পারেননি তারা আমার এই লেখা পরে হয়তো কিছুটা স্বাদ পাবেন আশা করি। যদিও কিছুটা দেরি হয়ে গেল। ইচ্ছে করেই দেরি করেছি। এবিষয়ে আরও অনেকেই লিখেছেন। পরের দিন লিখলে তাদের লেখার ভীড়ে আমারটা হারিয়ে যেত।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৩২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×