somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন আমি পানির গ্লাস দিয়ে মারতে চাই

৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন পরে ব্লগে কিছু পোস্ট করতে এলাম। অনেকেই হয়ত আমাকে ভুলে গেছেন। তবে আমি কিন্তু কাউকে ভুলিনি। পোস্ট না করলেও মন্তব্য করেছি এবং মোটামুটি নিয়মিত সবার পোস্ট পড়ার চেষ্টা করেছি।

যাগগে সে সব কথা। আসল কথায় আসি।
রেগে যাওয়ার চুড়ান্ত পযর্ায় হচ্ছে মারামারি। মারামারির জন্য মাধ্যম প্রয়োজন। যেমন ধরুন, দুই বন্ধুতে তকর্াতর্কি, এর পর রাগারাগি অবশেষে মারামারি। বয়স ভেদে এর রকম আলাদা হয়। বাচ্চাদের কথাই ধরুন। ছেলে বেলায় আমরা কত তকর্াতর্কি, রাগারাগি এবং পরিশেষে মারামারি করেছি। কখনও লাঠি, চামচ, বই, কলম, জুতো, হাত, নখ এমনকি দাতও ব্যবহার করেছি। কি, আপনারা চুপ করে আছেন যে? মনে হচ্ছে একদমই করেন নি। আরে ভাই স্বীকার করেন, স্বীকার করেন। এখনতো আর কেউ আপনার বিচার করতে আসছে না।

আমরা রেগে গিয়ে কাউকে মারতে উদ্যত হলে সাধারণত কোন কিছুর সাহায্য নিয়ে মারতে চাই। একদম কিছু না পাওয়া গেলে হাত ব্যবহার করি। অনেকেই নখ কিংবা দাত ব্যবহারে বেশ পারদর্শি। যাহোক, আমি যদি রেগে গিয়ে কাউকে মারতে উদ্যত হই তখন পানির গ্লাস ব্যবহার করার চেষ্টা করি। এইতো সেদিন আমার সেজ বোন ফোন করে বলল- "ভাইয়া, তানিয়া (আমার আরেক ছোট বোন) ঠিক মত লেখা পড়া করতে চায় না। শুধু ঘুমায় আর খায়।" কথাটা শুনে আমি বললাম- "পানির গ্লাস দিয়ে ওর মাথার উপর ঠাস করে একটা বারি দাও।"

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কাঁচের গ্লাস নাকি স্টিলের গ্লাস? অবশ্যই স্টিলের গ্লাস। (স্টিলের গ্লাসের ছবি খুঁজে পেলাম না বলে কাচেঁর গ্লাসের ছবি দিলাম) কাঁচের গ্লাস কারো কারো মাথায় ভেঙ্গে যেতে পারে। যিনি মারছেন তার উপরেও বিষয়টি নির্ভর করে অনেকটা। আমি ঝুঁকি নিতে রাজি নই।

এবার আসেন, [গাঢ়]কেন এই গ্লাস প্রীতি?[/গাঢ়]
আমি তখন ক্লাস টুতে পড়ি। আরেকটি কথা বলে রাখা ভাল, ক্লাস ওয়ানে পড়ার ভাগ্য আমার হয়নি। সরাসরি ক্লাস টু তে। স্কুলে যেতে তেমন ইচ্ছে করত না আমার। অবশ্য আব্বুর ঘোষণা ছিল প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে একটি করে টাকা পাওয়া যাবে। টাকার প্রতি লোভ আমার বরাবরই ছিল না। সুতরাং স্কুলে যাওয়ার ব্যপারে অনাগ্রহ চলতেই থাকল।
একদিন আব্বু দুপুরে বাসায় খেতে এসেছেন। আমি বাইরে কোথাও খেলতে গিয়েছিলাম। দুপুরে মধ্যপ্রাচ্যে যখন আন্দোলন শুরু হলো তখন বাসায় ফিরে দেখি আব্বু খাটের উপরে বসে খাচ্ছেন। আমি ঘরে ঢুকতেই প্রশ্ন- 'স্কুলে গিয়েছিলে?' আমি ভয় মিশ্রিত লাজুক হাসি হেসে দুদিকে মাথা নাড়লাম। সঙ্গে সঙ্গে আব্বু যে গ্লাস থেকে পানি খেয়েছেন সেই গ্লাসটি ছুড়ে মারলেন আমার দিকে। আমি 5 হাত দুরে। একটু ঘুরতে সময় পেয়েছিলাম মাত্র। তখনতো দুই মাসের মার্শাল আর্ট ট্রেনিং ছিল না। গ্লাসটি সোজা আমা বাহুতে আঘাত করল। সিনেমাতে নায়কদের যেখানে গুলি লাগে সেখানে। সেটি ছিল স্টিলের গ্লাস। গ্লাসের উপরের অংশ লেগে অনেখানি কেটে গেল। এরপর যা হবার তাই হলো। তারপর থেকে আমি নিয়মিত স্কুলে যাওয়া শুরু করি।
[গাঢ়]আমার থিওরি হলো, কাউকে যদি কথা শোনাতে হয় তাহলে লাঠি কিংবা অন্য কোন অস্ত্র ব্যবহার করে মারার চেয়ে পানির গ্লাস দিয়ে মারলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।[/গাঢ়]
এবার বুঝলেন তো, পানির গ্লাসের ভিন্ন রকম ব্যবহারও আছে।

বি:দ্র: কিছু দিন আগে [link|http://www.somewhereinblog.net/arobd/post/12977|M
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ২:৫২
২৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×