somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আহাদ রায়হান
মাঝে মাঝে নিজেকে পৃথিবীতে সবচেয়ে নগন্য এবং একা মনে হয়। এর কিছুক্ষন পর মনে হয় এই পৃথিবীর প্রতিটি পিপড়া থেকে শুরু করে সাগরের নীল তিমি হয়ে আমার প্রিয় শত্রুর বাড়ির পেছনের আগাছা এবং প্রতিটি মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে আমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য।

বিয়ের পর বালিকারা বউ হয়ে যায় !

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মজার ছলে বালিকাকে বলেছিলাম চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে। বালিকা সিরিয়াস হবে ভাবিনি,
সম্মতি জানিয়ে বল্লো চলো কক্সবাজার যাই!
তাৎক্ষনিক নিজেকে রেডিমেট বলৎকার মনে হলো

ভেবিছিলাম তাকে বল্বো বালিকা চল পলায়ে যাই ! ভয়ে বলিনি...

বালিকারা ফান বুঝেনা !
অসম্ভব রকম আখাউড়া হয় বালিকারা !
বিয়ের আগে আর পরে পুরাই উল্টা। প্রেমে পরবে সিগারেট খাও্যার স্টাইল দেখে আর ডিভোর্স পর্যন্ত দিয়ে দিবে বিয়ের পর সিগারেট খেলে।
বুঝবিনা খামাখা কেন প্যারা মাথায় নিচ্ছিস ?

আমি আর জাহিদ মিলে কথা গুলা বুঝাচ্ছিলাম ফ্রেন্ড সুমনকে।
তার আজ বিয়ে !
আমি, জাহিদ আর সুমন সেই ছোট থেকে এক সাথে... এখনো মনে পড়ে কলেজ লাইফের সেই আড্ডা ... রাত ২ থেকে ৩ টা পর্যন্ত মামার চায়ের দোকানে আর দিনের বেলা শিশিরের বাড়ির পিছনের সেই পুকুর ঘাটে!

একটু পরি সুমন চলে যাবে বাসর ঘরে ! তার কাধে হাত রেখে বললাম দোস্ত বের হতে পারবি ? খুব জোড় গলায় বলেছিলো সুমন আরে কি বলিস পারবোনা কেন।
আচ্ছা যাহ !

শেষ কবে তার সাথে বসে একটূ আড্ডা দিয়েছিলাম মনে নেই...
বিয়ের ৩ দিন পর বসে গল্প করছিলাম। তার বউ ফোন করে যে ডেকে নিয়ে গেছে আর আসেনি আড্ডা দিতে।
ঐদিন মুখ গোম্রা করে বলেছিলো দোস্ত আমি মনে হয় বের হতে পারলাম্নারে !
কাধে হাত রেখে বলেছিলাম। ব্যাপার নাহ। সংসারী হ!

আজ আমি আর জাহিদ সুমনকে খুব মিস করছি। বছরের এইদিন আমরা সবাই একত্রে থাকিই থাকি, কিন্তু বেচারা সুমন !
মন খারাপ করে আমি আর জাহিদ ভাবছি কথা গুলা ।

আহ... বিয়ে করে কি ফেসে গেলো বেচারা সুমন ! সুন্দর ইতো চলছিলো আমাদের সময়। বিয়েটা না করলে সে ও থাকতে পারত আমাদের সাথে তাইনা ? জাহিদকে বললাম !

হ্যা রে। মানা করেছিলাম !
- যাক। বাদ দে আফসোস করে লাভ নেই !
হ্যা সবাইকেই করতে হবে একদিন
- আচ্ছা তোর আর শিশিরের কতদুর? ওর বাবাকে বলেছিস তোদের বিয়ের কথা ?

জাহািদের মুখটা শুখনা হয়ে গেল এই কথা শুনে !
দোস্ত সামনের নভেম্বরেই বিয়ে !

- কি বলিস ! আরে আগে বলবিতো পাগল, খুশির খবর লুকাইলি কেন হারামি! যাক তোর আশা পুর্ণ হল
অবশেষে পেয়ে যাবি তোর শিশির কে

হ্যা।

- দিনরাত বসে থাকতি পুকুরঘাটে তাকে এক নজড় দেখার জন্য। আম হ্যাপি ফর ইউ ইয়ার !

থেঙ্কস দোস্ত

সেদিন যে যার মত চলে গিয়েছিলাম বাসায়। সেদিনের পর আমি চিটাগাং চলে আসাতে জাহিদের সাথে আর দেখা হয়নি।

আজ আমরা ৩ জন একসাথে... জাহিদকে খুব সুন্দর লাগতেছেরে আজ, তার আর শিশিরের জুটিটা খুব মানিয়েছে, সুমনকে বললাম আমি।

তাদের আজ বিয়ে। তাই সবাই একসাথে। সারাদিন সবাই অনেক মজা করেছি। প্রায় একবছর পর সবাই একত্রে বসে গল্প করলাম।
_
দোস্ত তুই ও কি রয়ে যাবি ভিতরে ? বের হতে পারবিনা ?
কি বলিস রায়হান ও কি আমার মতো নাকি ? পারবে ও... সুমনের কথা শুনে মনে মনে হাসলাম একটু

ধুর তুই আমারে চিনস্না ? আর শিশিড় অনেক ওপেন মাইন্ডেড, ও বাকিদের মতোনা !

কেউ পারেনাই বের হতে। হয়নি আর আড্ডা...
_
যাই হোক চোখের কোনে অতীতগুলা ভেসে আসছিলো তাই না মনে করে থাকতে পারিনি।
আমি এখন একা বসে আছি হাতে মোবাইল। ফোনে কথা হয় তাদের সাথে আর ফেসবুক তো থাকেই... দুজনি আমার নিয়মিত লাইকার!

শেষ, সুমনের ছেলের নাম রাখার অনুষ্ঠানে সবাই দেখা করেছিলাম...
ঐদিন বসে দুজনের সংসারের কাহিনী শুনলাম। কিন্তু সেই আড্ডা আর দিতে পারিনি কারন দুজনের সাথে ছিলো আরো দুজন...
আমি আমার দুই পরাধীন ফ্রেন্ডের চেহারার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। মায়া লাগছিলো দেখে... চোখ যেনো বলছে সয়ে গেছে এখন চলতে দে

চলে আসার সময় দুজন আমার কাধে হাত রেখে বলেছিলো রায়হান...
প্লিজ তুই বের হইস !
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×