মজার ছলে বালিকাকে বলেছিলাম চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে। বালিকা সিরিয়াস হবে ভাবিনি,
সম্মতি জানিয়ে বল্লো চলো কক্সবাজার যাই!
তাৎক্ষনিক নিজেকে রেডিমেট বলৎকার মনে হলো
ভেবিছিলাম তাকে বল্বো বালিকা চল পলায়ে যাই ! ভয়ে বলিনি...
বালিকারা ফান বুঝেনা !
অসম্ভব রকম আখাউড়া হয় বালিকারা !
বিয়ের আগে আর পরে পুরাই উল্টা। প্রেমে পরবে সিগারেট খাও্যার স্টাইল দেখে আর ডিভোর্স পর্যন্ত দিয়ে দিবে বিয়ের পর সিগারেট খেলে।
বুঝবিনা খামাখা কেন প্যারা মাথায় নিচ্ছিস ?
আমি আর জাহিদ মিলে কথা গুলা বুঝাচ্ছিলাম ফ্রেন্ড সুমনকে।
তার আজ বিয়ে !
আমি, জাহিদ আর সুমন সেই ছোট থেকে এক সাথে... এখনো মনে পড়ে কলেজ লাইফের সেই আড্ডা ... রাত ২ থেকে ৩ টা পর্যন্ত মামার চায়ের দোকানে আর দিনের বেলা শিশিরের বাড়ির পিছনের সেই পুকুর ঘাটে!
একটু পরি সুমন চলে যাবে বাসর ঘরে ! তার কাধে হাত রেখে বললাম দোস্ত বের হতে পারবি ? খুব জোড় গলায় বলেছিলো সুমন আরে কি বলিস পারবোনা কেন।
আচ্ছা যাহ !
শেষ কবে তার সাথে বসে একটূ আড্ডা দিয়েছিলাম মনে নেই...
বিয়ের ৩ দিন পর বসে গল্প করছিলাম। তার বউ ফোন করে যে ডেকে নিয়ে গেছে আর আসেনি আড্ডা দিতে।
ঐদিন মুখ গোম্রা করে বলেছিলো দোস্ত আমি মনে হয় বের হতে পারলাম্নারে !
কাধে হাত রেখে বলেছিলাম। ব্যাপার নাহ। সংসারী হ!
আজ আমি আর জাহিদ সুমনকে খুব মিস করছি। বছরের এইদিন আমরা সবাই একত্রে থাকিই থাকি, কিন্তু বেচারা সুমন !
মন খারাপ করে আমি আর জাহিদ ভাবছি কথা গুলা ।
আহ... বিয়ে করে কি ফেসে গেলো বেচারা সুমন ! সুন্দর ইতো চলছিলো আমাদের সময়। বিয়েটা না করলে সে ও থাকতে পারত আমাদের সাথে তাইনা ? জাহিদকে বললাম !
হ্যা রে। মানা করেছিলাম !
- যাক। বাদ দে আফসোস করে লাভ নেই !
হ্যা সবাইকেই করতে হবে একদিন
- আচ্ছা তোর আর শিশিরের কতদুর? ওর বাবাকে বলেছিস তোদের বিয়ের কথা ?
জাহািদের মুখটা শুখনা হয়ে গেল এই কথা শুনে !
দোস্ত সামনের নভেম্বরেই বিয়ে !
- কি বলিস ! আরে আগে বলবিতো পাগল, খুশির খবর লুকাইলি কেন হারামি! যাক তোর আশা পুর্ণ হল
অবশেষে পেয়ে যাবি তোর শিশির কে
হ্যা।
- দিনরাত বসে থাকতি পুকুরঘাটে তাকে এক নজড় দেখার জন্য। আম হ্যাপি ফর ইউ ইয়ার !
থেঙ্কস দোস্ত
সেদিন যে যার মত চলে গিয়েছিলাম বাসায়। সেদিনের পর আমি চিটাগাং চলে আসাতে জাহিদের সাথে আর দেখা হয়নি।
আজ আমরা ৩ জন একসাথে... জাহিদকে খুব সুন্দর লাগতেছেরে আজ, তার আর শিশিরের জুটিটা খুব মানিয়েছে, সুমনকে বললাম আমি।
তাদের আজ বিয়ে। তাই সবাই একসাথে। সারাদিন সবাই অনেক মজা করেছি। প্রায় একবছর পর সবাই একত্রে বসে গল্প করলাম।
_
দোস্ত তুই ও কি রয়ে যাবি ভিতরে ? বের হতে পারবিনা ?
কি বলিস রায়হান ও কি আমার মতো নাকি ? পারবে ও... সুমনের কথা শুনে মনে মনে হাসলাম একটু
ধুর তুই আমারে চিনস্না ? আর শিশিড় অনেক ওপেন মাইন্ডেড, ও বাকিদের মতোনা !
কেউ পারেনাই বের হতে। হয়নি আর আড্ডা...
_
যাই হোক চোখের কোনে অতীতগুলা ভেসে আসছিলো তাই না মনে করে থাকতে পারিনি।
আমি এখন একা বসে আছি হাতে মোবাইল। ফোনে কথা হয় তাদের সাথে আর ফেসবুক তো থাকেই... দুজনি আমার নিয়মিত লাইকার!
শেষ, সুমনের ছেলের নাম রাখার অনুষ্ঠানে সবাই দেখা করেছিলাম...
ঐদিন বসে দুজনের সংসারের কাহিনী শুনলাম। কিন্তু সেই আড্ডা আর দিতে পারিনি কারন দুজনের সাথে ছিলো আরো দুজন...
আমি আমার দুই পরাধীন ফ্রেন্ডের চেহারার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। মায়া লাগছিলো দেখে... চোখ যেনো বলছে সয়ে গেছে এখন চলতে দে
চলে আসার সময় দুজন আমার কাধে হাত রেখে বলেছিলো রায়হান...
প্লিজ তুই বের হইস !
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১