somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সময়

২৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Human Body - বইটা নিয়ে ওল্টাচ্ছি শুধু । কিছু ঢুকছেনা মগজে । অথচ দুদিন বাদেই ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা । পরীক্ষায় যে নৌকা ভালভাবেই ডুববে, সেটা বেশ টের পাচ্ছি । মরচে পড়া ফ্যানের ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দটাও অমনযোগী করে দিচ্ছে শুধু । বিরক্ত হয়েই বইটা তুলে বেডের উপর দিলাম এক আছাড় । কিছুই হলনা । ধপ্ করে একটা শব্দ হল কেবল ।

ব্যাংকার হবার ইচ্ছে ছিল এককালে । আর পরিবারের ইচ্ছে, ডাক্তার বানাবে আমাকে । বড় ভাইয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে । তাই আমায় হতে হবে ডাক্তার । গলা টিপে মেরে ফেললাম নিজের সাধ আহ্লাদ । পরিবারের চাপিয়ে দেয়া দায়িত্বের ভারেই ভর্তি হলাম একটা সনামধন্য প্রাইভেট মেডিকেলে ।

একদম বোরিং লাইফ । বিদ্যা গায়ে মেখে তা ফলাতে হয় মানুষের দেহে । ডাক্তার বলে কথা । মেডিকেলের স্টুডেন্ট মানে, সারাদিন বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকা । এমনকি কখনও কখনও জান যায় যায় অবস্থা হয় । তবুও থেমে থাকার জো নেই । মেডিকেলের এমন বন্ধুর পথের যাত্রায় হোঁচট খেয়ে পড়ি । আবার সঙ্গে সঙ্গেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দৌড়োই । থেমে থাকলেই হারিয়ে যেতে হবে অন্ধকারে । সে অন্ধকার পেরোনোর পথ আজও কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি । পারলে হয়ত ঠিকই নোবেল পেত ।

দরজায় ঠক ঠক করে শব্দে ঘোর কাটল । দরজার ওপাশটায় একজনেরই অস্তিত্ব টের পাচ্ছি ।
আদিবা ।
আমার রুমমেট । বন্ধুমহলে আদি বলেই ডাকা হয় ।
শুধু রুমমেট বললেও ভুল হবে । একই কলেজে পড়ার সুবাদে গভীর দোস্তী আমাদের । তার উপর আবার ওর পরের রোলটাই ছিল আমার । কলেজের নিয়মেই ইন্টারমিডিয়েটের প্রতিটা পরীক্ষায় পাশাপাশি বসাটা আমাদের কাছে টেনে এনেছে আরেকটু । বন্ধুত্বের খাতিরে একই মেডিকেলে পড়ছি এখন ।

দরজাটা খুলে দিয়ে এসেই শুয়ে পড়লাম ।

অবেলায় শুতে দেখে অবাকই হয়েছে হয়তো আদি । বিস্ময় কাটাতে জানতে চাইল, কিছু হয়েছে কিনা ।
ভাল লাগছেনা কিছু । আবার খারাপ লাগারও কোন কারণ নেই । তাই কিছু বললাম না ।

উত্তরের আশা না করে আবার বলল “তোর জন্য একটা সুখবর আছে রে”
বলতে গিয়ে কন্ঠটা কেমন যেন ভারী হয়ে গেল ওর ।

মাথা না ঘুরিয়েই তাকালাম ওর দিকে ।
সুখবরটা জানতে চাওয়াতে মলিন একটা হাসি দিয়ে বলল,
“তোর চির শত্রু ফিনিশ । আর কেউ তোর ক্ষতি চাইবেনা কখনও”

ওর এরকম হাসিতে আঁতকে উঠলাম একটু । আমার প্রতি তীব্র ক্ষোভের প্রতিফলন দেখলাম যেন । এছাড়া আর কিছুই বুঝিনি । প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বললাম,
“ক্লিয়ার করে বলবি ?”
“ক্লিয়ার করে বলার কি আছে? তোর আবার শত্রু কজন? চিনতে পারছিস না?”

কিছুটা বিস্ময় নিয়ে অতীত হাতড়ালাম । নাহ্ মনে পড়ছেনা । জানতে চাইলাম আরেকবার ।
“খুলে বলবি ? নাহলে বলতে হবেনা, যা ।”

“গতকাল রাতে নীল সুইসাইড করেছে”

বলেই হ্যাংগারে ঝোলানো টাওয়েলটা নিয়ে শাওয়ারে চলে গেল আদি ।

বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে হঠাৎ করে । কি শুনলাম আমি ? নিজের কানকেই অবিশ্বাস হচ্ছে ।
ঠিক শুনলাম তো ?

কয়েকটা বছর পেছনে ফিরতে ইচ্ছে করছে আজ । এই মুহুর্তে একটা টাইম মেশিন খুব মিস করছি ।

* * * * * * * *

নীল, আমি আর আদিবা । ক্লাসমেট ছিলাম আমরা । একসাথে ঘোরাফেরা । সারা শহর চষে বেড়ানো । সবই করতাম একসাথে ।
কিছু হিংসুটে মানুষের কটুক্তি আর কুনজর উপেক্ষা করে ভালই চলে যাচ্ছিল আমাদের ।

এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে সে দিনটার কথা, যেদিন নীল প্রোপজ করেছিল আমাকে ।

কলেজে শেষ দিন । ফেয়ারওয়েল ।
আশেপাশে ঘুরঘুর করছিল নীল । কিছু একটা বলতে চেয়েও বলছেনা । তারপর আমিই বারান্দার এক কোণে ডেকে নিয়ে গেলাম ওকে ।
চুপ করে ছিল কিছুক্ষণ । তারপরই দুম করে কাঁপা কাঁপা গলায় প্রোপজ করে দিল ।
প্রথমে কৌতুক ভেবেই উড়িয়ে দিয়েছিলাম ব্যাপারটা । পরে অবশ্য বুঝেছিলাম বেশ ভালভাবেই পেছনে লেগেছে ও । তবুও ব্যাপরটাকে কৌতুক ভাবতেই ভাল লাগত । অন্য দৃষ্টিতে দেখতে চাইনি আর ।
ইচ্ছে করেই হয়তো চাইনি ।

তারপর কেটে যায় কিছুটা সময় ।

এইচ এস সি দিলাম । মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাও হল ।
কোথাও চান্স না পেয়ে ভর্তি হলাম প্রাইভেটে । আমি আর আদি । নীলের খবর আর রাখা হয়নি । আদিবাকেও বলেছিলাম ওর ব্যাপারে কথা না বলতে ।

জীবনকে এখন নতুন করে চিনতে শিখেছি । জানতে শিখেছি । বুঝতে পেরেছি, আবেগ দিয়ে জীবন চলেনা । তবুও হৃদয় ভালবাসা চায় । রিলেশানে জড়ালাম একটা ছেলের সাথে । ছেলেটা বুয়েটের আর আমি মেডিকেল ।
যেন সোনায় সোহাগা ।
পারফেক্ট ম্যাচিং ।

সময়ের হাত ধরে ও বুয়েট শেষ করল ।
আর আমি মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষে । আমাদের মাঝে সবকিছুই হয়েছে । বন্ধুরা অনেক বুঝিয়েছিল । সাবধান করে দিয়েছিল বহুবার । যার সাথে রিলেশান করছি সে একটা প্লে-বয় । অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে ।
অনেক ভালবাসতাম ওকে । তাই অন্যের গালমন্দ কানে তুলিনি । সব সময় ভাবতাম ওরা আমাদের রিলেশানটাকে সহ্য করতে পারছেনা । তাই কানে বিষ ঢালছে ।

শেষে এসে, যা হবার তাই হল । আমাকে একদিন রেস্টুডেন্টে ডেকে বলল,

“শোন বৃষ্টি, আমার বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে । পরিবারের অমতে তোমাকে বিয়ে করাটা সম্ভব না আমার । আমাদের মাঝে যা হয়েছে সবকিছু ভুলে যেও । পারলে মাফ করে দিও আমাকে”

একটা কথাও বলতে পারিনি সেদিন । অবাক হয়ে শুনেছি শুধু । কথাগুলো কিভাবে এত সহজেই বলে ফেলল ! একটুও কি কষ্ট হয়নি ওর ? সেদিন বুঝেছিলাম, জীবনের সবচে বড় ভুলটা আমার কি ছিল । কিন্তু অন্ধকার পেরিয়ে আলোয় যাবার মাঝের দরজাটার চাবি আমার ছিলনা । হারিয়ে ফেলেছি সেটা বহু আগেই ।

* * * * * * * * * *

আদিবা শাওয়ার ছেড়ে বের হতেই, ধরলাম ওকে ।
“কি বললি তুই ?”

“কেন ? খুশি হোসনি ?”

কিছু বলতে পারলাম না । গলায় আটকে যাওয়া কথার ভীড়ে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে । খুব কষ্ট হচ্ছে । দাঁত দিয়ে ঠোট কামড়ে কান্নার শব্দ আটকে রেখেছি । কিন্তু চোখ যে বাঁধ মানতে নারাজ । আমিও বাঁধা দিলামনা । গাল বেয়ে নোনা পানি বইতে দেখে তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল,

“কান্না থামা । তোর চোখে পানি? মানায় না”

কটুক্তিটা ধরতে পেরেও কিছু বলতে পারছিনা আমি । কাঁদছি শুধু ।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলল আদি,
“কালকে নীলকে নিয়ে যাবে ওর গ্রামের বাসায় । ওখানেই দাফন দেবে । ওর ভাইয়ের কাছে শুনলাম, মারা যাবার আগের দিন রাতে নাকি তোর সাথে দেখা করতে চেয়েছিল নীল । যদি ইচ্ছে করে, দেখতে যেতে পারিস ।”

নীলের সেই পুরোনো কথাগুলো মনে পড়ছে আজকে । চাপা স্বভাবের ছেলেটার হাসিই ছিল সবকিছু । হাসি দিয়েই বলে দিত সব কথা । মন ভাল থাকলে খুব হাসত ছেলেটা । কষ্ট পেলেও হাসত । তবে সে হাসিতে আনন্দ থাকত না । তখন সবাই বুঝত, মন ভাল নেই নীলের ।

শেষ যেদিন কথা হয়েছিল ফোনে, পুরোটা সময়জুড়ে চুপ করে ছিল ও । শূধু শেষে একা কথাই বলেছিল । আজ খুব মনে পড়ছে কথাটা ।

“যদি কথনও জানতে পারো আমি মারে গিয়েছি, সময় করে দেখতে এসো কিন্তু এই খারাপ ছেলেটাকে । খুশি হব”
বলেই হেসে দিয়েছিল ।

হ্যাঁ যাবো । ওকে দেখবো আমি । ফিরে যাবো ওর কাছে ।

* * * * * * * *

নীলের বাসার সামনে রিক্সাটা এসে থামল ।
একটা ছোটখাট জটলা হয়েছে ওখানটায় । রিক্সা থেকে নামলাম আমি আর আদি । ভাড়া মিটিয়ে টিপটিপ করে এগোচ্ছি । মনে হচ্ছে পায়ে কয়েক শ টনের পাথর বাঁধা । অথবা পেছন থেকে টেনে ধরে রেখেছে কেউ ।

ভীড় ঠেলে এগিয়ে গেলাম ।

শুয়ে আছে নীল । শান্ত সেই ছেলেটা আজও শান্ত রয়ে গেছে ।
সবাইকে ছেড়ে যাবার আগে হয়তো মুচকি হেঁসে বলেছিল, “ আর কেউ কষ্ট দেবে না আমায় । দিতে পারবেনা ।আজ থেকে আমি মুক্ত” । সেই হাসিটা এখনও লেগে আছে নীলের প্রসারিত ঠোটজোড়ায় ।

গুটিগুটি পায়ে কাছে গিয়ে বসলাম ।
হাতটা টেনে নিয়ে চেপে ধরে রেখেছি আমার দু হাতের তালুর মাঝে । হিমশীতল দেহটা যেন ওর অনুপস্থিতিটাকে বারবার জানান দিচ্ছে ।

নীলকে উঠিয়ে নিতে কয়েকটা লোক এগিয়ে এলো । একটু পরেই নিয়ে যাবে ওকে । অনেক দূরে । আর কখনও ফিরবে না । ভেতরটা কেন জানি কেঁপেকেঁপে উঠছে । তাহলে কি ওকে হারাবার পর বুঝলাম ও আমার জীবনের কতটা অংশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিল !!

নীলকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ওরা । কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার কাছে থেকে ।

কি যেন একটা দেখলাম নীলের হাতে । ঝাপসা হয়ে যাওয়া চোখটায় স্পস্ট দেখতে পারছিনা ।
হ্যাঁ, কিছু একটা লেখা হয়েছে হাতে । পাগল টা নিজের হাতকে ক্যানভাস বানিয়ে ব্লেডকে তুলি করে এঁকে রেখেছে আমার নামটা ।
“বৃষ্টি”
হু হু করে কেঁদে দিলাম ।

জড়িয়ে ধরলাম নীলকে । আমার নীলকে ।
“নীল, এসো আরেকটা বার । বলোনা , ‘ভালবাসি’ । বলেই দেখো ।
আর ফিরিয়ে দেবনা । বেঁধে রাখব সারাটা জনম । ”

নীল তবুও একটা বারের জন্যেও তাকায়নি সেদিন ।

* * *

আজ বহু বছর পেরিয়ে গেছে, জীবনটাও বদলেছে অনেকখানি ।
সময়ের মূল্য কতখানি এখন তা বুঝতে শিখেছি
জীবনের সবচে দামী জিনিসটা হারিয়ে ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×