somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক ও হরমুজ মিয়ার শেষ ইচ্ছা!

১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।
শরীয়তপুরের হরমুজ মিয়া। বর্ণাঢ্য জীবন কাহিনী তার। হরমুজ মিয়া, তার আবার বর্ণাঢ্য জীবণ! কিন্তু শুনলে আপনিও পুলকিত হবেন। রাস্তা নিয়ে তার আছে বিস্তর জীবনগাথা। রাস্তায় উঠে যেমন জীবনযাপনের রোজগার শুরু করেছিলো, বিয়ে করে রাস্তা দিয়ে বউ নিয়ে বাড়ি ফিরেছে, রাস্তায় দেখেছে সন্তানের মুখ আর রাস্তাই তাকে পথে বসিয়েছে।
সুস্থ্য সবল হরমুজ মিয়া ভ্যান চালাতো। হাট থেকে মালামাল নিয়ে মানুষের আব্দার মতো গন্তব্যে পৌছে দিতো। হরমুজের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কের ‘মাঝামাঝি কান্দি’ নামক গ্রামে। ‘লোয়ার মত হাত, ইডাইল্যা শইল আমার’ বলে হরমুজ একদিন গর্ভ করতো! জীবিকার টানে একদিন আটার বস্তা নিয়ে হরিনাঘাট থেকে ভেদরগঞ্জ বাজারের দিকে রওয়ানা দিয়েছে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তা। পথে ভ্যান উল্টে পড়ে গেলো। ঘটনা চক্রে আটার বস্তা এসে পড়লো হরমুজের পায়ে। ব্যাস, পা ভেঙ্গে গেলো। অকেজো হয়ে গেলো মুহুর্তের মধ্যে। কয়েক মাস বিছানায় কাটিয়ে যখন সেরে উঠলো তখন টের পেলো, সেই ইডাইল্যা শরীর আর নাই। এখন আর হরমুজ ভ্যান টানতে পারে না। কি করা যায় চিন্তায় পরে গেলো হরমুজ।

২।
ভ্যান দুর্ঘটনার পর হরমুজকে ভ্যান চালানো চেড়েই দিতে হলো। কিছু একটাতো করতে হবে! অনেক চিন্তা ভাবনা করে হরমুজ গরু পালন শুরু করলো। প্রতিদিন গরু নিয়ে মাঠে যায়। ঘাস খাওয়ায়, কিছু ঘাস কেটে নিয়ে আসে রাতে খাওয়ানোর জন্য। হরমুজ তখনও বিয়ে করেনি। গরু লালন পালন করে, দুধ বিক্রি করে ভালই আয় রোজগার হচ্ছিল।
হরমুজের গরুটা গাভিন হয়েছে। আগর মত এখন আর দুধ দেয় না, দুধ একদম কমে গেছে। যা দুধ হয় তা বিক্রি করার মত না। বাছুরটাও বড় হয়ে চালাক হয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই দুধ খেয়ে ফেলে। সিয়ানা বাছুর, মুহুর্তের মধ্যে ওলান খালি করে ফেলে। তাতে হরমুজের মনে কষ্ট নেই। আরতো কয়েকটা মাস কষ্টে সিষ্টে চালিয়ে দিলেই হবে। আবার যখন বাচ্চা দিবে তখন দুধ হবে, দুধ বিক্রি করে সংসার ভালোই চলবে!
কিন্তু সময় কারোরই সমান যায় না। হরমুজের সময় এখন ভালো যাচ্ছে না। গরুটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলো। হরমুজ একটা ভ্যান চালককে খবর দিলো। ভ্যানে করে গঞ্জের হাটে মজিদ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। মজিদ ডাক্তার হাটের সবচেয়ে বড় পশুর ডাক্তার! পশু হাসপাতালে চাকরি করেছে অনেক বছর। অবসরের পর গঞ্জের হাটে দোকান দিয়ে বসেছে। সবাই তাকে ডাক্তারই ডাকে।
ভ্যানে করে হরমুজ তার গর্ভবতী গরুটাকে গঞ্জের হাটে নিয়ে গেলো। মজিদ ডাক্তারকে দেখিয়ে ঔষধ কিনে বাড়ি ফিরছিলো। রাস্তার ঝাকুনিতে গরুর বেহাল দশা। পরের রাতেই গরুর গর্ভপাত হয়ে গেলো। আর মাত্র কয়েক মাস পরে বাচ্চা দিবে। অনাকাঙ্খিত সময়ে গরুটা মরে হরমুজের মাথায় বিনা মেঘে বাজ পড়লো। হরমুজ মনে মনে বললো, ‘খোদা, ঠাডা হালানের আর মানুষ পাইলা না! গরুটা আমার একমাত্র সম্বল তার উপরেই বিপদ দিলা!
হরমুজ চিন্তা করলো সময় এমনিতে ঘুরবে না। তার চেয়ে একটা বিয়া কইরা ফালাই। দুইজনের কপালের জোরে যদি ভাগ্যটা একটু খোলে! সাত পাঁচ ভেবে পাশের গ্রামের আরজিনা বেগমকে বিয়ে করে ফেললো হরমুজ মিয়া। বিয়ে করে নিরুপায় হয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরতে হলো হরমুজকে!

৩।
হরমুজ মিয়া বিয়ে করেছে। বিয়ের পর হরমুজ মিয়া সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো! একদিন হরমুজ মিয়া বাজারে গিয়ে মিষ্টি বিলাচ্ছিল। অনেক পরিচিত-অপরিচিত লোক সেই মিষ্ট খেয়ে বেশ খুশি। হরমুজের স্ত্রী আরজিনা বেগমকে পাশের বাড়ির মর্জিনা ভাবি এসে জিজ্ঞেস করলো
-কিলো, কি হইছে তোগো? তোর সোয়ামি দেহি বাজারে মিষ্টি বিলাইতাছে! আমারে কিছু কলি না যে!
-আর কইওনা বইন, কাইল রাইতে আলুভত্তা আর হোরা ভত্তা দিয়া কাজির ভাত খাইছিলাম। হজম হয়নাই ঠিকমত তাই সকালে ওকাল করছি। হেইয়া দেইখ্যা গোলামে খুশিতে নাচতাছে আর মিষ্টি বিলাইতাছে!
-ওহ! ওই কতা? আমার সোয়ামীতো আইসা আমারে সুখবরটা দিলো, কইলো হরমুজের বউ পোয়াতি হইছে! আমি আরো মনে মনে বেজার হইছি যে, আরজিনা ভাবি আমারে খবরটা কইলো না, আমার সোয়ামির কাছ থেকে খবরটা শোনতে হইলো!
কয়েক মাস পর ঠিকই আরজিনা বেগম পোয়াতি হইছে! এবার হোরা ভত্তা আর কাজির ভাতের গুনে না সত্যিকারের বমি ভাব শুরু হয়েছে আরজিনার। এ অবস্থায় আরজিনাকে ডাক্তার দেখানো দরকার। কিন্তু হরমুজের আবার ডাক্তারদের প্রতি বেদম গোস্বা। ডাক্তাররা তার দু’চোখের বিশ। ডাক্তার দেখলেই সে দেখে ছুরি, চাপাতি নিয়া কষাই আসতেছে। আর হাসপাতাল ও ক্লিনিক তার কাছে কষাইখানা ছাড়া আর কিছুই নয়!
যাহোক, হরমুজের স্ত্রীর দিন ঘনিয়ে আসতেছে। না, মৃত্যুর নয়, ডেলিভারির দিন ঘনিয়ে আসতেছে। হরমুজ চিন্তা করলো, যে করেই হোক নরমাল ডেলিভারি করাতে হবে! ব্যাথা উঠলে যদি বাড়িতে রাখে তবে দাই বেটি কিছুক্ষণ নারাচারা করে কমিশন খাওয়ার লোভে হাসপাতালে নিয়া যাবে! হাসপাতালে নিলেও নরমাল হবে না, পরে হাসপাতাল থেকে পাঠাবে ক্লিনিকে। ক্লিনিকে নেয়ার পর কাটাকাটি করে ডেলিভারি করবে আর হরমুজের কাছ থেকে মোটা টাকা খসাবে। হরমুজ এটা হতে দিতে পারে না!
এদিকে ডেলিভারির দিন ঘনিয়ে আসছে। প্রস্তুতি হিসাবে হরমুজ একটা ইজিবাইক ঠিক করে রাখলো। ইজিবাইক চালককে বলে রাখলো, ডাক দিলেই যেন ইজিবাইক চলে আসে। কি করতে হবে বা কোথায় যেতে হবে তা পরে বলে দিবে।
এমনি এক সকালে হরমুজের স্ত্রীর পেট ব্যাথা শুরু হয়েছে। সাথে সাথে হরমুজ ইজিবাইক চালককে ডাক দিলো। ইজিবাইক চালক এমন বিপদের সময় দ্রুত হরমুজের বাড়ি চলে আসলো। জিজ্ঞেস করলো
-হরমুজ ভাই, কই নিবেন চিন্তা ভাবনা করছেন? হাসপাতালে না ক্লিনিকে?
হরমুজের সোজাসাপটা উত্তর
-আমারে কি পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে যে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে নিমু? তুই ধর, গাড়িতে তোল, আমিও ধরতাছি।
হরমুজ বাইক চালকের সহায়তায় স্ত্রীকে বাইকে তুললো। পাশের বাড়ির দাই চাচি ঘরে আরজিনা বেগমের পাশেই ছিলো। তাকে ডাক দিয়ে বাইকে তুললো হরমুজ। কয়েকটা কাপড়ও সাথে নিয়ে নিলো। এবার বাইক চালককে বললো
-চাঁদপুরের রাস্তায় ল!
-কন কি হরমুজ ভাই? ঐ রাস্তার যা অবস্থা তাতে ওই দিকে কই নিয়া যাইবেন?
-কতা কম ক, যেমনে বলি তেমনে কাজ করতে থাক।
হরমুজ বাইকের দরজার অংশ কাপর পেচিয়ে ঢেকে দিলো আর স্ত্রীর পাশে দাই চাচিকে বসিয়ে দিলো। চালকের পাশে বসে হরমুজ চালককে বললো
-এইবার চালাইতে থাক কাইশ্যা।
কাইশ্যা বাইক চালাতে শুরু করলো। আধা কিলোমিটার যেতে হলো না। আরজিনা বেগমের নরমাল ডেলিভারি হয়ে গেলো! ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয়েছে হরমুজের বউর। দাই চাচি তো তাজ্জব, তাজ্জব বাইক চালক কাইশ্যাও!
হরমুজ বাইক চালককে এবার বললো,
-বাইত্তে চল কাইশ্যা। এবার বুঝতে পারলি কেন এই রাস্তায় আইছি! সিজার, অপারেশন কিছুরই দরকার নাই, এই রাস্তায় চললে, নারিভূরিসহ পেটের ভাতও বাইরে চইলা আসে, বাচ্চা কাচ্চাতো আরো চেঙ্গর! ওরা ভিতরে থাকবো না হেইডা আমি জানি!

৪।
হরমুজের বিপদ যেন কাটছেই না। বিয়ে করলে বিপদ কাটবে চিন্তা করেছিলো, কিন্তু কই? বিপদ যে সঙ্গী হয়ে আছে। হাতে কোন কাজ কর্ম নাই, টাকা পয়সাও নাই। এভাবে অভাব অনটনের মধ্যে আর ভালো লাগে না। অগত্যা কোন কাজ কর্ম না পেয়ে হরমুজ চুরি চামারি শুরু করলো।
একদিন পাশের এলাকার কিনাই মিয়ার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকছে। মালপত্র নিয়া বের হবে এমন সময় কিনাই মিয়া টের পেয়ে গেলো! চোর চোর বলে চিৎকার দিতেই হরমুজ মিয়া দিলো দৌড়। হরমুজ দৌড়ায় মালামাল নিয়ে আর কিনাই মিয়া দৌড়ায় হরমুজের পিছন পিছন। দৌড়াতে দৌড়াতে হরমুজ উঠলো শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে। সড়ক দিয়ে দৌড়ানোর সময় কিনাই মিয়া ভাঙ্গা রাস্তার খাদে পড়ে চরম ভাবে জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করলো। কিনাই মিয়ার স্বজনরা হরমুজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলো। নিয়তির নির্মম পরিহাস, দীর্ঘ শুনানী শেষে হরমুজ মিয়ার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আগে হরমুজ মিয়াকে জিজ্ঞেস করা হলো,
হরমুজ, তোমার শেষ ইচ্ছে কি?
হরমুজ জবাব দিলো, আমাকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে আনা হোক!
উপস্থিত কর্তা ব্যক্তিরা জানতে চাইলো,
-হরমুজ, ঐ রাস্তায় কি তোমার অনেক স্মৃতি? শেষ বারের মত কি তুমি ঐ রাস্তা দিয়ে ঘুরতে চাও?
শান্ত গলায় হরমুজের উত্তর,
-না, ঐ রাস্তা দিয়ে চললে এমনিতেই মইরা যাইতে ইচ্ছা করে! এতই খারাপ রাস্তা, হয় এ্যাকসিডেন্টে মইরা যাব যেমনটি মরছে কিনাই মিয়া! যার কারনে আমি আজ ফাঁসিতে ঝুলুম, নয়তো এমন বাজে রাস্তায় চলার কারনে নিজেরই ইচ্ছে হইবো মইরা যাইতে! তাতে মৃত্যুটা একটু সহজ হইবো আরকি!!

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×