সংবাদ পত্রে এসেছে.................................................
মাসিক ২৫ থেকে ৩০ টাকা কিস্তিতে গ্রামের তৃণমূল মানুষকে স্মার্টফোন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামের কৃষক-মজুরদের মতো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের হাতে স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে এরিকসন ও ওয়ালটনের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তারা আমাকে বলেছে, এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন তুলে দেওয়া সম্ভব।
...........................................................................
২৫ টাকার মাসিক কিস্তিতে স্মার্টফোন !!! ৫ বছরের সহজ কিস্তি !!! মোবাইল না থাকলেও কিস্তি কিন্তু অবশিষ্ট থাকবে !!
তার চেয়ে বড় কথা খেলার চেয়ে ধুলা বেশি উড়বে, ২৫টাকা হারে যতবার কিসতি দিতে যাওয়া লাগবে ততবার একজনের কাছে গেলে সে এমনিতেই এর চেয়ে ভাল সেট দিবে আর যদি কোন কিসতি মিস হয় তাহলে আবার সরকারি সমপদ আত্নসাধের মামলা খাওয়ার অফুরন্ত সমভাবনা থেকেই যাবে।
১৫০০ টাকার স্মার্টফোন কৃষক কিস্তি পরিশোধ করার আগেই নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের জন্য বিদ্যালয়ে যে ল্যাপটপ দিয়েছিল তা অনেকটা প্যাকেটের ভিতরই নষ্ঠ ছিল। আর যে গুলো ভাল ছিল তার হায়াত ছিল বেশি হলে ১/২ বছর।শুধু টাকা নষ্ট।
মোট কথা.....................................
আবেগের বশবর্তী না হয়ে দয়া করে আপনারা বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করুন। লোকাল বাসে ওয়াইফাই, দোয়েল, ফুট ওভার ব্রীজে এস্কেলেটর লাগানো, ২৫ টাকা কিস্তির স্মার্ট ফোন ইত্যাদি উদ্ভট সব প্রকল্প আপনাদের সস্তা জনপ্রিয়তা দিবে কিন্তু জনগনের সত্যিকারের কোন উপকারে আসবে না।স্মার্ট ফোন না দিয়ে কৃষিকে আধুনিকায়ন, কৃষকের উন্নয়ন ও স্বল্প মূল্যে কৃষি উপকরণ প্রদান করুন। স্মার্ট ফোনের নামে অযথা কিছু নতুন সমস্যা বয়ে আনবে। কৃষকেরা কৃষি কাজ না করে বাজে কাজে সময় নষ্ট করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬