কৃতজ্ঞ ‘সামু ’ এবং ব্লগার ভাইদের কাছে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কৃতজ্ঞ ‘সামু ’ এবং ব্লগার ভাইদের কাছে এত আন্তরিক পরামর্শের জন্য। ব¬গে আমি একেবারেই নবাগত। আমার রূপসী বাংলার ব্লগার বন্ধুরা, কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার নদী মাঠ জোছনা শিশির ভালোবেসে হৃদয়ের গহীনে যে শব্দমালা গেঁথেছেন , তার উষ্ণতা থেকে আমিও বিচ্ছিন্ন ছিলাম না কখনোই। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম ‘দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে।’ কিংবা ‘নরম ধানের গন্ধ-কলমির ঘ্রাণ , হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা সরপুঁটিদের মৃদু ঘ্রাণ...’-এর মতো দু-চারটি অমর উদ্ধৃতি রচনা করে এ জীবনকে স্বার্থক করতে। অথচ শেষ পর্যন্ত আমার দ্বারা হলো না কোনো কিছুই। হবেও না। জানি আমি। কারণ আমার কোনো প্রতিভা নেই , ছিলোও না কোনোকালে। নিশ্চিত জানি। অজস্র ব্যর্থতা দিয়ে ভরিয়েছি আমি আমার এ জীবন।।
প্রায় ১০০০ কবিতা লিখলেও পুষ্ট কোনো প্রকাশনায় কিংবা ও কোনো কাব্য সংকলনে প্রকাশিত হয়নি সেসব । বেশকিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধও রয়েছে ,পোস্ট দেবো হয়তো কখনো। কোনো এক দুর্ঘটনায় ১২ বছরের লেখা হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়েছিলাম। অনেক উপন্যাস এবং ছোটগল্প উধাও, যার একটিও প্রকাশ করতে পারিনি।
‘গোমতি নদীর এপার ওপার’-উপন্যাসটি লিখতে তিন বছর লাইব্রেরীওয়ার্ক করেছিলাম। হারিয়েছি। জীবন কেটেছে চরম দারিদ্র্যে বরাবরই। খুব বেশি আশাবাদী মানুষ থেকে ক্রমাগত হয়ে যাই একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ। বারবার চাকুরি ছেড়ে বেকার থেকে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। গত ১৮ বছরে আমি প্রায় ৮ বার পত্রিকার চাকুরি ছেড়ে দিয়েছি। গত ডিসেম্বরে আমি প্রথম ‘সামু’-তে আসি। তারপর কিছুদিন ছিলাম , আবার আউট। আমার বিশ্বাস ‘সামু’-আমার জীবনে এক নতুন বাঁক তৈরি করবে। শ্যামল বাংলার অসাধারণ ব্লগার বন্ধুরা আমার , এ মাসেই আমি একটি চাকুরি নিলাম আবার। ৬ জেলাব্যাপী প্রকাশিত একটি নতুন দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে। কম্পোজ শিখছি আবার। যেটুকু কম্পোজ করতে পারছি, তা-ই ‘সামু’-তে পোস্ট করে দিচ্ছি। সুন্দর সুন্দর মতামত পাচ্ছি আপনাদের। মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। বিলুপ্তপ্রায় এক লোক আমি , আশার সন্ধান পেলাম আপনাদের কাছ থেকে।
ধন্যবাদ।
আমি ‘সামু’-তে এসে খুঁজে পেলাম আত্মপরিচয়ের শিকড়। অর্থাভাবে গ্রন্থ কিংবা লিটলম্যাগ ছাপাতে পারিনি।‘সামু’-তে লেখা প্রকাশ করতে পারছি, এটা যে আমার জন্মমাটির প্রতি ভালোবাসার কতো বড় অমর সঙ্গীত , বুঝাতে পারবো না। ‘সামু’-আমার ‘মধুকূপী ঘাস, শঙ্খচিল-লক্ষীপেঁচা-সুদর্শন সুবিশাল বট-অশত্থ , চিনিচাঁপা কলা, হিজলের গাছ’ । তবে একদা আমিও ছিলাম একজন রুশ-সমর্থক , ক্রেমলিনের সমাজতান্ত্রিক ইতিহাস আমিও পড়েছিলাম। বিপ¬বী নেতা হতে আমিও চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে ‘বনের হিজল গাছ ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের পাশে’ এই আমাকে। তারপর ‘চারিদিকে চেয়ে দেখি পল¬বের স্তূপ , জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ’। তা-ই দেখে আমার এ হৃদয়ের গহীনে মৃত সব লতাগুল্মও প্রাণ পেয়ে যায়। কিন্তু আমি বাদ হয়ে যাই এই সমাজের অনেকের চোখে। অর্থপাগল হইনি বলে তাদের চোখে আমি এক পরিত্যক্ত মানুষ। তারপরও আনন্দিত যে এখন ‘সামু’-তে আমার লেখা প্রকাশ করতে পারছি। এটা যে আমার জন্মমাটির প্রতি ভালোবাসার কতো বড় অমর সঙ্গীত , বুঝাতে পারবো না। ‘সামু’-আমার ‘মধুকূপী ঘাস, শঙ্খচিল-লক্ষীপেঁচা-সুদর্শন সুবিশাল বট-অশত্থ , চিনিচাঁপা , হিজলের গাছ’ ।
১২টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন