somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি হাদীস প্রসংগে-১

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি পোস্ট পড়লাম ,সেখানে মন্তব্যর স্হানে দেখলাম ইসলামে ব্যাভিচারের শাস্তি নিয়ে আলোচনা প্রসংগে একজন প্রশ্ন করেছে যে , পবিত্র কোরআনে ১০০ দোররা বা বেত্রাঘাত এর কথা বলা হয়েছে ,কিন্ত হাদীসে এসেছে যে যেনা বা ব্যভিচারের শাস্তি পাথড় নিক্ষেপে হত্যা করা ।অতএব এ প্রসংগে কেউ কেউ মন্তব্য করেছে এটা হাদীসের ভুল ব্যাখার মাধ্যমে আইনের অপপ্রয়োগ।
বিষয়টি নিয়ে যদিও সেখানে আলোচনা করা ভাল হত ,কিন্ত বিষয়টি সেই পোস্টের সাথে সম্পর্ক না থাকায় আলাদা ভাবে এখানে আলোচনা করলাম।
বিষয়টি এই পোস্টের সাথে সম্পর্ক থাকায় এটি পড়ে দেখতে পারেন পটভূমিকা হিসেবে।
বিষয়টির শুরুতে আমাদের জানা উচিত অপরাধ এর প্রকৃতি সম্পর্কে । কারন অপরাধের এর প্রকৃতি এবং গুরুত্বের উপর নির্ভর করে অপরাধের শাস্তির মাত্রা ।
অপরাধ মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে, সাধারন অপরাধ এবং বিশেষ ধরনের গুরুতর অপরাধ।
সাধারন অপরাধ মূলত ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে যেমন দবির যদি ব্যক্তিগত আক্রোশে সবিরকে হত্যা করে বা অপমান করে বা ক্ষতি করে সেটা শুধুমাত্র তাদের দুজনের মধ্য সীমাবদ্ধ থাকে এই অপরাধ প্রত্যক্ষভাবে সমাজকে কোন ক্ষতি করেনা বা করলেও খুবই নগন্য সেটা। কিন্ত দবির আর সবির যদি মিলিতভাবে সমাজে শান্তি নষ্ট করার জন্য কোন জনসমাগমে বোমা পেতে মানুষ খুন করে,অথবা এমন কিছুর সাথে জড়িত থাকে যা দ্বারা সমাজে আতংক ছড়ায় বা সমাজ কলুষিত হয়। সেক্ষেত্রে অপরাধের ক্ষতিকারক দিক টি শুধু দবির আর সবির এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা সেটা সমাজকে আক্রান্ত করে ব্যাপকভাবে। অতএব অপরাধ একইধরনের হলেও তার ক্ষতিকারক মাত্রা ও প্রয়োগের উপর নির্ভর করে অপরাধের দন্ড।
ব্যক্তিগত আক্রোশে শত্রুকে হত্যা করা আর বোমা পেতে জনসমাগমে অবাল, বৃদ্ধ ,বনিতা সবাইকে হত্যা করা। যদিও দুই ক্ষেত্রেই প্রাণহানির বিষয়টি জড়িত,কিন্ত পার্থক্য পরিষ্কার।একটি শুধু ব্যক্তিকে অন্যটি সম্পুর্ন সমাজকে আক্রান্ত করছে।ইসলামী আইনের পরিভাষায় এই ধরনের যে অপরাধ সমাজ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত হ্য় তাকে Hiraabah or fasaad fi al-ardhবলে

Hiraba means killing people, robbing their money or raping women by an armed group of people.

if a crime is committed against the community rather than an individual or if the crime is of the nature of religious persecution or if the motive of the crime is to spread a wave of terror through the whole community or if the crime is committed against the state, the Qur'an calls it "Fasaad fi al-ardh"

The punishment for Hiraabah or fasaad fi al-ardh mentioned in the Qur’an. Allah says: The only reward of those who make war upon Allah and His Messenger and strive after corruption in the land will be that they will be killed or crucified, or have their hands and feet on alternate sides cut off, or will be expelled out of the land. Such will be their degradation in the world, and in the Hereafter theirs will be an awful doom(Al-Ma’idah: 33).
পবিত্র কোরআনের সুরা আল মায়েদাহ এর ৩৩ নং আয়াতে ইরশাদ হয়
"যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। "

এবার আসা যাক মূল প্রতিপাদ্য বিষয়টিতে।ইসলামী শরিয়া আইনেতে দেখা যায়, যেনা বা ব্যাভিচারের শাস্তি পাথড় নিক্ষেপে হত্যা করার বিধান আছে । অথচ কোরআনে কোথাও এই পাথড় নিক্ষেপে হত্যা করার কোন কথা উল্লেখ নেই বরং প্রকাশ্যে ১০০বার বেত্রাঘাত এর কথা বলা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনের সুরা আন নূর ০২ নং আয়াতে ইরশাদ হয়
"ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। "


কিন্ত সহীহ হাদীসে যেনা বা ব্যাভিচারের কারনে পাথড় নিক্ষেপে হত্যা করার ঘটনার উল্লেখ আছে। এবং সেখানেই বিতর্কের সূচনা ।প্রশ্নর উদ্রেক হতে পারে এইভেবে যে হাদীসটি কি তাহলে ভুল না এর আইনগত প্রয়োগটি ভুল।

এক্ষেত্রে বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ) কতৃর্ক বর্ণিত বুখারী হাদীসে (০৮২:৮০৬ নং ) বলা আছে।
এক ব্যক্তি একদিন মসজিদে অবস্হানরত রাসুল (সাঃ) এর নিকটে উপস্হিত হয়ে বললো " হে আল্লাহর নবী আমি যিনা করেছি" কিন্ত নবী তার দিক হতে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ।সেই ব্যক্তি আবারও সেই একই কথা চারবার পুনারাবৃত্তি করলো এবং তার অপরাধের স্বাক্ষী পর্যন্ত রাসুল (সাঃ) এর নিকটে উপস্হিত করিয়ে যখন একই কথা আবার বললো তখন নবী (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি পাগল?ব্যক্তিটি বললো "না"। নবী (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন ,তুমি কি বিবাহিত ? উত্তরে সে জানালো, সে বিবাহিত।
রাসুল (সাঃ)তাকে তখন পাথড় নিক্ষেপে হত্যা করার আদেশ দিলেন।জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন "আমি সেই দলের মধ্যে একজন ছিলাম আমরা তাকে মুসাল্লাতে পাথড় নিক্ষেপে হত্যা করতে উদ্যত হলাম সে আঘাত সইতে না পেরে পালাতে গেলে আমরা তাকে আল হাররা নামক স্হানে ধরে ফেললাম এবং সেখানে তাকে অবশেষে পাথড় নিক্ষেপে হত্যা করলাম"।


আরেকটি হাদীসে বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ) এবং জায়েদ বিন খালিদ (রাঃ)কতৃর্ক বর্ণিত (বুখারী হাদীসে ০৮২:৮১৫ নং ) বলা আছে।
একদিন আমরা রাসুলের (সাঃ)এর সাথে বসা আছি ,হঠাত্ত মজলিশের মাঝ থেকে এক লোক দাঁড়িয়ে নবী (সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো "আমি আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি আপনি আল্লাহর আইন অনুযায়ী আমাদের বিচার করে দেন"।তখন সেই লোকটির প্রতিপক্ষ যে ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা বেশী জ্ঞানী ছিল সে দাঁড়িয়ে নবী (সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো "আল্লাহর আইন অনুযায়ী আমাদের বিচার করেন এবং দয়া করে আমাকে কিছু বলার অনুমতি দেন"।নবী বললেন, বল।
তখন সেই ২য় লোকটি বললো "আমার ছেলে শ্রমিক হিসেবে এই লোকটির অধীনে কাজ করতো এবং সে এই ব্যক্তির বিবাহিত সত্রীর সাথে যেনা করে।আমার ছেলের অপরাধের ক্ষতিপুরণ স্বরুপ আমি তার মালিক অর্থাত্ত এই ব্যক্তিকে কে ১০০ টি ভেড়া এবং ১টি দাস দেই। এবং এবিষয়ে আমি পরবর্তীতে একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলে সে আমকে বলে এই অপরাধের দরুন আমার ছেলেকে ১০০টি বেত্রাঘাত করা এবং তাকে এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো উচিত।এবং সেই ব্যক্তির বিবাহিত স্ত্রীকে পাথর মেরে হত্যা করা উচিত।"
নবী (সাঃ) তখন বললেন " যার হাতে আমার প্রান সেই সত্বার কসম খেয়ে বলছি,আমি তোমার বিচার অবশ্যই আল্লাহর আইন অনুযায়ী করবো।তোমার ১০০ টি ভেড়া এবং ১টি দাস যা তুমি তোমার ছেলের অপরাধের ক্ষতিপুরণ স্বরুপ প্রদান করেছিলে তা তোমাকে ফেরত দেয়া হবে এবং তোমার ছেলের এই অপরাধের দরুন তাকে ১০০টি বেত্রাঘাত করা হবে এবং এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হবে। ওহে আনাস, তুমি এই ব্যক্তির স্ত্রীর নিকট যাও এবং জিজ্ঞেস করো তার অপরাধ সম্পর্কে যদি সে স্বীকার করে তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হউক"।
আনাস সেই ব্যক্তির স্ত্রীর নিকট গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলে সেই ব্যক্তির স্ত্রী তার অপরাধ স্বীকার করলে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়।
অতএব প্রথম ও দ্বিতীয় হাদীস দুটোই বর্নণা করেছেন বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ) এবং নেয়া হয়েছে সহীহ বুখারী থেকে , দুটি সূত্র সম্পর্কে প্রশ্নকরা এখানে অবান্তর।
হাদীস দুটো বিশ্লেষন করলে যে বিষয়গুলি নজরে আসে তা হল

১। দুটি হাদীসেই বিবাহিত ব্যক্তিদের যেনার অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করার আদেশ হয়েছে।

২। ২য় হাদীসে একই অপরাধ এর দুটো ভিন্ন শাস্তির আদেশ পরিলক্ষিত হয়। ছেলেটাকে যেখানে যেনার অপরাধের দরুন ১০০টি বেত্রাঘাত করা এবং এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো র আদেশ হয় সেখানে একই অপরাধের দরুন ছেলেটির মালিকের স্ত্রীকে পাথর মেরে হত্যা করার আদেশ দেয়া হয়।

একই অপরাধের এই শাস্তির ভিন্নতা মনের মধ্যে নানা প্রশ্নের জ্নম দেয় ।

১ম প্রশ্ন: হাদীস গুলো কি সঠিক না কোথাও কোন ভুল আছে?
২য় প্রশ্ন : এতে কি ন্যায় বিচার সঠিক ভাবে প্রয়োগ হল?
৩য় প্রশ্ন: বেত্রাঘাত নাহয় কোরআনে উল্লেখ আছে কিন্ত পাথর নিক্ষেপে হত্যা কি সঠিক ছিল?

১ম প্রশ্নর উত্তর
রাসুল (সাঃ) তার বিদায় হজ্বের ভাষনে বলেছিলেন যে "আজ আমি তোমাদের নিকট দুটি জিনিষ রেখে যাচ্ছি ,যতদিন এই দুইটি কে তোমরা ধরে রাখবে তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা,তার একটি কোরআন আর একটি আমার সুন্নাহ "। তার সুন্নাহ সম্পর্কে আমরা জানতে পারি সহীহ হাদীস থেকে আর সহীহ হাদীস মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইমাম বুখারী কৃত সংকলিত বুখারী হাদীস ।
রাসুল (সাঃ) ও তার সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম এক সাহাবী হচ্ছেন আবু হুরায়রা (রাঃ) যার বনর্নাকৃত বহু হাদীস আমরা সহীহ হাদীসগুলোতে দেখতে পাই। এবং তার বনর্নাকৃত হাদীস সম্পর্কে আমি কোন সন্দেহের অবকাশ দেখিনা।

পবিত্র কোরআনের সুরা আন নূর ০২ নং আয়াতে ইরশাদ হয়
"রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে। "
পবিত্র কোরআনের সুরা আল হাশর ০৭ নং আয়াতে ইরশাদ হয়
"রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।"
অতএব রাসুল (সাঃ) যেভাবে বিচার করেছেন তার বিরুদ্ধাচারন না করে বরং আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানের দ্বারা চেস্টা করা উচিত বোঝা উচিত এবং সন্ধান করা উচিত সত্যের।

২য় প্রশ্নর উত্তর :
বিষয়ের শুরুতে নিশ্চয় আপনাদের মনে আছে ,অপরাধের এর প্রকৃতি এবং গুরুত্বের উপর আমি আলোকপাত করেছিলাম। এবং বলেছিলাম অপরাধের এর প্রকৃতি এবং গুরুত্বের উপর নির্ভর করে অপরাধের শাস্তির মাত্রা । এক্ষেত্রে দেখা যায় যেনার অপরাধে বিবাহিত ব্যক্তির শাস্তি হচ্ছে পাথর মেরে হত্যা অন্যদিকে একই অপরাধে অবিবাহিত ব্যক্তির শাস্তি হচ্ছে ১০০ বেত্রাঘাত ও নির্বাসন।
বিষয় টি সম্পর্কে আমি যা বুঝি একজন বিবাহিত ব্যক্তির সাথে জড়িয়ে থাকে আরো এক বা একাধিক জীবন ,তার অপরাধের দরুন সে একা ক্ষতিগ্রস্হ হ্য়না । বিবাহিত ব্যক্তির যেহেতু বৈধ একটি যৌনজীবন আছে ,অতএব এধরনের অনৈতিক ,অসামাজিক কাজ তার থেকে কোন ক্রমেই কাম্য নয়।একজন বিবাহিত ব্যক্তি ,একজন অবিবাহিত ব্যক্তি অপেক্ষা সাধারণত বেশী বিচক্ষন ও বিবেকবান হয়ে থাকে।অতএব সে যখন স্বেচ্ছায় এই ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় ,তখন তার কৃত অপরাধের গুরুত্বটা একজন অবিবাহিতের তুলনায় অনেক বেশী।

একজন বিবাহিত ব্যক্তির যেনা বা ব্যভিচারের ফলে তার স্বামীর/স্ত্রীর জীবন ধ্বংস হয় সেই সাথে তার সন্তানদের ভবিষত্ত নষ্ট হ্য়।এইভাবে দেখা যায় সেই বিবাহিত ব্যক্তির অপরাধের দরুন সমাজে একাধিক ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্হ হয় এবং সমাজ কলুষিত এবং নৈতিকতার অধঃপতন হয়।

৩য় প্রশ্নর উত্তর :
তাই আমি মনে করি এক্ষেত্রে রাসুল (সাঃ) একজন বিবাহিত ব্যক্তির যেনা কে Hiraabah or fasaad fi al-ardh ন্যায় তুলনা করে ,সুরা আল মায়েদাহ বর্ণিত ৩৩ নং আয়াতের আলোকে সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ বিচার করে তার জন্য কঠোর শাস্তি হিসেবে পাথর নিক্ষেপে হত্যা র আদেশ দিয়েছেন।যা কোনক্রমেই সুরা আল মায়েদাহ বর্ণিত ৩৩ নং আয়াতে উল্লেখ্য হত্যা ,শুলে চড়িয়ে হত্যা অথবা বিপরীত দিক এর হাতপা কাটার চাইতে কম যন্ত্রনাদায়ক নয় । অতএব যেনার অপরাধে পাথর নিক্ষেপে (বিবাহিত ব্যক্তিকে) এই হত্যা করার আদেশ কোরআন বা সুন্নাহর বিপরীত নয় বরং সামন্জস্যপূর্ন এবং ন্যায়সংগত বলে আমি মনে করি।

এছাড়া ও ব্যভিচারী নারী বা পুরুষ যারা প্রাণে বেঁচে গেল তাদের জন্য কোন মুমিন কে বিয়ের জন্য হারাম করা হয়েছে

পবিত্র কোরআনের সুরা আন নূর ০৩ নং আয়াতে ইরশাদ হয়

"ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।"

এখানে একটি অতিরিক্ত বিষয় বলে রাখা ভাল যে ইসলাম মৃত্যুদন্ড দুটি ক্ষেত্রে বিধান রেখেছে
১ম কারন :যদি কোন ব্যক্তি বিনা কারনে বা শত্রুতা বশত কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে ।
২য় কারন : যদি কোন ব্যক্তি সমগ্র সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরুপ অর্থাত্ত ফাসাদ ফি আল আরদাহ্ প্রকৃতির অপরাধে জড়িত থাকে ।
১ম কারনটিতে যদি নিহত ব্যক্তির স্বজন হত্যাকরীকে ক্ষমা করে দেয় কোন কারণ বশত সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র ঐ হত্যাকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা গ্রহন করেনা । এক্ষেত্রে রাষ্ট্র নিকট স্বজনদের সির্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেয়।
সূত্র
১।http://www.understanding-islam.com/related/text.asp?type=question&qid=392
২।http://www.understanding-islam.com/related/text.asp?type=discussion&did=92
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৩৪
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০



সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×