ঘটনাটা ঘটেছিল এভাবেঃ একটি ছোট ছেলেকে গাড়ী সাফ করতে দেখে মোহাম্মদ আইয়ুব (পাকিস্তানের নাগরিক) তার কাছে জানতে চান সে পড়ালেখা করেছে কিনা। ছেলেটি জবাব দিয়েছিল, “আমরা গরীব মানুষ। পড়ালেখা আমাকে কে করাবে?” শুনে তাঁর মায়া হলো। তিনি বল্লেন, “আমি তোমাকে পড়াবো। পড়বে?” শুনেই ছেলেটা মহা খুশী! তার আগ্রহ দেখে মোহাম্মদ আইয়ুব সেই টোকাই ছেলেটাকে খাতা-পেন্সিল কিনে দিয়ে খোলা মাঠে বসিয়ে পড়ানো শুরু করলেন। এক দুই করে শিক্ষার্থী ‘টোকাই’র সংখ্যা হয়ে গেল, এক সপ্তাহের মধ্যেই, ৫০ জন। শুরু হয়ে গেল তাঁর, অফিস ছুটির পর, নিয়মিত একটি কাজ।
মোহাম্মদ আইয়ুব সাধারণ একজন অগ্নিনির্বাপক-কর্মী, সল্প আয় এবং সীমিত সাধ্য! তারপরও, দেখুন, দরাজ দীল এই লোকটি গত ৩০ বছর ধরে কীভাবে অতি-দরিদ্র ‘টোকাই’ ছেলে-মেয়েদের পড়া-লেখা শেখাচ্ছেন, খোলা ময়দানে মাটিতে বসে। এতে উপকৃত হয়েছে অনেকেই, অনেকেরই জীবন-যাপন উন্নত হয়েছে, মাশাআল্লাহ!
এধরণের সেচ্ছাসেবীর প্রয়োজন আমাদের সমাজেও, অধিক সংখ্যায়। এ ধরণের দেশপ্রেমিক উদারপ্রাণ নাগরিকের প্রয়োজন পৃথিবীর অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে দেশে। #সেচ্ছাসেবক #জনকল্যাণ #Charity #socialactivism
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০