হররোজ বিকালে অভিসার হবে, এ চুক্তিতে
প্রেম দানা বাঁধে; যদিও অনাদিকাল পরেই রজনীগন্ধার
ডাকা হরতালে সেই শপথ উবে গিয়েছিল।
হরমেশাই আমি দেখি আবর্জনায় খাদ্য কুড়ানো রনবকে,
নামটা বাহারী বলতে বৈকি; এপথে হাঁটাচলায় কেমন লাগে,
তাই আমার দেরী হয়।
নিলীকা, ক্ষমা কর।
বিশ্বায়নের অস্থিরতায় আমার বেড়ে ওঠা ধাত্রীর কোলে,
সেই নারী আজ পঙ্গু; নিলীকা, এ দু'খানি পা
অবাধ্যতার চূড়ান্ত তাই।
কেবলি আমার দেরী হয়।
নিলীকা, ক্ষমা কর।
নিতান্ত কৌতুকবশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে তোমার সাথে
অভিসার হয়নি বলে তুমি পুড়িয়ে দিয়েছ আমার অনেকখানি,
সেই দাগ এখনো সকরুণ বকের মত বুকে বিদ্যমান;
আমি গত শীতে থলেবন্দী উত্তাপ নিয়ে রাত্রি পার
করতে দেখেছি এক বৃদ্ধকে!
আমি থমকে গিয়েছিলাম খানিক।
নিলীকা, ক্ষমা কর।
মাকাল ফুলের মধু চাইনে, জানি, সময়ের বিবর্তনে
আমাদের সৌরজগত এভাবেই চলবে।
তবুও, নিলীকা, ক্ষমা কর।
তোমার প্রেমের চেয়ে ঢের আর্কষণের অনেক ভালোবাসা
এখনো পৃথিবীতে বিরাজমান; আমায় ডাকছে।
নিলীকা, ক্ষমা কর লক্ষীটি।
এবার আমার ছুটি চাই খানিক।
*****
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০০