প্রতিনিয়ত স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় আমরা হাঁরিয়ে খুঁজি নিজেদের। কখনও স্বপ্ন কে চুরমার করে দেয় প্রিয় মানুষটি, স্বপ্ন পূরনের পথে বাঁধা হয় সমাজ, বাস্তবতা, ও পরিবার।
যে ছেলেটি মস্ত বড় বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছোটবেলা থেকে পড়ালেখায় মনোযোগী ছিলো। একাডেমিক ফলাফলও তাঁকে স্বপ্নের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলো। তখনই পরিবারের একমাএ উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবাকে হারিয়ে ছেলেটি দিশেহারা হয়ে যায়। পরিবার কে অর্থের সংকট থেকে বাঁচাতে পড়াশুনার ইতি টেনে লালিত স্বপ্ন কে মৃত্যু দিয়েই সে এখন অখ্যাত কোম্পানির বিক্রয়কর্মী।
ডানপিটে মেয়েটি ছোটবেলা থেকে হিসাবে পটু। তার অনেক বড় স্বপ্ন ছিলো ব্যাংকার হবে। পড়ালেখার মাঝ পথে পরিবার হুট করে তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেয়। বিয়ের পর মেয়েটির শুধু স্বপ্ন শেষ হয়নি, সে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছে। তবে সে এখনও হিসাব রাখে। তবে হিসাব গুলো অন্য রকম। প্রতি রাতে হিসাব করে সকালে কত জন মানুষের রান্না করতে হবে, সে পরিমান চাল, ডাল, তৈল, পিয়াজ ও তরকারী আছে কিনা!! একান্নবর্তী পরিবার সেই যে বড় রাধুনী।
আমাদের চারপাশে এমন স্বপ্ন ভঙ্গের মানুষদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
পদার্থ বিজ্ঞানে পড়া ছেলেটি জীবিকার তাগিদে হচ্ছে এনজিও কর্মী, বানিজ্যে পড়া ছেলেটি চাকরি করছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে, আটর্সে পড়া মেয়েটিও হিসাবরক্ষক হয়ে গেছে কোন এক প্রাইভেট কোম্পানির।
এভাবে লালিত স্বপ্ন গুলো খুন হচ্ছে, কিন্ত মনের ভিতরটা স্বপ্ন ছুঁতে না পারার বেদনায় নীল হয়, শুধু মাঝে রাতে ঘুমহীন চোখে জানালা দিয়ে আসা পূনিমার আলোয় স্পষ্ট হওয়া চোঁখ দুটির টলটলে পানি বলে দেয় এ জীবনের পথচলা আমার না, পথ গুলো বড্ড এলোমেলো ও স্বপ্নের বিপরীত।