পৃথিবীর সব থেকে ভয়াবহ অপরাধ, ঘৃনিত কিংবা লজ্জাজনক ঘটনা গুলো ঘটে চার দেয়ালের ভিতর এবং এগুলো ঘটায় পরিবারের কেউ, অতি আপন জন ও বিশ্বাসী মানুষ গুলো।
পরিবারের চাওয়া কে প্রাধন্য দিতে কিংবা পিতা মাতার মুখের দিকে চেয়ে অজস্র মানুষ নিজের ভালোবাসার মানুষ কে চোখের জলে বিদায় দিয়ে অপছন্দের কাউ কে, ভুল ও খারাপ প্রকৃতির মানুষ কে জীবনসঙ্গী করে সারাটা জীবন মনের ভিতর কষ্টের আগুনে দগ্ধ হয়েছে।
হাসিখুশি মেয়েটি যে কেবল বয়ঃসন্ধিকালে প্রবেশ করেছে। সেই মেয়েটি হয়তো কোন সন্ধ্যাবেলায় চার দেয়ালের ভিতরই পরিবারের বিশ্বস্ত বাবার বন্ধু কিংবা নিজ স্বজনদের ভিতর কেউ ভয়ভীতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেছে। এই মানুষগুলো এতোটা বিশ্বস্ত থাকে তাদের এই ঘৃনিত অপরাধ কাউ কে বলা যায় না। মেয়েটিকেই সারাটা জীবন গ্লানি ও মানসিক যন্ত্রনার ভিতর যেতে হয়।
যে সন্তান কে আগলে রেখেছিলেন যৌবনের সবটুকু শ্রম দিয়ে প্রতিষ্টিত করেছে সেই আদরের সন্তানটি বড় হয়ে ভুলে গেছে পিতামাতা কে, তার অবহেলায় উচ্ছিষ্টের মতো, অসহায়ত্ব নিয়ে কোন ভাবে বেঁচে আছে। নীরব কান্নায় শুধু দীর্ঘশ্বাস জমে হয়েছে।
এই ঘটনাগুলো চার দেয়ালের ভিতর বিশ্বাসী মানুষ গুলো ঘটায় বলে কাউ কে বলা যায় না, মেনে নেওয়া যায় না।
নীরবে শুধু পুড়ে যায় ভিতরটা, শূন্য হয়ে যায় মনের ভিতর অনুভূতি। বেঁচে থাকা হয়ে উঠে মূল্যহীন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬