বাসের অযোগ্য (!) ঢাকা ছেড়ে কয়েকদিনের জন্য ছুটিতে গিয়েছিলাম রাজশাহীর প্রত্যন্ত এলাকায়। মনে হলো কয়েকদিনের জন্য হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। এই যানজট, জলজট, আর আকাশচুম্বি অট্টালিকার ভিড়ে নিঃশ্বাস নিতেও ভুলে গিয়েছিলাম। প্রথম ২ দিন ভালোই লাগলো। আকাশ নদী, প্রকৃতির বাতাস, নির্ভেজাল খাবার, আহারে! কিন্তু তারপর? ৩ দিনের সময়েই হাঁপিয়ে উঠলাম। মনে হলো নাহ! এত সুখ মন মানছে না। ফিরে যাবার জন্য উতলা হয়ে উঠলাম। হাতে ছুটি থাকতেও ফেরার পথ ধরলাম। গিয়েছিলাম ট্রেনে। জীবন বাজি রেখে বহু কষ্টার্জিত টিকিট হাতে পেয়েও শঙ্কা ছিলো-সিট পাবো তো। শত শত মানবকুলের চাপে পিষ্ট হয়ে সিট ঠিকই পেয়েছিলাম। যাবার আনন্দ পুরোটাই ভোগ করেছিলাম। ফিরতি পথেও সেই এক যন্ত্রণা। এবার বাসে। তারপরেও আমার প্রাণের শহর ঢাকায় ফেরার আনন্দে সব কষ্ট ভুলে গেলাম।
চিরকুটের ভাষায় বলতে হয়-
নিয়নের রাস্তায় স্বপ্নের ভোর হয়
মিছিলের নগরে অমৃত আশ্রয়
অলি থেকে গলিতে
গলি ছেড়ে রাজপথ
শহুরে চৌকাঠ বিবাগী জনমত
এই শহর, যাদুর শহর
প্রাণের শহর ঢাকারে
এই শহর, যাদুর শহর
প্রাণের শহর আহারে'
আসলে আমরা এক সুখ বেশিদিন ভোগ করতে পারি না। ক্রমাগতই ধাবিত হই আরেকটি সুখের আশায়। সেই সুখ যদি হয় যন্ত্রণার-সেটা জেনেও! মানজমিনের এটাই মনে হয় এক অপার রহস্য!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮