somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে কাজ করা দেশী বিদেশী এন.জি.ও. {শুনুন!} (২)

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রীয় সহযাত্রী,

আজ আপনারা অনেক অভিজ্ঞ। আপনারা আপনাদের সর্বোচ্চ কল্যানকর মেধা দিয়ে এগিয়ে যাবেন।

আপনাদের বুঝতে হবে। গাছ লাগানো শুধু দ্বায়িত্বই নয়। গাছ লাগানো একটি সামাজিক মৌলিক অধীকার। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের গাছ লাগানোর অধীকার আছে। আমার মতো যারা ভাড়া বাসায় থাকে তাঁদের গাছ লাগাবার মতো মৌলিক অধীকার টুকুও নেই। প্রয়োজনে আমরা কমিউনিটি বাগান তৈরি করে নেবো। যেখানে মানুষ গাছ লাগানোর সুযোগ পাবে। প্রতিটা মানুষ সেই গাছের উপর মালিকানার আনন্দ স্বরূপ নিজ নেমপ্লেট স্থাপন করতে পারবে।

বন্ধু! আমাদের এই বংলাদেশ কে আমরা সর্বোচ্চ ট্রেডিংয়ে নিয়ে যাবো। আমাদের প্রডাক্টগুলোকে আমরা কি করে যেনো সব দেশের সব মানুষের হাতে নিয়ে যেতে পারছি না।

আপনারা ক্ষুদ্র ঋণ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে গিয়ে, নিজেদের চিন্তাকে ক্ষুদ্র করে রাখতে চাইতেন। আসলে কিন্তু তাই না। আপনি-আমি-সরকার-মিডিয়া একসাথে কাজ করতে পারলে আমাদের মেধা ও মনন দিয়ে সব কিছুই জয় করতে পারি।

এই বাংলাদেশ এর যে পরিমান জমি অকাজে পড়ে রয়েছে, তা সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

আপনারা অবশ্যই মনে রেখেছেন যে, বাংলাদেশ এর প্রধান বিজনেস ও প্রধান সাফল্য নিয়ে আসবে। পৃথিবীর মানুষের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত প্রোডাক্ট উৎপাদন ও সঠিক ভাবে রপ্তানি করা এবং এর ধারাবাহিকতা ও মানু অক্ষুন্ন রাখা। বাংলাদেশ কেনো কোনো দেশই শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দিয়ে উন্নতির সর্বউচ্চতায় যেতে পারে না। আমরা যদি পৃথিবীর সমস্ত দেশে কুটির শিল্প নিয়ে একসাথে প্রোডাক্ট তৈরি করে, যথযথ ভাবে পাবলিক ডিমান্ড তৈরী করতে পারতাম – তাহলে সেটা বিজনেস হতো। আমাদের সব টাইপের ইন্ডাস্ট্রি থাকতে হবে। আমাদের চিন্তাগুলোকে অনেক বেশি ডায়মনসেন দিয়ে- ফলদায়ক ডিসিসন পেশ করতে হবে। এবং এরপর সাথে সাথে এক্সিকিশন করতে হবে।

প্রিয় এন.জি.ও.বাসী,
আজ আপনারা একটু সহায়তা করলেই, আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ ভৈয্য/খাবার তেলে পুরোপরি সয়ংসম্পন্ন হবে। আমাদের দেশে সোয়াবিন চাষ করা যায়। আবার পামগাছও পুর্ন জীবন নিয়ে বাঁচতে পারে। সমস্ত এন.জি.ও. একটি ক্ষুদ্র বলয়ের মধ্য থেকেও পুরো পৃথিবীকে পাল্টে দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সব এন.জি.ও কে কমন কিছু কাজ/উৎপাদনের দিকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের দেশে অনেক অনেক মাটি হাঁ করে তাকিয়ে আছে। আপনারাই সেই অবস্থা থেকে আমাদের বাংলাদেশকে উন্নয়ন করে দেখাতে পারেন।

বন্ধু! আমাদের গবাধি পশু পাখি বাড়াতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আমাদের এখনও ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া থেকে শুকনো গুরো দুধ আমদানি করতে হয়। আমাদের দেশ মমতাময়ী নিরিহ অহিংস গরু-ছাগলের দেশ। আমরা কেনো আমাদের পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি করবো না? আপনারা আমাদের সহায়তা করুন। আমাদের বাংলাদেশ শুয়ার চাষের উপযোগী। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই শুয়ার খায় না। আমাদের ৯৯% রপ্তানি মুখি করে শুয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। যা আমরা সিংগাপুর, চায়না, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান সহ শত শত দেশে রপ্তানি করতে পারি। আমার দেশে দুধের ঘাটতি দেশের অভ্যন্তরিন সোর্স থেকেই পুরণ করতে হবে। এসব দ্রব্যের কোনো প্রকার আমদানি চলবে না।

আপনারা নিজেদের স্বাধীনতা উপভোগ করে কাজ চালিয়ে যাবেন। আমাদের সবকিছুই আছে। আজ বড় বড় এন.জি.ও ম্যানেজমেন্টের মধ্যে দুর্ণীতি ছড়িয়ে পরেছে। এটা ম্যানেজমেন্টাল গ্যাপ।

চলবে...

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×