somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুন! তুমি কেনো আমার লেখা পড়বে না?

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেনো উৎসাহ দিতে আমাকে? কেনো চাইতে তোমার আসিফ বিশ্ববিখ্যাত হবে? কেনো বলতে তোমার কেউ বদনাম করলে আমার কষ্ট হয়? কেনো চাইতে তোমার আসিফ অর্থে নয় মেধায় বিশ্ববিখ্যাত হবে? কেনো চাইতে দু’টো মন একসাথে থাকবে? কেনো তুমি আমার জন্য তোমার মায়ের মার খেতে? কেনো তুমি তোমার বাসায় ঢুকে সাহসের সাথে তোমার মাকে বলেছিলে, “আমি ওর সাথে যাবো না তো কার সাথে যাবো?” আমি সিগারেট খাই বলে কেনো আমাকে ম্যাচলাইট গিফট করতে চেয়েছিলে? তোমার প্রিয় রং সাদা আর আমার কালো, এই সাদাকালো মিলিয়ে আমাকে কেনো টি-শার্ট গিফট করেছিলে? আমার মায়ের জন্য তুমি কেনো তসবিহ্ গিফট করেছিলে? কেনো আমাকে তুমি মানুষের মতো মানুষ বানাতে চেয়েছিলে? কেনো তোমার মধ্যে কোনো অর্থের লোভ ছিলো না? কেনো এত মানুষ থাকতে তুমি আমার কাছে ছুটে আসতে? কেনো তুমি শিতের রাতে লেপ/কম্বল ছাড়া ঘুমিয়ে আমার কষ্টকে অনুভব করতে চেয়েছিলো? সাইনোসাইটিসে অসুস্থ থাকার পরও কেনো তুমি আমার সাথে হাসি মুখে কথা বলতে? কেনো রাত ১২টা পর্যন্ত জেগে থাকতে, মোবাইলে কথা বলার জন্য, যাতে টাকা কম কাটে? কেনো এতো এতো মনের ভাব এসএমএস এর মাধ্যমে আমার মনে ছুড়ে দিতে? আজকের মতো কোনো ২৯শে রমজান তুমি আমাকে নিয়ে কেনো রিকশায় ঘুরতে বেড়িয়েছিলে।

এই প্রশ্ন আমি আল্লাহ্ কেও করেছি। তিনি কোনো জবাব দিতে পারেন নি। তিনি বলেছেন তোর প্রেম কে তুই অর্জন করে নে! আমি তাই করছি।
ভয় নেই জান! আমি তোমার কাছে কোন উত্তর চাচ্ছি না। আমি শুধু তোমার প্রেমকে বুকে রেখে বেঁচে থাকার অবলম্বন খুঁজেছি। এই অস্থির পৃথিবীতে তুমি আমার ধ্রুব তারা। আমার চোখ শুধু তোমাকে দেখতে চায়। আমার কান শুধু তোমার কথা শুনতে চায়। আমার মুখ শুধু তোমার কিস চায় আর তোমার হাত থেকে খাবার খেতে চায়। আমার প্রতি অঙ্গ তোমার প্রতি অঙ্গকে কাছে পেতে চায়। এই পৃথিবীতে আমার প্রাণ তুমি। আমি জর হয়ে কেনো থাকবো? আমরা কি নিজেরা কষ্ট পাবার জন্য প্রেম করেছি? আমরা দুজন দুজনকে আপনের থেকেও বেশি আপন ভাবে জীবন কাঁটাতে চেয়েছিলাম। এই অসহ্য সমাজ আমাদেরকে বোঝে নি। সেই দোষ তুমি কিভাবে ভাগ্যকে দিবে?

খোদার কাছে যত ভাগ্য আছে। আমি তার সব টেনে নিয়ে আসবো। তারপর সেই ভাগ্য তোমার চরনে অঞ্জলী দেবো। আমি খোদার সব প্রেম টেনে নিয়ে আসবো, তবুও তোমার কিছু হতে দেবো না।

আমি তোমার দেয়া কলম দিয়েই লেখা শুরু করেছিলাম। সেই কলমের অমর্জাদা করবে এমন সাহসওয়ালা পৃথিবীতে কেউ নাই, কোনোদিন আসবেও না।

দেখো মুন! আজ আমি তোমার হৃদয়ের সুর হয়ে উঠে এসেছি। তোমার সব স্বপ্ন আমার এখন পূরণ করার পালা। তোমার থেকে কে আমায় বেশি ভালোবাসবে? তাঁরা কি তখন ছিলো?

মন ভালো না। সব স্মৃতি শুধু শুধু মনে পড়ে যায়। আর তোমার স্বপ্নে মন আনন্দ পায়। তোমার স্বপ্নই আমার কইলজ্যা। কেউ তোমার কিছু করতে পারবে না। এটা আমার ওয়াদা।

আমি তোমার হাত ধরে বিশ্বময় চরে বেড়াবো। তোমার কোলে মাথা রেখে প্রেমের গল্প শুনবো। আমি সব হারাতে রাজি আছি কিন্তু তোমাকে না। আমার এই খ্যাতির দরকার নাই। আমার দরকার তোমাকে। তোমার মুখে যদি একটু সত্যিকারের হাসি ফোঁটে , তার সামনে ঈদের চাঁদও মরিচিকা।

আজ আমি আমার দুহাত, দুপা বেধে, নমষ্কারের ভঙ্গিতে তোমার সামনে আসামির কাতারে দাঁড়ালাম। আল্লাহ্ র বিচার আমার দরকার নেই। তুমি আমার বিচার করবে।

তোমার প্রেমের জোড়েই আমি লিখি। ঐ লেখাই আমি। তোমাকে আমার সব লেখা পড়তে হবে। ওখানে কালো কালিতে আমার মন তোমাদের সামনে খুলে রেখেছি। তুমি পড়ার পর আমার বিচার করবে। তার আগে না। তুমি যে রায় দিবে, সেটাই আমি মেনে নেবো- যদি তা তোমার আমার প্রেমের জন্য অমর্জাদাজনক কিছু না হয়।

মুন! বিশ্বাস করো, কারও ইমোশন নিয়ে আমি কখনও খেলি না। তোমার ইমোশন আর আমার ইমোশন মিলে একটি প্রেম হয়েছিলো। আমি শুধু সেই প্রেম নামক গাছটিকে পরিচর্যা করেছিলাম। আজ সেই প্রেম এতো বড় হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপি খবর রটে গেছে।

আমি সারাজীবন শুধু পরাজিতই হয়েছি। আমার একমাত্র জিত ছিলো তোমাকে পাওয়া। শুধু এটুকু পেলেই আমার থেকে সুখি কেউ থাকতো না। আমি সেই সুখ সন্ধানী হয়ে আজো ঘুরে বেড়াই। চিরকাল এমনই থাকবো। কম প্রভাব আমার উপর আসে নি। সব প্রভাব বরফের মতো গলে যায়, তোমার উষ্ণ প্রেমের ছোঁয়ায়। সেই সাথে পৃথিবীর দেশ বিদেশের মানুষ মাতোয়ারা হয়ে স্থির হয়ে গেছে। আজ না জানলেও , সময় মতো জেনে যাবে। আমি তোমার সাথে কি লুকাবো বলো? নিজের কাছে নিজেকে লুকিয়ে রাখা যায়?

মুন! আমি আমার সবথেকে প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ফেলার জন্য এই ছোট্ট পৃথিবীতে আসি নি। আমি এসেছি আমার প্রেম দিয়ে বিশ্বজয় করতে।

আমার কথায় রাগ নিও না। ভুল হলে মাফ করে দিও। কাছে থাকলে না হয় কান মলে দিতে। এখন না হয় নিজের কান নিজেই মলে নিবে।

জানো জান! সেই নাক ঘষাঘষির স্মৃতিকে মনে হয় যেনো গতকালের ব্যপার। একদিন তোমার চোখের দিকে চোখ রেখে চেষ্টা করেছিলাম কে বেশিক্ষন অপলক অবস্থায় থাকতে পারে। আমি হেরে গিয়েছিলাম। আমি তোমার কাছে হারতেই চাই। আমি তোমার শাসন পেতে চাই। আমি একাই আমাকে যে পরিমান আই লাভ ইউ বলেছো তা নিয়েও তোমার জন্য অপেক্ষা নামের চেষ্টা করা যায়।

তোমার আমার প্রেম কোনো স্মৃতি নয়। তোমার প্রেম আমার কাছে জীবন চলার পথ। এই প্রেম ঐশ্যরিক ও চিরচিরন্তনপ্রেমকথা।

আর কিছু বলবো না। বুঝে নিও! আই লাভ ইউ!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×