somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংবাদপত্র ও প্রশাসন কে বলছি!

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের পপুলার সংবাদপত্র গুলোতে ক্লাসিফাইড এ্যাডের ছড়া ছড়ি। এই চিনন হোন, এই মোটা হউন, এই সেক্সি হোন, সন্তানের বাবা হোন, নাইকার সাথে নায়ক হোন, ডিফোর্স ধনী পাত্রির স্বামি হোন, ইনভেস্টার চাই, টিকা দিন, টিউটার দিচ্ছি/নিচ্ছি, কোম্পানির জিএম-এজিএম-এমডি হোন, সেক্সের মালিশ কিনুন, এ্যাড মনিটরিং করুন, টিভি/সিনেমার নায়ক হোন, কমমূল্যে ফ্লাট, সাংবাদিক নিয়োগ, সিকিউরিটি গার্ড ৮০বছর হলেও চলবে, মোবাইলের টাওয়ারে চাকুরী, এনজিও কর্মি, হমিওপ্যাথি ও ইউনানি চিকিৎসা ব্যবসার রিপ্রেজেন্টেটিভ, গাইড বই, শতকোটি টাকার লোন করিয়ে নিন, বিদেশে যাবার কলসানটেড, ইউ.এস.এ/কানাডার ভিসা প্রসেস ইত্যাদি কমন ছাড়াও বহু ধরনের প্রতারনা মুলক এ্যাড নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। যারা সচেতন তারা অবশ্যই জানেন এগুলো মানুষ ঠকানোর কৌশল মাত্র। খুব বেশি লোকে যে এগুলো করে তা কিন্ত আমি বলবো না। তবে এই ফাঁদে আমার দেশের সাধারন মানুষ ভিষন ভাবে প্রতারিত ও ব্লাকমেইলিং এর স্বীকার হচ্ছেন। নিউজপেপাররের মাধ্যমে প্রতারনা করা কোন আইনে জায়েজ আমাকে বলুন? আপনাদের কি বড় বড় কোম্পানি অনেক বেশি টাকা দিয়ে প্রতিদিন এ্যাড দিচ্ছেন না? তাহলে এই সব ছাইপাশ প্রকাশ করে জনগনের আস্থা নিয়ে খেলা করছেন।

ব্রিটিশ আমলে চালুকৃত নিয়ম মার্কসিট, রেজিস্টেশন কার্ড, মুল সার্টিফিকেট ইত্যাদি হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করে পত্রিকায় এ্যাড দিতে হবে। এ আইনটি আমি মানছি না। এখান থেকে ভেজালে ভরা এই সব জটিল মারপ্যাচ আর থাকতে পারবে না। আমরা এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে মার্কসিট ও সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারি। তাহলে একজনে যদি ১০০০০০কপি সার্টিফিকেটও প্রিন্ট করে তাতে অসুবিধা কোথায়? এই আইনগুলো আমাদের উপ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো। যাতে প্রশাসন ও পত্রিকা উভয়ই কিছু বাজে মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে।

সংবাদপত্রকে বলছি আপনারা কোনোভাবেই যাচাই বাচাই ছাড়া বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবেন না। আর পুলিশ, গোয়েন্দা সহ শশ্লিষ্ট প্রশাসন কে বলছি, আপনারা প্রতিটা এ্যাড নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করুন। একটু খেয়াল দিন দেখবেন দেশ থেকে ভুয়া জিনিস পালিয়ে গেছে। এতো ছোট ব্যাপারে ও সামান্য কটি টাকার জন্য সংবাদপত্র সাধারণ মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলে অন্য কোনো প্রতারক চক্রের হাতে তুলে দিবেন। আপনাদের কি বিবেক বিবেচনা বলতে কিছুই নাই?

যে দেশে সবার চোখের সামনে বসে নিয়মিত এতো বড় বড় আকাম ঘটে, সেই দেশে সার্বিক নিরাপত্তা কিভাবে ভালো বলে আমি সার্টিফাইড করতে পারি?

আপনাদের বুঝতে হবে একটি মিডিয়া একটি পারসোনালিটি। মিডিয়ার পারসোনালিটি নিয়ে কখনও আপোশ করতে হয় না।

এম্নিতেই এম.এল.এম. ও শেয়ার মার্কেটের ২নম্বরী আমাদের ভিষন রকম ভুগিয়েছে ও আজ অবাধি ভোগাচ্ছে। কে আপনাদের ২ নম্বরি করতে সাহোস দিচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী? প্রেসিডেন্ট? তথ্য মন্ত্রী? তাঁরাও তো সংবাদপত্র পড়ে। কই কোনোদিনও তো তারা এই নিয়ে মুখ খুললো না। খুলবে কেনো তাঁদের তো সবই আছে। তাঁরা তো স্বচ্ছ্বল! আমার দেশের গরিব দুঃখি মানুষের কষ্ট হলে, প্রতারিত হলে তাদের কি যায় আসে?

বন্ধু! এতো অনিয়মের মধ্যে আপনারা কেনো বেঁচে আছেন? পৃথিবীতে কি এসেছেন শুধু অনিয়ম, গ্যঞ্জাম, প্রতারনা, কুট কৌশল, কৃমিনালি করতে?

আমি এই ব্যাপারে নিজেই দৃষ্টি আকর্ষন করলাম। সাংবাদিক ভইয়েরা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রীও ভুয়া কিছু মিডিয়ায় দিতে বলে, তাহলেও আপনারা তা স্কিপ করে যাবেন। পত্রিকার ইনকাম বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পথ আছে। যা আগের কোনো লেখায় আপনাদের বলেছিলাম। আপনার সেখান থেকে সুক্ষ বিশ্লেষন করলে ভালো ফল পেয়ে যাবেন।

যাই হোক, আজ পহেলা আগস্ট। দেবতা মুজিব, শেখ রাসেল ও অন্যান্য শহীদদের কথা মনে পড়ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এই আগস্টে কি বলে সান্তনা দেবো আমি জানি না। কারণ আমি নিজেও সান্তনা খোঁজার চেষ্টা করলেও পাই না। রাসেলের মৃত্যু যেনো সমস্ত মানবজাতির বাচ্চাদের মৃত্যুর প্রতিক। স্বজন হারানোর জ্বালা আমরা বুঝি। ১৫ আগষ্ট আমাদের জাতিয় শোক দিবস। মাত্র ১৪দিন বাকি আছে। খালেদা জিয়াকে আমি পা ধরে অনুরোধ করবো ১৫আগষ্ট আপনি খুব বেশি উৎসব করে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করবেন না। আপনার জন্মদিনের অনুষ্ঠান যতোই আনন্দ করে করুন না কেনো, তা আমাদের মৃত্যু শহিদ পিতা দেবতা মুজিবকে হারানোর বেদনা কমিয়ে দেয় না বরং আপনার উপরে বিরক্তি প্রকাশ পায়। ২১শে ফেব্রয়ারির দিন যদি আপনার জন্মদিন হতো তাহলে কি ঐ দিন আপনি আপনার জন্মদিন করতে পারতেন? অবশ্যই না। শুনুর এসব পলিটিক্স আপনি জন্ম দেননি। এর জন্মদাতা কারা, আজ আমার সাথে যারা এতোদিন আছেন তাদের আর নতুন করে বলে দিতে হবে না।

আশাকরি বি.এন.পি. ও আওয়ামীলীগ আমার কথা শুনতে বাধ্য হবে। আমরা এমন ভাবে আসি যাতে কোনোভাবেই আমাদের ক্ষমতাকে আপনারা চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন। বা চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে ঘরকুনো হয়ে পড়েন। তা না হলে আসিফ+মুন আজও বেঁচে থাকে পারতেন না। আমরা অনেক কিছু বুঝেও না বোঝার মতো করে থাকি। ভাবি একদিন ওরা ঠিক হয়ে যাবে। কোথায় সেই বুঝ? দিনে দিনে আপনারা সবাই সবার প্রতি বৈরি হয়ে উঠেছেন?

নিজেদে বয়সের দিক একবার তাকিয়ে দেখুন। এখনও কি আপনাদের দুষ্ট বাচ্চাদের মতো দুষ্টোমি করার দিন আছে। কিংবা ভালো ঘরের কোনো বাচ্চা পাড়ার বস্তি থেকে গালি নিয়ে এসে ঘরে প্রাকটিস করছেন। আমার এমনই মনে হচ্ছে। কিংবা কোনো ডাস্টবিনে কতগুলো কুকুর ময়লা খাবার ভাগ বাটারা করে খাচ্ছেন ও ঘেউ ঘেউ করছেন। এর থেকে একটু দুরেই সুন্দর কোনো খাবার পরে আছে। সেখানে তারা যাচ্ছে না। কারন তাদের খাবার ছিড়ে খাওয়ার থেকে ঘেউ ঘেউ করাটা বেশি মূল্যবান। আশাকরি আপনারা মিলেমিশে থাকবেন। নইলে কবরে গিয়েও পলিটিক্স শুরু করে দিতে পারে। দেহহীন হবার পরে বুঝবেন পাপের সাজা কতো বেশি মারত্মক।

বন্ধু! আমার দেয়া প্রতিটা টিপস ও কথাকে আপনারা মিডিয়ায় দ্রুত নিয়ে আসুন। আমার বানীগুলো দ্রুত প্রচার করুন। আমারা খুব তাড়াতাড়ি বিশ্ব অর্থনিতি শক্তির প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে থাকার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। ও আমাদের টার্গেট আমরা পূরণ করবোই ইসশাআল্লাহ্।

এজন্যই আমি বার বার এসে আপনাদের তাগিদ দেই। অসুন্দর, অকল্যানকর ভাবনা, মন্দ ভাবনা, বাজে চিন্তা, মিথ্যা থেকে দুরে থাকুন। সত্যকে নিজ মনে আকড়ে ধরে শুধু সামনে এগিয়ে যাবেন। এই ওয়ার্ল্ড কিং আপনাদের পরিশ্রমের ফর বহুগুন বাড়িয়ে দিতে জানে।

আপনাদের মঙ্গল কামনা করছি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×