somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি চমৎকার দেখা গেল!!!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক দেশে এক হিট সিকার মানসিক রোগী ব্লগার ছিল। সে রাতারাতি হিট কামানোর জন্য নাস্তিকতার ভেক ধরল। প্রথম প্রথম যুক্তি টুক্তি দিত কিন্তু তাতে কেচাল খুব বেশি লাগলো না আর হিটও অস্বাভাবিক হইলো না।তার পর সে বুঝলো বাংলাদেশের ধর্মানুভুতি সম্পন্ন পাঠক বর্গের দুর্বল যায়গায় আঘাত না করলে কেচাল উত্তম রূপে লাগবে না। তাই সে এরপর যুক্তি বাদ বাদ দিয়া কেবল মাত্র সংখ্যা গরিষ্ঠ ধর্মের উপর নোংরা কদর্য ভাষায় আক্রমণ চালাইতে শুরু করল। অন্যান্য ধর্ম নিয়া তার কোনো সমস্যা নাই। সেই কেবল বিশেষ ঐ ধর্ম নিয়াই চুলকানি দেখাতে লাগিল। ফলে মুক্তচিন্তা,যুক্তি বাদি সব কিছুর গুষ্ঠি উদ্ধার করিয়া কেবল অভব্য ভাষায় স্যাটায়ার তৈরী করিতে লাগিল।অথচ ঠান্ডা মাথায় ভাবিলে বুঝা যায় এর ফলে ধর্মীয় কুসংস্কার বিদায় করার উদ্দেশ্য যে কেবল বরবাদই হইল না,মানুষ আরো বেশি সাম্প্রদায়িক বর্বরতার দিকে ধাবিত হইল।

যাই হোক,তার বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই ব্লগার দের আরেকটি গ্রুপ সোচ্চার ছিল।সে তাদের পাত্তাই দিত না,ততদিনে তার বেশ কিছু চেলা চুমুন্ডা জুটিয়া গিয়াছে,তার কিছু বলতে হয় না,চেলা চুমুন্ডারাই বিরুদ্ধ বাদীদের গালি দিয়া গুষ্ঠী উদ্ধার করিয়া দেয়।তবে মাঝে মাঝে যখন চিপায় পড়ে,কথা খুইঁজা পায় না তখন সে নগদে ব্লক মাইরা দিত।

তার নিজের ভিতর হিপোক্রেসির শেষ ছিল না। একদিকে সে ধর্মীয় রীতি নীতি নিয়া ঠাট্টা উপহাস করত,আবার ঈদের দিন পাঞ্জাবী পরিয়া ছবি আপ্লোডাইতো। সে নৈতিকতার বুলি আউরাইতো আবার মদের বোতল নিয়া পোজ দিত,মেয়েদের অপমান করার দরুন ছবির হাটে থাবরা খাইতো...এত কিছুর পরও তার 'আমি আমি' রোগ যাইতো না।মোটামুটি ফেচবুক চেলিব্রেটি হওয়ার পর সে তার সব স্ট্যাটাসেই আমি আমি করত...বিশুদ্ধ মুক্ত চিন্তার চর্চাকারীরা তারে নিয়া যারপনাই বিরক্ত ছিলেন।

নিজেকে খোদা হিসেবে দাবি করা এই আবাল নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বললেও পাকিস্তানের পতাকা কভার পিকচার হিসেবে দিয়া ব্যাপক বিপদে পইরা যায়,ধানাই পানাই কইরা পার পায় নাই...

অবশেষে সে একদিন অপিসের সামনে কোপ খাইল। তাবত ভার্চুয়াল জগতে হায় হায় উঠল তখন,যদিও এরকম কিছু হবে এটা যে কেউ বুঝার কথা। যতই বলুন লেখার জবাব লেখা দিয়ে দিতে হবে,এদেশে অসংখ্য মানুষ আছে যারা হয়তো ব্লগ পড়ে নাই কখনও কিন্তু অন্যের মুখে তার লিখার ফিরিস্তি শুনলেই দা নিয়া দৌড় দিবে।যাই হোক জানে মরে নাই সেই বার,সব সেক্যুলার একটিভিস্টদের সমর্থন পাইলেও ধর্মপ্রাণরা বড়ই আনন্দিত হইয়াছিল।

কিছুদিন পর যখন গণ জাগরণ মঞ্চ হইতে রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন শুরু হইল,সে আপনি মোড়ল ভাব নিয়া সামনে গিয়া বড় বড় বক্তব্য দেয়া শুরু করল। অনেকে এতে শংকা প্রকাশ করে যে এতে এর গ্রহণ যোগ্যতা হারাইতে পারে। হইলও তাই।রাজীব হত্যার পরে আন্দোলন বিরোধীরা এটাকে নাস্তিক দের মঞ্চ বলে ঢালাও ভাবে প্রচরণা শুরু করতে পারলো তার পেছনে ইনার দায় অনেকটাই।

সরকার তখন জাগ্রত জনতা কে ঠান্ডা করার জন্য ব্লগারদের গানম্যান দেয়ার কথা বলে,ইনিও ছিলেন লিস্টে।ফলে সরকারকে গণ হারে নাস্তিক সরকার বলা শুরু হয়। হঠাত সরকার উপলব্ধি করতে পারলো কি ভুল করতেসে ;তাই এবার তারা ব্লগারদের পিছে লাগলো।আলেম উলামাদের সরবরাহ করা লিস্টে সবার উপরের দিকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে তার নাম থাকলেও চুনাপুটি কয়েকটারে ধরা হইলো। সে তখন এমন ভাব করিতে লাগিলো,ডিবি পুলিশ তো তার ইয়ারের দোস্ত,ওদের কিছু না করতে সে বলিয়া দিবে। কারণ তাকে হত্যা চেষ্টার তদন্ত ডিবি পুলিশই করতেসে।

কিন্তু তার আনন্দ পরদিনই উবে গেল যখন তাকেও ধইরা নিয়া যাওয়া হইলো।কষ্টের ব্যাপার হইলো এক দুইজন ঘনিষ্ট চেলা বাদে নাস্তিক আস্তিক সর্ব বিশেষ এতে আনন্দিত।কয়েকজন সুপরিচিত ফেসবুকারের স্ট্যাটাসঃ

// খাসী যদি হয় মুক্ত চিন্তার অধিকারি...
তাইলে আমি আজ থিকা দাবী জানাই কুনু চুতামারানি "আসিফ নজ্রুল" "পিয়াস করিম" "মাহমুদুর রহমান" টাইপ লুকদের গালি দেওন বা সমালোচনা চুদাইতে পারবা না...অন্তত আমার ওয়ালে না...
কারন তারা নিজেরাও কাউরে মারে নাই বা মারার হুমকি দেয় নাই...//

//এই খাসী চুত্মারানিরে বুঙ্গা বুঙ্গা দেয়া জায়েজ আছে...
আমি সমর্থন দিলাম...
এই চুদির ভাইয়ের কারনেই আইজ অনেক ভালো ব্লগার লাঞ্ছনার শিকার...
এই খাসীটারে ছাড়া বাকি সবার মুক্তি দাবী করি//

পুরা ঘটনাটায় আমরা যাহা বুঝলাম,এই দুনিয়ায় কেউই কারো নয়,দরকার ফুরাইলে সবাই ই পাছায় লাথি মারবে।যেই সরকারই গানম্যান দিবে তারাই আবার ধইরা নিয়া মৃত্যুদন্ড দেয়ার জন্য আইন চেঞ্জ করবে।তো,সাবধান থাকা ভালো,কোনো কিছুই বাড়বাড়ি করা ঠিক না।
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×