somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বালিয়াটী জমিদার বাড়ী....ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের মিশেল

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বালিয়াটী একটি গ্রামের নাম, যে গ্রামের অবস্থান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায়।
পাঁচটি জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ বুকে নিয়ে যাচ্ছে বালিয়াটীর দিন। প্রকৃত নাম বালিয়াতি, ব্রিটিশদের আগমনের পর বালিয়াতি হয়ে যায় বালিয়াটী।বালিয়াটী একটি গ্রামের নাম, যে গ্রামের অবস্থান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায়।
পাঁচটি জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ বুকে নিয়ে যাচ্ছে বালিয়াটীর দিন। প্রকৃত নাম বালিয়াতি, ব্রিটিশদের আগমনের পর বালিয়াতি হয়ে যায় বালিয়াটী।

গাজীখালি নামের নদী বহমান ছিল তার ভয়ঙ্কর উত্তল রূপে বালিয়াটীর উত্তর পাশ ঘেষে… চলত স্টীমার, লঞ্চ, গয়নার নৌকা, আসত কুমীর। সেই গাজীখালির রূপ হারিয়ে গিয়েছে সাথে করে নিয়ে গিয়েছে বালিয়াটীর যৌবন। অবেলা ভর করেছে বালিয়াটীর উপর।

মূল ফটকের অতিক্রম করে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে পূর্ব বাড়ি। পাশাপাশি তিনটি বাড়ি স্বমহিমায় আজও দাঁড়িয়ে আছে যেগুলি দশ আনীর বড় তরফ, মাঝার তরফ ও নয়া তরফ নামে পরিচিত।
এছাড়াও আছে গোলা বাড়ী, পশ্চিম বাড়ি, উত্তর বাড়ি, মধ্য বাড়ি। এ বাড়িগুলি তাদের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
বালিয়াটীর জমিদাররা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন, বালিয়াটি ছাড়াও অনেক জায়গায় ছড়িয়ে আছে তাদের করে যাওয়া নিদর্শনগুলি।



একটি ঘটনা - জমিদার বাড়ির একটা ঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে জমিদারদের কিছু চিহ্ন, সেখানে দেখতে পাই একজনের তরুণের ছবি, নাম উপেন্দ্র কুমার। গাইড ছবির মানুষটির জীবনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দেন যা ছবির সামনে দাঁড়িয়ে শুনতে কষ্ট হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা পাই উল্লেখিত সুত্রের বইটিতে।
মেঝ তরফের জমিদার হরেন্দ্র কুমার জমিদারীর কাজে কলকাতা যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এমন সময় তাঁর পুত্র উপেন্দ্র কুমার তাঁর পিতা হরেন্দ্র কুমারকে প্রস্তাব করেন একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা করার জন্য, যা তিনি অনেকদিন ধরেই করে আসছিলেন। বাবা তা করতে অস্বীকার করেন এবং পুত্রকে প্রশ্ন করেন, সে কত টাকা রোজগার করে। এতে তীব্র অভিমানে দো’তালার একটা কক্ষে নিজের বুকে নিজেই গুলি বিদ্ধ হয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে স্থাপিত হয় ইশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি বালিয়াটি জমিদার বাড়ির অল্প সামনেই চোখে পড়বে।

শিক্ষাক্ষেত্রে সাটুরিয়া উপজেলায় এম,এফ পি স্কুল একটি মডেল, যেটি ১৯১৮ সালে “রাধাভল্লব ফ্রী প্রাইমারী স্কুল” নামে বালিয়াটীর জমিদারদের করে যাওয়া। গোলাবাড়ী এবং মধ্যবাড়ির যৌথভাবে ভারতের বৃন্দাবনে “গোপাল জিও মদির ও কুঞ্জ”। নারায়ন গঞ্জের “ লক্ষী নারায়ন জিও” নামে যে আখড়াটি আছে সেটা এই জমিদারদের অবদান।
গোলাবাড়িতে ফুলদোল পূর্ণিমায় পুষ্পরথের মেলা হত, সে চমৎকার মূল্যবান রথ গোলাবাড়ির দ্রৌপদ্রী রায় ভারতের বৃন্দাবন থেকে তৈরী করে এনেছিলেন।
প্সহচিম বাড়ির নিত্যানন্দ রায়ের দুই ছেলে বৃন্দাবন ও জগন্নাথ অনেক জমিদারী কিনে নতুন করে পূর্ব বঙ্গের জমিদার শ্রেনীভুক্ত হন। বৃন্দাবনের শারীরিক শক্তি সম্পর্কে অনেক কিংবদন্তী আছে। পঁচিশ- ত্রিশ জন বলিষ্ঠ শ্রমজীবি যে জিনিষ উত্তোলনে সমর্থ না হত বৃন্দাবন চন্দ্র তা একাই করে ফেলতেন। কিংবদন্তী আছে কোন এক নদীর তীরে তাঁর সঙ্গীরা নীলকুঠীর লোক জনের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে গেলে নীলকুঠির সাহেব নৌকা আটক করার জন্য দু’শতাধিক লোক পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বৃন্দাবন একাই একটি লাটির সাহায্যে তাদের তাড়িয়ে দেন। এতে সাহেব গুলি করতে গেলে কুটির মেম তা করতে সাহেবকে বাঁধা দিয়েছিলান।
এই বীরপুরুষ বৃন্দাবনের ভাই জগন্নাথ চন্দ্রের নামেই ঢাকার বিখ্যাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয় ১৮৮৪ সানে স্থাপন করেন জগন্নাথের সুযোগ্য পুত্র কিশোরীলাল। এর অবস্থান ছিল তৎকালীন চিত্তরঞ্জন এভিনিউতে। এছাড়া একটু পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যায় ১৮৬৮ সালে জগন্নাথ রায় চৌধুরী নিজ নামে জগন্নাথ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
ঢাকার সুপ্রসিদ্ধ ‘ডায়মন্ড জুবিলি থিয়েটার’ও কিশোরীলালের অবদান।

এই বালিয়াটিরই আরেক অবদান ১৯২৫ সনে স্থাপিত দাতব্য চিকিৎসালয় যা এখনো ‘বালিয়াটী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ নামে এলাকার জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
সমাজ সেবার সবক্ষেত্রেই আছে এই বালিয়াটীর জমিদারদের অবদান। তাঁরা দূর্ভিক্ষে, এবং নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সহায়তার হাত।




যেভাবে স্থাপিত হলো

নিম্নবিত্ত সাহা পরিবার থেকেই বালিয়াটী জমিদার বংশের উদ্ভব। মহেশরাম সাহা নামে জনৈক বৈশ্য বারেন্দ্র শ্রেণীর ছোট্ট এক কিশোর ভাগ্য অন্বেষণে বালিয়াটীতে আসে এবং জনৈক পান ব্যবসায়ীর বাড়িতে চাকরি নেয়। পরে মহেশরামের ছেলে গণেশ রাম লবণের ব্যবসায় উন্নতি করেন। গণেশ রামের চার ছেলের মধ্যে একজন হলো গোবিন্দরাম। তিনি বিয়ে করেন বালিয়াটীতে। তার ঘরে জন্ম নেয় চার ছেলে। যথাক্রমে আনন্দরাম, দধিরাম, পণ্ডিতরাম ও গোপালরাম। এই চার ভাইয়ের পৃথক ব্যবসা ছিল। ওই চার ভাই থেকেই বালিয়াটী গোলাবাড়ী, পূর্ববাড়ী, পশ্চিমবাড়ী, মধ্যবাড়ী ও উত্তরবাড়ী নামে পাঁচটি জমিদার বাড়ির সৃষ্টি হয়।


জমিদারবাড়ীর সিংহ দরজায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে প্রশস্ত আঙ্গিনা। একই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে চারটি বহুতল ভবন। এগুলোর পেছনে জমিদার অন্দরমহল এবং রয়েছে বিরাট পুকুর ৬ টি ঘাটসহ গোলাবাড়ীর চত্বরে দোল পূর্ণিমার ১২ দিন পর বারুণীর মেলা বসত। সেই মেলা এখন বসে বালিয়াটীর পুরনো বাজারে। এ বাড়ীর জমিদাররা ছিলেন ধর্মপ্রাণ। বাড়ীর মন্দিরে বিগ্রহের পূজা হতো কিন্তু ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওই বিগ্রহ এবং গোলাবাড়ী পাকিস্তানী সৈন্য এবং রাজাকাররা লুটপাট করে ।



দধিরাম পশ্চিমবাড়ীর জমিদারদের পূর্ব-পুরুষ। এই বাড়ীর জমিদাররা বাণিজ্যকেন্দ্র সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঝালকাঠী, নলছিটি প্রভৃতি স্থানে লবণ, সুপারী, চাল ইত্যাদি ব্যবসার মাধ্যমে অনেক অর্থের মালিক হন। এদের ঐশ্বর্য বেড়ে উঠলে তারা জমিদারী ও তালুকাদারী কিনতে শুরু করেন। এই বাড়ীর জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় বিখ্যাত জগন্নাথ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। প্রথমে এটি ছিল স্কুল। বর্তমানে এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কলেজে উন্নীত হওয়ার সময় স্কুল শাখা আলাদা হয়। সেটি এখন কে এল জুবিলী হাইস্কুল নামে স্বমহিমায় উজ্জ্বল।

পূর্ববাড়ীর প্রথম জমিদার পুরুষ রায়চাঁন। তিনি দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের সম্পত্তির দশ আনা অংশ এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তানদের দান করেন ছয় আনা অংশ। দশ আনির জমিদারবাড়িটিই বর্তমানে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এ বাড়িটি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর অধিগ্রহণ করে এবং এখনো এর সংস্কার কাজ চলছে। এ বাড়িটি বালিয়াটী প্রাসাদ নামে পরিচিত। এখানে পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত চারটি সুবৃহৎ অট্টালিকা বিদ্যমান। এগুলো বড় তরফ, মেজ তরফ, নয়া তরফ এবং ছোট তরফ নামে পরিচিত।

বালিয়াটীর জমিদারবাড়ী। মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী গ্রামে এই জমিদারবাড়ীর অবস্থান। ঐতিহ্য বুকে ধরে এখনো কালের সাক্ষী হিসেবে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। একটি নিম্নবিত্ত সাহা পরিবার থেকেই পরবর্তীতে বালিয়াটী জমিদার বংশের উদ্ভব। মহেশরাম সাহা নামে জনৈক বৈশ্য বারেন্দ্র শ্রেণীর ছোট্ট এক কিশোর ভাগ্য অন্বেষণে বালিয়াটীতে আসে এবং জনৈক পান ব্যবসায়ীর বাড়িতে চাকরি নেয়। পরে মহেশরামের ছেলে গণেশ রাম লবণের ব্যবসায় উন্নতি করেন। গণেশ রামের চার ছেলের মধ্যে একজন হলো গোবিন্দরাম। তিনি বিয়ে করেন বালিয়াটীতে। তার ঘরে জন্ম নেয় চার ছেলে। যথাক্রমে আনন্দরাম, দধিরাম, পণ্ডিতরাম ও গোপালরাম। এই চার ভাইয়ের পৃথক ব্যবসা ছিল। ওই চার ভাই থেকেই বালিয়াটী গোলাবাড়ী, পূর্ববাড়ী, পশ্চিমবাড়ী, মধ্যবাড়ী ও উত্তরবাড়ী নামে পাঁচটি জমিদার বাড়ির সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ১৭৯০ সালে ওই চার ভাইয়ের মাধ্যমেই বালিয়াটী জমিদার বাড়ীর গোড়া পত্তন হয়।

বালিয়াটীর জমিদার বাড়ীতে আছে দৃষ্টিনন্দন ইমারত, নির্মাণ কৌশল আর অলংকরণে অপূর্ব। বিশাল বিশাল ভবন জমিদার আমলে জমিদারদের বিত্ত বৈভবের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ঝড়-তুফান, বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে এখনো কালের সাক্ষী হিসেবে টিকে আছে। জমিদারবাড়ীর সিংহ দরজায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে প্রশস্ত আঙ্গিনা। একই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে চারটি বহুতল ভবন। এগুলোর পেছনে জমিদার অন্দরমহল এবং রয়েছে কয়েকটি পুকুর।

লবণের একটি বড় গোলা ছিল বলেই এ বাড়ির নাম গোলাবাড়ী। গোলাবাড়ীর চত্বরে দোল পূর্ণিমার ১২ দিন পর বারুণীর মেলা বসত। সেই মেলা এখন বসে বালিয়াটীর পুরনো বাজারে। এ বাড়ীর জমিদাররা ছিলেন ধর্মপ্রাণ। বাড়ীর মন্দিরে বিগ্রহের পূজা হতো। কিন্তু ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওই বিগ্রহ এবং গোলাবাড়ী পাকিস্তানী সৈন্য এবং রাজাকাররা লুটপাট করে। জমিদারবাড়ীর পশ্চিম অংশে অবস্থিত বলেই এ বাড়ীর নাম পশ্চিমবাড়ি। দধিরাম পশ্চিমবাড়ীর জমিদারদের পূর্ব-পুরুষ। এই বাড়ীর জমিদাররা বাণিজ্যকেন্দ্র সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঝালকাঠী, নলছিটি প্রভৃতি স্থানে লবণ, সুপারী, চাল ইত্যাদি ব্যবসার মাধ্যমে অনেক অর্থের মালিক হন। এদের ঐশ্বর্য বেড়ে উঠলে তারা জমিদারী ও তালুকাদারী কিনতে শুরু করেন। এই বাড়ীর জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় বিখ্যাত জগন্নাথ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। প্রথমে এটি ছিল স্কুল। বর্তমানে এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কলেজে উন্নীত হওয়ার সময় স্কুল শাখা আলাদা হয়। সেটি এখন কে এল জুবিলী হাইস্কুল নামে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। এছাড়া ওই জমিদাররা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং পাঠাগার নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।






বালিয়াটীর পূর্ব অংশে এ বাড়ীর অবস্থান বলেই এ বাড়িটির নাম পূর্ববাড়ী। এ বাড়ীর প্রথম জমিদার পুরুষ রায়চাঁন। তিনি দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের সম্পত্তির দশ আনা অংশ এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তানদের দান করেন ছয় আনা অংশ। দশ আনির জমিদারবাড়িটিই বর্তমানে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এ বাড়িটি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর অধিগ্রহণ করে এবং এখনো এর সংস্কার কাজ চলছে। এ বাড়িটি বালিয়াটী প্রাসাদ নামে পরিচিত। এখানে পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত চারটি সুবৃহৎ অট্টালিকা বিদ্যমান। এগুলো বড় তরফ, মেজ তরফ, নয়া তরফ এবং ছোট তরফ নামে পরিচিত। ছয় আনি জমিদারবাড়ির অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। ৫.৮৮ একর জমির ওপর বাড়ির মূল সৌধমালা। গোলাপ রাম হলেন এ বাড়ীর প্রাচীন পুরুষ। এ বাড়ীর এক তেজস্বিনী মহিলা জমিদারের নাম উজ্জলা রানী রায় চৌধুরানী। এ বাড়িটি স্থাপত্যকলার দিক দিয়ে বহু প্রাচীন। এই বাড়ীর অনেক স্থাপনাই এখন আর বর্তমান নেই।

পণ্ডিত রাম হচ্ছেন এ বাড়ীর আদিপুরুষ। এ জমিদারের এক প্রাণপুরুষ শাম্বিকা চয়নের মেয়ে কিরণ বালাকে বিয়ে করেছিলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের দানবীর শহীদ রনদাপ্রসাদ সাহা (আর পি সাহা)। তিনি বালিয়াটীতে হাসপাতাল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জমিদার অনুমতি দেননি বলে তিনি নিজের গ্রাম মির্জাপুরে তার মায়ের নামে কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানীরা আর পি সাহাকে ধরে নিয়ে যায়। তিনি আজও ফিরে আসেননি। জমিদারদের দ্বারা বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য কীর্তির মধ্যে রয়েছে ধামরাইয়ের রথ, ঢাকাস্থ কে এল জুবিলী হাইস্কুল, ঢাকাস্থ জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বালিয়াটী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যালয়, বালিয়াটী রামকৃষ্ণ মিশন, নহবত খানা, শ্রী শ্রী মাধব গৌড়ীর মঠ ঢাকা, নিতাই গৌড়ের আখড়া, ইত্যাদি।





যেভাবে যাবেন :

মিরপুর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে জনসেবা পরিবহন অথবা আরিচাগামী যে কোনো বাসে ধামরাই কালামপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে সরাসরি সাটুরিয়া উপজেলা। সেখান থেকে রিকশায় বালিয়াটী জমিদার বাড়ী জমিদার বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করলে অনুভব করা যায়, তখনকার জমিদাররা কি রকম শানসওকত, জাঁকজমকের সঙ্গে বসবাস করতেন। বিশাল অন্দরমহল, প্রশস্ত আঙ্গিনা, শান বাঁধানো পুকুর ঘাট আপনার চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। হয়তো হারিয়ে যাবেন আগের দিনগুলোতে।

ছবি ও তথ্য : সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×