কেনো মতিউর রহমান বীরশ্রেষ্ঠ হলেন কাহিনী পুরাটা না শুনলে গপ(ভুয়া) মনে হবে। মতিউর রহমান ছিলেন তৎকালিক পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এরজন যোদ্ধা পাইলট। এই বঙ্গে যখন পাকিস্তানিরা হামলা করছে বিষয় টা এক সেকেন্ড এর জন্যেও মেনে নেয়নি মতিউর রহমান। ভাবলেন বিমান চুরি করবেন আর তা কাজে লাগাবেন পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে।
একদিন সাহস করে চরে বসলেন যুদ্ধবিমানে আর পাশে থাকা সহ-পাইলটকে দুই চার ঘুষিতে করে দিলেন অজ্ঞান। বিমান নিয়ে উড়ান দিলেন এপার বাংলার উদ্দেশ্যে। রাডারে যেন ধরা না পরে তাই বাড়িঘর, অলিগলি দিয়ে খুব দক্ষতার সাথে বিমান চালালেন। তবে যেই বাংলাদেশে ঢুকে পরবেন অমনি সজাগ হয়ে যায় পাকিস্তানী সহ-পাইলট। এক পর্যায়ে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হলে বিমানটি ক্রাশ বা ধংশ হয়ে যায়, মারা যায় বাংলাদেশ এর প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পাওয়া বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান।
এ পর্যন্ত আমরা অনেকেই জানি,কথা হলো একটা পাকিস্তানী মেরে বীরশ্রেষ্ঠ কিভাবে হয়।আসেন একটু গভীরে যাই। এই গঠনার পর পরই পাকিস্তান বীমান বাহিনীতে কাজ করা সকল বাংলাদেশী বিমান চালকদের বিমান চালানো বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান। আর পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যেহেতু বাংলাদেশি চালক ছিলো বেশি তাই বিমান থাকা অবস্থাও চালকের অভাবে গোডাউনে অকার্য হয়ে পরে থাকে যুদ্ধ বিমানগুলো। হাতেগুনা ৭-৮ জন পাকিস্তানী বিমান চালক ভারতের বিশাল বিমান বাহিনীকে সামাল দিতে ব্যার্থ হলে তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় পাকিস্তান বিমান বাহিনী।
অবশেষে আত্ব-সমর্পন করে পাকিস্থান। জয় হয় এপার বাংলার,নাম হয় বাংলাদেশ। যুদ্ধ শেষে ভারতের সেনাবাহিনী মতিউর রহমান এর বাসায় আসলে টনক নরে বাংলাদেশ এর। কেনো এতো বাড়ি থাকতে মতিউর রহমান এর বাড়িতে ভারত এর সেনাবাহিনী। পরে দেখা যায় ইতিহাস। এক মতিউর এর সাহসী পদক্ষেপ ভেঙে ফেলে তৎকালীন পাকিস্তান এর শক্তিশালী বিমান বাহিনীকে। মতিউর রহমান যদি সেদিন এমন সাহস না দেখাতেন তবে নয় মাস কেন নয় বছরেও দেশ স্বাধীন হতো কিনা আল্লাহ জানে।
সেলুট জানাই মতিউর রহমানকে।
তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন মতিউর রহমান এর ভাতিজা,যিনি বর্তমানে ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরি করেন ভাগ্যক্রমে একই ব্যাংকে কাজ করে রহমত মামা যার কাছথেকে তথ্য সংগ্রহ করে পোস্ট দিলাম।