মহাভারত দেখছি:
অবশেষে আমিও যে কৃষ্ণের প্রেমে পড়ে গেলাম! উহু, যে প্রেমের কথা মনে করছেন এটা সেই প্রেম নয়। সেটা শ্রদ্ধা ও ভক্তিযুক্ত প্রেম। সত্যিই কৃষ্ণ ছিলেন প্রেমের অবতার, ভালবাসার অবতার। যাদের চোখ অন্ধ কিংবা বস্তুবাদিতায় পূর্ণ তারা সেখানে কামনা বাসনা দেখতে পেয়েছে। তাই শ্রী কৃষ্ণের আচরণে তাদের আপত্তি। কিন্তু তিনি সত্যিকারের প্রেম শিখিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষের সম্পর্ক করে দিয়েছেন। নবী রসুলদের মধ্যে আমি ঈসা (আ) কেও ঐ রূপে দেখেছি। উভয়েই মানুষকে ধর্মের অন্ধ অনুশাসন থেকে বের করে এনে মানুষকে সৃষ্টি কর্তার কাছাকাছি যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন। ধর্মান্ধ, শাস্ত্রকানা ও কঠোর অনুশাসনে বিশ্বাসী, স্রষ্টাকে শুধু ভয় পাওয়ার বার্তা প্রদানকারীদের হাত থেকে বের করে এনে তাকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন।
স্রষ্টাকে বাঘের মত পাওয়া নয়, পিতার মত শ্রদ্ধা ও সমীহ করাই তাদের মূল শিক্ষা। সেটা হলেই সম্ভব স্রষ্টার জন্য সব কিছু বিসর্জন দেওয়া। যাকে শুধু ভয়, তার জন্য কোন কিছু উতসর্গ করা হয় না। সেটা শুধু মাস্তানকে চাদা দেওয়ার মতই। মানুষ কি এটাই ধরে নিয়েছে যে ধর্মান্ধরা ভয় দেখিয়ে কিংবা পরকালীন সুখের বিনিময়ের আশ্বাস দিয়ে যা স্রষ্টার নামে আদায় করা হচ্ছে তা তিনি গ্রহণ করবেন? তিনি কি মানুষের দানের মুখাপেক্ষী? না, তিনি বে-নেয়ায। তিনি শুধু মানুষকে দানই করেন। গ্রহণ করেন না। তবে দানের মত মানসিকতা আছে কি না শুধু তাই পরখ করে দেখেন।