তোমাকে নিয়ে ভাবতে গেলেই, হয়ে ওঠি কবি
লিখে ফেলি কবিতা ......
তোমার যৌবনা শরীরের কল্পনায়, হয়ে যায় সঙ্গী
অবাধ্য মনের বেহায়াপনা!
আমি কতো খারাপ, তাই না!
আসলে কি দোষ শুধুই আমার?
তোমার যৌবনস্বর্গ শরীরের, কোন দোষ কি ছিল না!
চোখের সামনে যখন
তোমার যৌবনরসে পূর্ণ, কামুক শরীরের বিচরণ, তখন
ষাট বছরের বার্ধক্যও মাথাচাড়া দিয়ে,
করবে প্রেমের কথন!
আমি তো যৌবন বিলাসী এক কামাতুর যুবক।
জ্যোৎস্না রাতের আঁধো আলো-আঁধারে যখন
তোমার তাগড়া শরীরে
পড়েছিল এই অতৃপ্ত দৃু'টি চোখ, তখন
আমি রীতিমত কিংকর্তব্যবিমূঢ়! নির্বাক !
কত সহস্র বছরের জমে থাকা যৌবন
উম্মাদ- ব্যাকুল
বুকের ভেতর শূন্যতা, আগ্নেয়গিরির দহন!
এ অস্থিরতার হবে না বুঝি অবসান
না পেলে তোমার যৌবনরস।
চন্দ্রোজ্জল মৃদু ঠাণ্ডাগরম রাতটি ছিল কাঙ্ক্ষিত!
যেন, তৃষ্ণার্ত বছরগুলোর অতৃপ্ত চোখে
তোমাকে প্রথম দেখেই, আমার
হৃদয়ের অন্দরমহল আলোকিত হয়েছিল।
মনে হয়েছিল, সব সুখই যেন
প্রতিটি অঙ্গের ভাঁজে ভাঁজে ছড়ানো- তুমি
প্রকৃতির রাজসিক যৌবন মাধুর্য- মাধুর্যবাহক!
কাঙ্ক্ষিত চোখ যেন, তোমারই মতো কাউকে খুঁজছিল
বহুকাল...... বহুযুগ ধরে!
অবাধ্য মনটা'কে
কোন মতেই সামলাতে পারিনি
একান্ত আপন হয়ে মিশেছি কল্পনায় তোমাতে।
আহ! কি মধুর ছিল সে অনুভূতি!
পারিনি কেবল, লোকচক্ষুর ভয়ে তোমায় বুঝাতে।
সারারাত চোখেই ছিলে তুমি,ছিল না ঘুম!
উত্তেজনায় উম্মাদ ইন্দ্রীয়, তোমাকেই ভেবে ভেবে,
সত্যিই বলছি-
এতো আকর্ষণ দেখিনি কারো মাঝে! আজকের আগে।
যেমন যুবতি তুমি- যৌবনা তোমার মন
সাহসী হিয়া তোমার, বুঝিয়েছো বিদায়ের ক্ষণে,
মনের কাঙ্ক্ষিত আশা তুমি- করেছো পূরণ।
পাইনি তোমায় কল্পনার মতো করে
তাতে কি আসে যায়, পেয়েছি বুঝি মন।
চারিপাশে কতো লোকের মাঝ থেকে- চেয়ে নিলে
আমার মোবাইল নাম্বার! সার্থক সে ক্ষণ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৬