রাতের শেষ প্রহরে
ঘুম ভেঙে যায়-
আনমনে ভাবতে থাকি
আধো-ঘুম আধো-জাগনায়।
হবে কি আজ প্রভাতে
যা আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়-
হবে কি দেখা প্রিয় সে মুখ
যার বিরহ আমাকে পুঁড়ায়।
রাতের কান্না দেখি
লেগে আছে ঘাসের পাতায়-
পথচারীতে পিষ্ট হয়ে
সে কান্নার জল মাটিতে গড়ায়।
সার্থক রাত, সার্থক সে কান্না
কৃতজ্ঞ পথিকের পথ চলায়-
নিঃসঙ্গ একাকী রাত্রি
তৃপ্তির উল্লাসে আলোতে হারায়।
আলোকিত সকাল দেখি
বয়ে যায় দক্ষিণা ঠাণ্ডা হাওয়ায়-
দেশমাতার প্রকৃত সন্তান
কৃষকের নির্বাক পথ চলায়।
আমি বিস্মিত হইনা, দেখে
খালি পা, লুঙ্গি, পাতলা জামায়-
কোথা পাবে শাল-কম্বল
যাঁদের নুন আনতেই পান্তা ফোরায়!
সূর্য্যের তাপের সাথে বেড়ে উঠে
মাঠ-ঘাট, রাস্তা, শহর ব্যস্ততায়-
এ গাঁয়ের কিশোর-কিশোরী
বই হাতে যায় ওপাড়ার পাঠশালায়।
সমাজপতি-নেতা-চাটুকারের দল
মেতে উঠে সমাজের রক্ত-চোষায়-
এ'রক্ত কৃষকের, শ্রমিকের, সমাজের
ন্যায্য-প্রাপ্য অধিকার না দেয়ায়।
রাতের তৃপ্তি মিলে সকালে
মিলেনা কেবল সমাজ বাস্তবতায়-
দিন যায় মাস-বছর যুগের পর যুগ
গরীব-দুঃখী-সমাজের চিত্র না-বদলায়।
এসো হে সমাজপতি নেতা-জনপ্রতিনিধি
সমাজের চিত্র পাল্টাই, যা ব্যবধান কমায়-
স্ব-স্ব দায়িত্বের সচেতনতা বাড়াই
নিজেকে দাঁড় করাই বিবেকের কাঠগড়ায়।
'ভাবতেই ভালো লাগে' আমার
করিনা তো কিছু যাতে সমাজ বদলায়-
শোষকের শোষণে করিনা প্রতিবাদ
ঘাতকের সামনে নিজেকে করি শীর্ণকায়।
আমি দুর্বল নির্বোধ, তুমি কেন হবে
কেন নিজেকে করছো মাতাল রঙ্গিন জলসায়!
নিজেকে বিলিয়ে দাও মানুষের তরে
ভালোবাসা খুঁজে দেখো সৃষ্টি আর স্রষ্টায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২