somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বড় হবার আকাঙ্ক্ষা, প্রাপ্তি এবং হা-পিত্যেশ

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন ছোট ছিলাম আম্মুদের আলোচনায় কখনও দাড়াতে গেলেই বলতো, যা এখান থেকে, বড়দের মধ্যে কি! মন খারাপ করে ছোটদের মাঝেই ফিরে যেতাম আর ভাবতাম কবে বড় হবো!

আমাদের স্কুলে ক্লাস এইট পর্যন্ত পিটি ক্লাস থাকতো। প্রতি সপ্তাহে আমরা দোয়া করতাম যেন এই ক্লাসটা না করা লাগে, স্যারের মুড না থাকে... কবে যে ক্লাস নাইনে উঠবো আর পিটি ক্লাস করা লাগবে না!

ছোটবেলায় বুবু, আমি আর মামাতো বোন টুম্পা তিনজন এক সাথে থাকতাম। তারা ২জন সমবয়সী ছিল আমি ছিলাম ছোট। তারা সবসময় বড় হবার ফায়দা নিতো! স্কুল থেকে ফেরার পথে তারা ভ্যানের সামনে বসতো আর আমাকে বলতো, তুই ছোট পিছনে বস! এরপর দুইজন গল্প করতো আর আমি মুখ গোমড়া করে শুনতাম। আর রিকশায় উঠলে আমাকে উপরে বসতে দিতো তারা। প্রায়ই মনখারাপ করে আম্মুকে বলতাম আমার সাথে কি নাইনসাফি করছে ওরা ২জন আর ভাবতাম কবে বড় হবো! (ছোটবেলার সেই দুঃখ আমি আজও ভুলিনি তাই এখন আর কখনই আমি রিকশার উপরে বসি না!)

অফিস অফিস খেলতে খুবই ভাল লাগতো। একদা অফিস অফিস খেলার সময় মাসের এক তারিখ ভেবে বেতন তুলতে গেলাম আমরা তিনজন। এমনিতে আমরা বিভিন্ন সাইজের কাঠাল পাতা বিভিন্ন টাকার নোট হিসেবে ব্যবহার করতাম। কিন্তু ওইবার আমরা লম্বা লম্বা বড় সাইজের একটা গাছের পাতা ৫০০টাকার নোট ধরে গাছ থেকে বেতন তুলতে গেলাম। বুবু, টুম্পা বেতন তুলে চলে গেল। সামনের পাতা গুলো তারা শেষ করে ফেলায় আমি একটু ভিতরের দিকে হাত ঢুকিয়ে দিলাম একটা টান! অমনি একগাদা বোলতা উড়তে শুরু করলো আর তিন চার জন আমাকে কামড়ে ধরলো! ঘটনার আকষ্মিকতায় আমি হতভম্ব হয়ে দৌড়াতে লাগলাম। আম্মুর কাছে গিয়ে থামলাম। পরে বুঝলাম যে বোলতার কামড় কত টেস্টি! ওটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম বোলতার কামড় খাওয়া।
টিভি দেখতে অনেক ভালবাসতাম ছোটবেলায়। হ্যাংলামি করে একটানা টিভি দেখতে গিয়ে একবার মাথাব্যথা শুরু হয়েছিল। সেই আমলে আম্মু রাত সাড়ে ১০টার পরপরই বকাবকি শুরু করতো তখনও ভাবতাম কবে বড় হবো।

অনেক দিন... মাস... বছর পার হয়ে গেছে... চাকা ঘুরতে ঘুরতে আমিও বড় হয়ে গেছি কিন্তু এখন আর ভাল্লাগে না রে! কেন বড় হলাম এই দুঃখে কাতর এখন। তখন আশা ছিল বড় হবার কিন্তু এখন আর আশা নেই ছোট হবার! /:)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×