somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাঁদের দেরী রহস্য

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ মোটামুটি বৃত্তাকার একটি কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে আসছে অনন্তকাল ধরে।এই কক্ষপথের পুরোটা ঘুরতে চাঁদের সময় লাগে ২৭.৩ দিন । এই সম্পুর্ণ ঘুর্ণনপথকে যদি ৩৬০ ডিগ্রী ধরা হয় তবে ১ দিনে চাঁদ তার নিজ কক্ষপথে ঘোরে(৩৬০÷২৭.৩)=১৩.২ ডিগ্রী।

এবার মনে করেন আপনি গতকাল রাত ৮টার সময় পৃথিবীর ‘ক’ বিন্দুতে দাঁড়িয়ে ছিলেন।চাঁদ ছিল ঠিক একদম আপনার মাথার উপরে ‘প’ বিন্দুতে ।এরপর পৃথিবী আপনাকে নিয়ে তার নিজ অক্ষের উপর ৩৬০ডিগ্রীর একটা চক্কর সম্পূর্ণ করে, ২৪ ঘন্টা বা একদিন পর,মানে ঠিক আজ রাত ৮টায় আপনাকে আবার ‘ক’ বিন্দুতে নিয়ে আসল।এখন আবার ঠিক গতকালের মত একদম মাথার উপর ‘প’বিন্দুতে চাঁদ দেখতে পাওয়ার কথা আপনার।কিন্তু আপনি মাথার উপর চাঁদ দেখতে পেলেন না।
এর কারণ, ঐ যে ,চাঁদ একদিনে তার নিজ কক্ষপথে ১৩.২ ডিগ্রী করে এগিয়ে যায়।একদিন পর আপনি যখন ‘ক’ বিন্দুতে ফেরৎ এসেছেন এই একদিনে চাঁদ মামা ১৩.২ ডিগ্রী সামনে এগিয়ে ‘প’ বিন্দু থেকে ‘ফ’ বিন্দুতে চলে গেছে।
এখন ‘ফ’ বিন্দুর নিচে গিয়ে চাঁদকে আবার মাথার উপরে আনতে কত সময় লাগবে চলুন সেটা বের করি।
পৃথিবী ২৪ ঘন্টায় বা একদিনে তার নিজ অক্ষের উপর ৩৬০ ডিগ্রীর একটি ঘুর্ণন সম্পুর্ণ করে।পৃথিবীর উপর দাঁড়িয়ে ,বসে কিংবা শুয়ে থাকা আপনি কিংবা আমিও পৃথিবীর সাথে সাথে ৩৬০ ডিগ্রীর একটা চক্কর খাই প্রতি ২৪ ঘন্টায় বা (২৪×৬০)=১৪৪০ মিনিটে।
তাহলে ১ ডিগ্রীর চক্কর খাইতে সময় লাগবে (১৪৪০÷৩৬০)=৪ মিনিট।
এখন ‘ফ’ বিন্দুতে অবস্থানরত চাঁদকে মাথার উপর আনতে গেলে আমাদেরকে ২৪ ঘন্টার ৩৬০ ডিগ্রী চক্করের পর আরও এক্সট্রা ১৩.২ ডিগ্রী চক্কর দিয়ে ‘ফ’ বিন্দুর নিচে ‘খ’ বিন্দুতে আসতে হবে।আর এই ১৩.২ ডিগ্রী এক্সট্রা চক্কর দিতে পৃথিবীর সময় লাগে-
১৩.২×৪ =৫৩ মিনিট।
তার মানে আপনি প্রথমদিন ৮টার সময় চাঁদ মাথার উপর দেখলেও তার পরদিন দেখবেন ৮টা বেজে ৫৩ মিনিটে।অর্থাৎ আপনি যে কোন দিন, আগের দিনের মুনরাইজের সময়ের সাথে ৫২/৫৩ মিনিট যোগ করে সেই দিনের মুনরাইজের একটি নির্ভুল সময় বের করতে পারেন অনায়াসে।
নিচের ছবিটাতে অক্টোবর মাসের আজকের তারিখ পর্যন্ত ঢাকার মুনরাইজের সময় দেয়া আছে।
৩ তারিখে মুনরাইজের সময় ছিল রাত ১০টা ১৯ মিনিটে।
৪ তারিখে মুনরাইজের সময় রাত ১১টা ১৩ মিনিটে , ৩ তারিখের মুনরাইজের সময়ের ৫৪ মিনিট পর।
এই ৫৪ মিনিট ঢাকার লোকজন ১৩.২ ডিগ্রীর চক্কর কেটেছে ।



সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×