ওরে অভিমানি কবি,
কার সাথে তোর অভিমান?
কার লাগি হাহাকার করে তোর প্রাণ?
তোর লাগি জাগে কত রাত-জাগা পাখি
আনন্দ বেদনা কত যায় ডাকি
কেনো তুই নিজেকে ভাবিস একাকী
তোর লাগি ভীড় করে কত সুরে গান!
বল তবে, কার সাথে এতো অভিমান?
গগন ভারা তারকরা জািগেছ নিশির,
ভোরের আলোয় ঘাসে মুক্তো-শিশির,
তোর লাগি এইসব বিলাইছে শোভা।
কলকলিয়ে ছলছলিয়ে নির্ঝরিনী রাত্রি দিবা
চলছে বয়ে, তোর তরে সব, ওরে কবি।
এত সকল পাবার পরেও
কেনো রে তুই নিরাশ হবি!
তোর রয়েছে মায়ের আদর,
ভাইয়ের স্নেহ, বোনরে মায়া
শঙ্খচিলের ডানা-মেলা,
তপন-আলোক, গাছের ছায়া,
আকাশ জুড়ে মেঘের ভেলা
সব উপচার তোরই লাগি
তবুও তুই কোন্ বেদনায়,
অকারণে, বল্, বিবাগী!
শাখায় শাখায় পাতায় পাতায়
জাগছে রাঙা আলোর নাচন
রঙে-রূপে বরণডালা
বিশ্বমাতা করছে রচন।
তোর কবিতার ছন্দ হতে
অন্ধকারে জোনাক জ্বলে
এতো জেনেও, কনেো কবি,
ভাসবি এমন চোখের জলে?
যে জন যাবার চলে গেছে
যাক সে তাহার আপন-পথে
তুইতো এখন মুক্ত সারথ’,
চল্না চড়ে বিশ্বরথে।
ক্ষুদ্র থেকে মুক্ত করে
দিয়েছে তোকে বৃহৎ-বলয়
আপন গৃহের বাইরে এখন
নিখিল-ধরা তোরই নিলয়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫