রক্তের ঋণ
(উৎসর্গঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে)
রক্তের ঋণ কী দিয়ে শোধ দেবো, পিতা?
অন্তরে নিশিদিন জ্বলছে রাবণের চিতা
তোমার প্রয়াণে। জাতির কল্যাণে যে-দান
রেখে গেলে, শত সহস্র যুগান্তের অবসান-
হলেও, তোমার বাঙালি, দিবা নিশি সাধন
করেও, তার এতোটুকু প্রতিদান কেমন
করে আর শোধিবে? ঘাতকের নগ্ন-তরবারি
কাঁপেনি একবারও তবু, তোমার বক্ষ চিড়ি
তোমারই লালিত-ভূমে রক্ত ঝরাতে। ভয়াল
বন্য-জন্তু হিংস্র-নেকড়ে ও হায়েনার পাল
বহুগুণে উর্ধ্বে এ মানবের চেয়ে। আপন-পিতাকে
তারা করেনা হনন কোনোকালে, আগলে রাখে
সযতনে নিজেকে বিপন্ন করে জননী-ভগ্নি-ভ্রাতা,
আপনার জাতি, স্নেহার্দ্র-কোমল হৃদের মমতা
বিলায়ে। তারাতো আরো নীচ, আরো নিঃস্ব-দীন,
যারা সে হন্তারক-দলে লালন করেছে, আলোহীন
আফ্রিকার অরণ্যের চেয়েও অন্ধ এসবে,
তারও চেয়ে বিপদসঙ্কুল, কখন কিভাবে
কোথা মৃত্যুদূত ফাঁদ পেতে থাকে, কেউ
তার জানেনা খবর। ঘাতকেরা তোমাকেও
নাশ করে দিতে ফাঁদ পেতে রেখিছিলো
প্রতিপদে। জানতেনা তুমিও খবর। হলো
সমপান সে ষড়যন্ত্রের আগস্টের রাতে।
আলোহীন হলো দিন নবীন-প্রভাতে।
সেই হতে রক্তের ঋণ বেড়ে চলছেই আজো।
সমাপণ হয়নি তোমার রেখে যাওয়া কাজও।
তোমার স্বপ্নের সফল-পূর্তি হবে যেই দিন
সেই দিনই শোধ হবে, পিতা, তব রক্তের ঋণ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২০