somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিংশ শতাব্দীতে বাংলা সাহিত্যের শীর্ষ কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীতে বাংলার অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি ও লেখক, প্রাবন্ধিক এবং অধ্যাপক। তাকে বাংলাভাষার শুদ্ধতম কবি বলে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ সালে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম কবিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি প্রধানত কবি হলেও বেশ কিছু প্রবন্ধ নিবন্ধ রচনা ও প্রকাশ করেছেন। তবে ১৯৫৪ সালে অকাল মৃত্যুর আগে তিনি নিভৃতে ২১টি উপন্যাস এবং ১০৮টি ছোটগল্প রচনা করেছিলেন যার একটিও তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি। তার জীবন কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধকালে অনপনেয়ভাবে বাংলা কবিতায় তার প্রভাব মুদ্রিত হয়েছে। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের পরবর্তীকালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত। তাকে বাংলাভাষার শুদ্ধতম কবি অভিধায় আখ্যায়িত করা হয়েছে।জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণা নিবাসী। তার পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত বিক্রমপুর থেকে বরিশালে নিবাস স্থানান্তরিত করেন।সর্বানন্দ দাশগুপ্ত জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন পরে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন। তিনি বরিশালে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন এবং তার মানবহিতৈষী কাজের জন্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন।জীবনানন্দের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত সর্বানন্দের দ্বিতীয় পুত্র। সত্যানন্দ দাশগুপ্ত ছিলেন বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, বরিশাল ব্রাহ্ম সমাজের সম্পাদক এবং ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ও ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বা সম্পাদক।জীবনানন্দের মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন গৃহস্থ কিন্তু তিনি কবিতাও লিখতেন। তার সুপরিচিত কবিতা আদর্শ ছেলে ;
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে ?
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ।
আজও শিশুশ্রেণীর পাঠ্য। জীবনানন্দ ছিলেন পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান তার ডাকনাম ছিল মিলু। তার ভাই অশোকানন্দ দাশ ১৯০৮ সালে এবং বোন সুচরিতা দাশ ১৯১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কম বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার বিরোধী ছিলেন বলে বাড়িতে মায়ের কাছেই মিলুর বাল্যশিক্ষার সূত্রপাত। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই পিতার কণ্ঠে উপনিষদ আবৃত্তি এবং মায়ের গান শুনতেন। লাজুক স্বভাবের হলেও তার খেলাধুলা, বাগান করা, ভ্রমণ এবং সাঁতারের অভ্যাস ছিল। ছেলেবেলায় মামার সঙ্গে বহু জায়গায় বেড়িয়েছেন। শৈশবে একবার কঠিন অসুখে পড়েন। স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্যে মাতা এবং মাতামহ হাসির গানের কবি চন্দ্রনাথের সাথে লক্ষ্মৌ, আগ্রা, দিল্লী, নানান স্থান ভ্রমণ করেন।জন্মসূত্রে তার পদবী দাশগুপ্ত হলেও তিরিশের দশকের শুরুতে জীবনানন্দ গুপ্ত বর্জন করে কেবল দাশ লেখা শুরু করেন।

তার ঘরোয়া নাম ছিল মিলু। ১৯০৮ সালের জানুয়ারিতে আট বছরের মিলুকে ব্রজমোহন বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করানো হয়। বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ই তার বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় রচনার সূচনা হয়েছিল। তাছাড়াও সে সময় তার ছবি আঁকার দিকেও বেশ ঝোঁক ছিল। ১৯১৫ সালে ব্রজমোহন বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকিউলেশন,বর্তমানে মাধ্যমিক বা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।। দুইবছর পর ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পূর্বের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটান অতঃপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার উদ্দেশ্যে তিনি বরিশাল ত্যাগ করেন। ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজীতে অনার্স সহ বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। অতঃপর ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর তিনি আইন পড়া শুরু করেন কিন্তু অচিরেই তা আবার পরিত্যাগ করেন।


যৌবনের প্রারম্ভেই জীবনানন্দের কবিপ্রতিভা বিকশিত হতে শুরু করে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২৫ সালের জুনে মৃত্যুবরণ করলে জীবনানন্দ তার স্মরণে দেশবন্ধুর প্রয়াণে নামক একটি ব্রাহ্মবাদী কবিতা রচনা করেন যা বঙ্গবাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কবিতাটি পরবর্তীতে তার প্রথম কাব্য সংকলন ঝরা পালকে স্থান করে নেয়। কবিতাটি পড়ে কবি কালিদাস রায় মন্তব্য করেছিলেন; এ ব্রাহ্মবাদী কবিতাটি নিশ্চয়ই কোন প্রতিষ্ঠিত কবির ছদ্মনামে রচনা। ১৯২৫ সালেই তার প্রথম প্রবন্ধ স্বর্গীয় কালীমোহন দাশের শ্রাদ্ধবাসরে প্রবন্ধটি ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার পরপর তিনটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ওই বছরেই কল্লোল পত্রিকায় তার লেখা নীলিমা কবিতাটি প্রকাশিত হলে তা অনেক তরুণ কাব্যরসিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ধীরে ধীরে কলকাতা, ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গার বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায় তার লেখা ছাপা হতে থাকে, যেগুলির মধ্যে ছিল সে সময়কার সুবিখ্যাত পত্রিকা কল্লোল, কালি এবং কলম, প্রগতি ইত্যাদি। ১৯২৭ সালে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক প্রকাশিত হয়। সে সময় থেকেই তিনি তার পারিবারিক উপাধি দাশগুপ্তের বদলে কেবল দাশ লিখতে শুরু করেন।প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের কয়েক মাসের মাথাতেই তিনি সিটি কলেজে তার চাকরিটি হারান। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে কলেজটিতে ছাত্র অসন্তোষ দেখা দেয় আর তার ফলাফলস্বরূপ কলেজটির ছাত্রভর্তির হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। জীবনানন্দ ছিলেন কলেজটির শিক্ষকদের মধ্যে কনিষ্ঠতম এবং আর্থিক সমস্যাগ্রস্ত কলেজ প্রথমে তাকেই চাকরিচ্যুত করে। এই চাকুরিচ্যুতি দীর্ঘকাল জীবনানন্দের মনোবেদনার কারণ ছিল। কলকাতার সাহিত্যচক্রেও সে সময় তার কবিতা কঠিন সমালোচনার মুখোমুখি হয়। সে সময়কার প্রখ্যাত সাহিত্য সমালোচক কবি সাহিত্যিক সজনীকান্ত দাস শনিবারের চিঠি পত্রিকায় তার রচনার নির্দয় সমালোচনায় প্রবৃত্ত হন। কলকাতায় করবার মতো কোন কাজ ছিল না বলে কবি ছোট্ট শহর বাগেরহাটের প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে মাত্র দুই মাস কুড়ি দিন পরেই তিনি কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। সে সময় তিনি প্রেসিডেন্সি বোর্ডিংয়ে থাকতেন।
চাকুরি না থাকায় সে সময় তিনি চরম আর্থিক দুর্দশায় পড়ে গিয়েছিলেন। জীবনধারণের জন্যে তিনি গৃহশিক্ষকরূপে কাজ করতেন এবং লেখালিখি থেকে সামান্য কিছু রোজগার হতো। সাথে সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরির সন্ধান করছিলেন। ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি দিল্লির রামযশ কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। সেখানেও তার চাকুরীর মেয়াদ মাত্র চার মাস ছিল।১৯৩০ সালের ৯ই মে তারিখে তিনি লাবণ্য দেবীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ে হয়েছিলো ঢাকা শহরে পুরোনো ঢাকায় সদরঘাট সংলগ্ন ব্রাহ্ম সমাজের রামমোহন লাইব্রেরিতে।লাবণ্য গুপ্ত সে সময় ঢাকার ইডেন কলেজে লেখা পড়া করছিলেন। জীবনানন্দ দাশের বিয়েতে কবি বুদ্ধদেব বসু, অজিতকুমার দত্ত আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পর আর তিনি দিল্লিতে ফিরে যাননি। তারপর প্রায় বছর পাঁচেক সময় জীবনানন্দ কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন। মাঝে কিছু দিন একটি বীমা কোম্পানির এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন। ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অর্থ ধার করে ব্যবসা করেছেন কিন্তু কোনটাই কবির জন্য স্থায়ী হয়নি। সেসময় তার পিতা জীবিত এবং জীবনান্দের স্ত্রী বরিশালেই ছিলেন বলে জীবনানন্দের বেকারত্ব পারিবারিক দুরবস্থার কারণ হয়নি।১৯৩১ সালে কবির প্রথম সন্তান মঞ্জুশ্রীর জন্ম হয়। প্রায় সে সময়েই তার ক্যাম্পে কবিতাটি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পাদিত পরিচয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং সাথে সাথে তা কলকাতার সাহিত্যসমাজে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়। কবিতাটির আপাত বিষয়বস্তু ছিল জোছনা রাতে হরিণ শিকার। অনেকেই এই কবিতাটি পাঠ করে তা অশ্লীল হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি তার বেকারত্ব, সংগ্রাম এবং হতাশার সেই সময়কালে বেশ কিছু ছোটগল্প এবং উপন্যাস রচনা করেছিলেন তবে তার জীবদ্দশায় সেগুলো প্রকাশ করেননি। ১৯৩৪ সালে তিনি একগুচ্ছ গীতিকবিতা রচনা করেন যা পরবর্তী কালে তার রূপসী বাংলা কাব্যের প্রধান অংশ নির্মাণ করে। সেই কবিতাগুলিও জীবনানন্দ প্রকাশ করেননি। ১৯৫৪সালে তার মৃত্যুর পর কবিতাগুলো একত্র করে ১৯৫৭ সালে রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেন তার বোন সুচরিতা দাশ এবং ময়ুখ পত্রিকা খ্যাত কবি ভূমেন্দ্র গুহ।


জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা ,কবি জীবনানন্দ দাশ সংকলিত স্বরচিত কবিতার একটি সংকলন যা কবির মৃত্যুর কয়েকমাস পূর্বে ১৯৫৪সালের মে মাসে সেই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সেই গ্রন্থটি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারও অর্জন করে ১৯৫৫ সালে।জীবনানন্দ দাশের জীবদ্দশায় প্রকাশিত সেই সংকলন গ্রন্থের জন্য কবিতা নির্বাচন করেছিলেন কবি বিরাম মুখোপাধ্যায়, বইটির বর্তমান প্রকাশক ভারবি। কবি পূর্ণেন্দু পত্রী ভারবি সংস্করণের প্রচ্ছদশিল্পী। পরবর্তী কালে সেই গ্রন্থের পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশ এই গ্রন্থটির ভূমিকায় লিখেছিলেনঃ
ভালো কবিতা যাচাই করবার বিশেষ শক্তি সংকলকের থাকলেও আদি নির্বাচন অনেক সময়ই কবির মৃত্যুর পরে খাঁটি সংকলনে গিয়া দাঁড়াবার সুযোগ পায়। কিন্তু কোনো কোনো সংকলনে প্রথম থেকেই যথেষ্ট নির্ভুল চেতনার প্রয়োগ দেখা যায়। পাঠকের সঙ্গে বিশেষভাবে যোগ স্থাপনের দিক দিয়ে এ ধরনের প্রাথমিক সংকলনের মূল্য আমাদের দেশেও লেখক পাঠক ও প্রকাশকদের কাছে ক্রমেই বেশি স্বীকৃত হচ্ছে হয়তো। যিনি কবিতা লেখা ছেড়ে দেননি তার কবিতার এ রকম সংগ্রহ থেকে পাঠক ও সমালোচক এ কাব্যের যথেষ্ট সংগত পরিচয় পেতে পারেন, যদিও শেষ পরিচয়লাভ সমসাময়িকদের পক্ষে নানা কারণেই দুঃসাধ্য।

সেই গ্রন্থে কবির জীবদ্দশায় প্রকাশিত ঝরাপালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির এবং কবির মৃত্যুর পরবর্তীকালে প্রকাশিত রূপসী বাংলাএবং বেলা অবেলা কালবেলা কাব্যগ্রন্থদ্বয়ে সংকলিত সর্বমোট ৭২টি এবং অগ্রন্থিত কিংবা অপ্রকাশিত কবিতানিচয় থেকে বাকি আঠারোটি কবিতা গৃহীত হয়। । অগ্রন্থিত কবিতাগুলোর মধ্যে,আবহমান, ভিখিরী, এবং তোমাকে ‌এই তিনটি কবিতা বনলতা সেন পর্যায়ের এবং মনোকণিকা, সুবিনয় মুস্তফী এবং অনুপম ত্রিবেদী এই তিনটি মহাপৃথিবী পর্যায়ের। সাতটি তারার তিমির পর্বের অপ্রকাশিত চারটি কবিতাগুলো হলো অনন্দা,স্থান থেকে,দিনরাত এবং পৃথিবীতে এই। পূর্বে প্রকাশিত এবং শ্রেষ্ঠ কবিতায় প্রথম গ্রন্থিত কবিতাগুলো হলঃ তবু, পৃথিবীতে,এই সব দিনরাত্রি,লোকেন বেসের জর্নাল, ১৯৪৬ সাল থেকে৪৭ সালে মানুষের মৃত্যু হলে, আছে এবং যাত্রী ।

বিশ্ব কাব্যসািহত্যের এক অসাধারণ মেধাবী এই বাঙালি কবি কলকাতায় এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান। কবি জীবনানন্দ দাশের আজ ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকল।


সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১৮
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×